রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বড় বোনের পর ছোট বোনের মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন পূরণ

দিবা ইসলাম। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

আমরা যেন ডাক্তারি পড়াশোনা করি, সেজন্য ছোটবেলা থেকেই আব্বু-আম্মু উৎসাহ দিয়ে এসেছে। তাঁদের কথা মতো সব সময় আমরা ভালো করে পড়াশোনা করেছি। আপু দুই বছর আগে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে, এবার আমিও চান্স পেলাম। এখন আমাদের চেয়ে আব্বু-আম্মুই বেশি খুশি।’

কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর মেয়ে দিবা ইসলাম। এবারের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। বড় বোন রাহমানিয়া ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ২০২১-২০২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাহমানিয়া বর্তমানে এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

তাঁদের সাফল্যের পিছনে রয়েছে নিজেদের চেষ্টা আর বাবা-মার সংগ্রাম। তাঁদের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার রামরায়পুর সরদারপাড়া গ্রামে। বাবা আসাদুল ইসলাম রামরায়পুর দিঘীরপাড় উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মা দেওয়ান মোসলেমা বেগম গৃহিনী। মা-বাবা আর দুই বোনের সংসার তাঁদের।

দিবা ইসলাম

 

দুই বোনই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছেন নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে দুইজনেই প্রাথমিক ও জেএসসিতে জিপিএ-৫ ও মেধাবৃত্তি পেয়েছেন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসিতেও পান জিপিএ-৫। আবার উচ্চমাধ্যমিকেও দুই বোন একই প্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজে পড়াশোনা করেছেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেন।

সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বড় বোন রাহমানিয়া ইসলাম দোলা ২০২১-২০২২ সেশনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। বড় বোনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবার মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে ছোট বোন দিবা ইসলাম। দিবা রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

দিবার বাবা আসাদুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে, এটা আমাদের একটা বড় স্বপ্ন। ওদের দুজনেরও স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। আমার দুই মেয়েই বেশ বুদ্ধিদীপ্ত এবং পড়াশোনায় মনোযোগী। ওদের মা দুজনের পেছনে অনেক সময় দিয়েছে। বড় মেয়ের পর ছোট মেয়েটাও মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় পরিবারের সবাই অনেক খুশি। এখন ওরা যাতে করে ভালো করে চিকিৎসাশাস্ত্রের পড়াশোনা শেষ করে মানুষের সেবা করতে পারে এটাই আমাদের চাওয়া।’

দিবা ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। বড় আপু যখন মেডিকেল ভর্তির চান্স পেল। তখন আমার চিকিৎসক হওয়ার আকাঙ্খা আরও বেড়ে যায়। পড়াশোনায় মনোযোগ আরও বাড়িয়ে দেই। অবশেষে সেই স্বপ্ন ধরা দেওয়ায় এখন অনেক ভালো লাগছে। আব্বু-আম্মুও অনেক খুশি।’

দিবা বড় বোন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাহমানিয়া ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের পেছনে বাবা-মার অবদানই বেশি। তাঁরা অনেক কষ্ট করে আমাদের বড় করেছেন। এছাড়া আমাদের শিক্ষকসহ আরও অনেকেই উৎসাহ দিয়েছেন। তাঁদের কষ্টের কথা মাথায় রেখে আমরা স্বপ্ন পূরণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

Header Ad
Header Ad

উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আরব সাগরে একাধিক অ্যান্টি-শিপ (জাহাজ বিধ্বংসী) ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ভারতীয় নৌবাহিনী বলছে, এ সফলতা দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা ও যুদ্ধ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

রোববার (২৬ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আরব সাগরে মোতায়েন ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রসহ ভূমি বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপের একাধিক দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছে নৌবাহিনী।

ভারতীয় নৌবাহিনী এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানায়, 'দীর্ঘ পাল্লার নির্ভুল হামলার সক্ষমতা যাচাই ও প্রদর্শনের অংশ হিসেবে প্ল্যাটফর্ম ও সিস্টেম প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে একাধিক সফল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, বিশ্বাসযোগ্য ও ভবিষ্যতমুখী।'

এই পরীক্ষাগুলো এমন একসময় পরিচালিত হয়েছে, যখন জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল এক হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। ওই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। পাকিস্তান নৌবাহিনীর নির্ধারিত সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল পরীক্ষার আগে ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

কাশ্মীরে হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের পদক্ষেপ। অন্যদিকে, পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সিন্ধু নদের পানি বন্ধ করা হলে তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।

উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই পরপর তিন রাত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা

পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম আবারও জীবনসঙ্গীর খোঁজে রয়েছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিলা জানান, “আমি আমার জন্য ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না!”

২০১৭ সালে পাইলট এস এম পারভেজ সানজারিকে বিয়ে করেন তিনি। তবে বিয়ের এক বছরের মধ্যেই যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিচ্ছেদ ঘটান মিলা। এরপর থেকে দীর্ঘ সাত বছর একাই কাটিয়েছেন এই গায়িকা।

মিলা বলেন, “দুইটা কারণে এখনো খুঁজে পাইনি— এক, আমি আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। দুই, নিজে নিজে খুঁজে প্রেম করা আমার পক্ষে কঠিন, কারণ আমি সময় দিতে পারি না।” তিনি আরও বলেন, “বিয়ে খুব বেশি জরুরি বিষয় নয়। তবে একজন জীবনসঙ্গী দরকার, যে আমাকে বুঝবে।”

পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

একজন জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে মিলা কিছু শর্তও দিয়েছেন। তার ভাষায়, “ছেলেটা সুদর্শন হোক, সেটা ভালো, তবে সবচেয়ে জরুরি হলো— দায়িত্বশীল হতে হবে, বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে, আমার প্রতি মায়া থাকতে হবে। পাশাপাশি পশুপাখির প্রতিও মায়া থাকতে হবে।”

আর্থিক বিষয়েও বাস্তবতা তুলে ধরেন এই সংগীতশিল্পী। বলেন, “বর্তমানে পরিবার চালানোর মতো ইনকাম থাকলেই চলে। টাকাওয়ালা জামাই চাই না, কিন্তু ইনকাম জরুরি।”

স্টেজ শো করা একজন শিল্পী হিসেবে নিজের জীবনধারাও তুলে ধরেন মিলা। বলেন, “আমি কোথাও শো করতে গেলে রাত ১০টার মধ্যে বাসায় ফেরা নাও হতে পারে। যে আমার লাইফ পার্টনার হবে, তাকে অন্তত এটুকু বুঝতে হবে।”

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফজল হক (৫০) নামে এক শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বংশীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ফজল হক উপজেলার বংশীনগর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বাশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি।

এ ঘটনায় নিহত ফজল হকের স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও তার ছেলে মনির হোসনকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। তারা দু’জনেই মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফজল হক ও তার ভাতীজা পারভেজের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকালে ভাতিজা পারভেজসহ অন্তত ২৫ জন নিহত ফজল হকের দখলে থাকা জমি দখল নিতে যায়। এতে ফজল হক ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ফজল হক, ছেলে মনির হোসেন ও স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত বলে ঘোষণা করে।

বাশতৈল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই জমি নিয়ে ইতোপূর্বে একাধিবার গ্রাম্য শালিস হয়েছে। রবিবার তার ভাতিজা পারভেজ, আনোয়ার, জিন্নাহসহ ২৫-৩০ জন ফজল হকের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে।

তিনি আরও জানান, ফজল হক বাশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি হিসাবে আজই দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা ছিল।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা