৮.৯ ডিগ্রিতে কাঁপছে নওগাঁ, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
নওগাঁয় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল হাওয়া। শীতের এমন তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘর থেকে বের হওয় কঠিন হয়ে পড়েছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষেরা। কমে গেছে আয়-রোজগারও।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ জেলায় উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়াও জেলায় এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই নওগাঁয় তাপমাত্রা থাকছে ১০ ডিগ্রির ঘরে। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা আর দিনভর হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের দাপট। দুপুর ২টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট। দিনভর দেখা মিলছে না সূর্যের। সারাদিন অল্প সময়ের জন্য একটু সূর্যের দেখা পাওয়া গেলেও তাতে থাকছে না কোনো উত্তাপ। এতে ঘর থেকে বের হওয়াই যেন কঠিন হয়ে পড়েছে। বেশি বিপাকে পড়ছেন বয়স্ক, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কমে গেছে আয়-রোজগারও। কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতেও দেখা গেছে।
সদর সদর উপজেলার তিলেকপুর গ্রামের কৃষক শফিকুর রহমান বলেন, ‘খুব শীত। মাঠে নেমে কাজই করতে পারছি না। কবে নাগাদ শীত কমবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
একই এলাকার কৃষক আবুল কালাম বলেন, ‘সবজি ক্ষেতে কাজ করতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। হাত-পা শীতল হয়ে যাচ্ছে শীতের কারণে। মাঝে মাঝে আগুন জ্বালিয়ে হাত-পা গরম করে নিতে হচ্ছে।’
জেলা শহরের তাজের মোড়ের রাজমিস্ত্রী গোলাম বলেন, ‘খুব শীত পড়েছে। কাজ করতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। তবুও পেটের দায়ে কাজ তো করতেই হবে। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’
বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আজ সকাল ৯টার দিকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এ মৌসুমে নওগাঁর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।’
এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কয়েকদিন ধরেই শীত জেঁকে বসেছে। আগামী আরও দুই-তিনদিন এমন আবহাওয়া থাকবে বলেও জানান তিনি।