মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নওগাঁর নিভৃত পল্লী গ্রামে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের আগ্রহ কমাতে দিনব্যাপী বইমেলা

নিভূত পল্লীগ্রাম মশিদপুরে দিনব্যাপী বই মেলা । ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার নিভূত পল্লীগ্রাম মশিদপুর। জেলা শহর থেকে দুরুত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। এটি জেলার মান্দা ও নিয়ামতপুর উপজেলা এবং রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রাম। জেলা, উপজেলা ও সীমান্তবর্তী হওয়ায় অবহেলিত নিভৃত পল্লী গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এ গ্রামে রয়েছে কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও নানা কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার প্রবণতা অনেক বেশি। এতো প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বর্তমানে বিভিন্ন অবস্থানে রয়েছেন একদল যুবক। নতুন প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তোলা হয়েছে একটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগার’। এ সংগঠনের আয়োজনে সারা বছরই শিক্ষামুলক বিভিন্ন কর্মসূচী করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে বইমেলা অন্যতম। এবার মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২তম বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগারের উদ্যোগে মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বইমেলার আয়োজন করে। সকাল ৯টায় বইমেলা শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মেলায় রাজশাহী ও স্থানীয় ৬টি বইয়ের স্টল অংশ নেয়। যেখানে গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও ছোটদের জন্য ছড়া বই রয়েছে। প্রতিটি বইয়ের মুল্য ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আগ্রহ কমাতে এবং শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ব্যতিক্রম এমন আয়োজন করা হয়। বইমেলার পাশাপাশি আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, গল্প বলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। যেখানে ৪০ টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় হাজার শিক্ষার্থীদের আগমনে মিলন মেলায় পরিনত হয়।

যেখানে শিশু, কিশোর-কিশোরী সহ বিভিন্ন বয়সীরা বই কেনাকাটা করে। শুধু এ গ্রামের মানুষের জন্য এ বইমেলার আয়োজন নয়, আশপাশের তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা বইমেলাকে কেন্দ্র করে এক দিনের উৎসবে মেতে ওঠে। শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রত্যন্ত এলাকায় বই মেলা হওয়ায় উচ্ছস্বিত শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

মেলায় গুনিজনদের আমন্ত্রন জানানো হয়। তারা শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধলে ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে সচেতনরা বাড়ানোর চেষ্টা করেন।

জানা যায়- শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে বই পড়া, বই কেনা ও শিক্ষার প্রতি নতুন প্রজন্মকে আগ্রহী করে গড়ে তোলার লক্ষে ২০১১ সাল থেকে ‘মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি’ গড়ে তোলা হয়। এ সমিতির ব্যানারেই শিক্ষার প্রসারে নানা কার্যক্রম চলে বছরজুড়েই। বই মেলা উপলক্ষে দিনটির শুরু থেকে গ্রামে যেন এক উৎসব বিরাজ করে। আশপাশে কয়েকটি গ্রাম ও প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মেলায় আসে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বইমেলা থেকে বিভিন্ন জ্ঞানমুলক বই পেয়ে আন্দিত শিক্ষার্থীর।

কবিতা আবৃতি, কৌতুক, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিমেল সরকার ও অষ্টম সামিয়া ইসলাম বলেন, আমাদের স্কুল মাঠে বইমেলা হচ্ছে। যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসেছে। আমাদের এ প্রত্যন্ত গ্রামে বইমেলায় হওয়ায় অত্যান্ত আনন্দিত। পাঠ্য বইয়ের বাহিরে বই মেলা থেকে বিভিন্ন বই সংগ্রহ করা যায়। যেখান থেকে আমাদের জ্ঞান চর্চায় সহায়ক ভূমিকা রাখে। মেলা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।

মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি সাধারন সম্পাদক শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রত্যন্ত এ গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার পরও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বেশি। এর কারণ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় স্কুলে যাওয়ার প্রবণতা কম। এ কারণে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার প্রবনতা বেশি। সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষাবৃত্তি চালু করার পর ঝরে পড়ার প্রবনা কমেছে। বর্তমানে নতুন প্রজন্ম ও শিক্ষার্থী সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝুঁকে পড়েছে। তাদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বইমেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া সমিতির ব্যানারেই বছরজুড়েই চলে শিক্ষার নানা কর্মসূচী। বর্তমানে মানুষের মধ্যে বই পাঠের অভ্যাস গড়ে উঠেছে। এ কারণে গ্রামে পর্যায়ক্রমে এখন শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিভাবকরাও তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর ক্ষেত্রে আগ্রহী হচ্ছেন।প্রতি বছর শিক্ষাবিদদের ওই গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারা শিক্ষার উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দেন।

বইমেলায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সহ-সভাপতি ও চৌবাড়িয়া হাট কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- নড়াইল জেলার অগ্নীবিণা কেন্দ্রীয় সংসদের চেয়ারম্যান, নজরুল ভাবুক কবি ও সাংবাদিক এইচ.এম সিরাজ।

এসময় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শাহ, মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ এবং মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন।

Header Ad
Header Ad

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন নিপুণ

চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

জালিয়াতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। গত রোববার (২১ জানুয়ারি) শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেন, যেখানে নিজেকে ‘সাবেক সাধারণ সম্পাদক’ বলে উল্লেখ করেন। এর পরদিন তিনি ফেসবুকে সেটি পোস্ট করেন, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এই অনৈতিক পদক্ষেপের বিষয়ে ৩০ জুলাই সমিতির ষষ্ঠ সভায় আলোচনা করা হয় এবং নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু নিপুণ তা অগ্রাহ্য করে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে, যখন তিনি ডিপজলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।

চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

নিপুণের এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে কার্যনির্বাহী পরিষদ তাকে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে সমিতি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব এই সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করলেও, নিপুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

এছাড়া, নিপুণের এই পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। প্রথমত, তিনি যখন ‘সাবেক সাধারণ সম্পাদক’ হিসেবে সমিতির প্যাড ব্যবহার করেন, তখন তার এই অধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দ্বিতীয়ত, তার বিবৃতিটি টেলিভিশন অভিনয়শিল্পী সংঘের বিবৃতির হুবহু কপি ছিল এবং তৃতীয়ত, সহিংসতার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার জন্যও তাকে সমালোচনার শিকার হতে হয়।

এই বিতর্কের মধ্যে নিপুণের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়। হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল ফজল পলাশ জানিয়ে ছিলেন, নিপুণ আক্তারের অনৈতিক কর্মকাণ্ড পেনাল কোডের ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এছাড়া, নিপুণের বহিষ্কার নিয়ে এফডিসির অনেক সিনিয়র শিল্পী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, নিপুণের কর্মকাণ্ড শিল্পী সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে এবং তার জন্য এই শাস্তি অনেক আগেই প্রাপ্য ছিল।

এদিকে, গত জানুয়ারির ১০ তারিখে সিলেট বিমানবন্দরে তাকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়, তবে পরে পাসপোর্ট জব্দ করা হয় এবং তিনি ছেড়ে দেয়া হয়। নিপুণ দাবি করেন যে, বিমানবন্দরের আটকের খবর মিথ্যা, কিন্তু এ ব্যাপারে বিভিন্ন ফুটেজে তার উপস্থিতি স্পষ্ট দেখা যায়।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সাবেক ফ্লোরিডা সিনেটর মার্কো রুবিওকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মার্কো রুবিও ইসরায়েলপন্থি এবং চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত, এবং তার এই কট্টর অবস্থান তাকে রিপাবলিকান দলের সঙ্গে সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও সমাদৃত করেছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সিএনএন ও রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওর নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। ৯৯ সিনেটরের সবাই তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

মার্কো রুবিও ২০১১ সাল থেকে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক বছর আগে তিনি ট্রাম্পের বিরোধিতা করলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মার্কো রুবিও ইসরায়েলের প্রতি তার গভীর সমর্থন এবং চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন, যা তাকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য করে তোলে।

এদিকে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে তিনি জো বাইডেনের শাসনামলে নেওয়া ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন। পাশাপাশি, ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

Header Ad
Header Ad

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পরপরই তিনি এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এছাড়া, তার শপথগ্রহণের পরপরই ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেওয়া এবং বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করার মতো বড় পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশও বাতিল করেন, যা দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার জন্য আটক প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। ওই দিন সাভারের ডিসি জেলের বাইরে তার সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন, যখন ট্রাম্প ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। ট্রাম্প তখনই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন। এর পরপরই উপস্থিত জনতার মধ্যে উদযাপনের চিৎকার শোনা যায়, কেউ কেউ "ফ্রিডম!" বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোদের 'রাজনৈতিক বন্দি' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং তাদের ক্ষমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, তিনি ক্ষমার আওতায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়, যেখানে সেদিন বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল। হামলাকারীরা কংগ্রেসের অধিবেশন ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় এবং বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয় তছনছ করে দেয়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হন।

ডেমোক্র্যাটরা এই হামলার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করে তাকে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তবে সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের অভাবে ট্রাম্প শাস্তি থেকে মুক্তি পান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন নিপুণ
ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান