রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যায়িত করে সরে গেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ (দাগনভূঁইয়া-সোনাগাজী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রিন্টু আনোয়ার নির্বাচনকে ডামি আখ্যায়িত করেছে। একই সাথে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তার মার্কা ছিল বাঁশি।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে তিনি এই ঘোষণা দেন। রিন্টু আনোয়ারসহ এ আসনে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকার প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে সমর্থন জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল বাশার আগেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

নির্বাচন প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে রিন্টু আনোয়ার বলেন, আমি বিগত ১০/১২ দিন দাগনভূঁঞা-সোনাগাজী নির্বাচনী এলাকার বহু স্থানে ভোটার, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়িদের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছি। এতে আমার কাছে মনে হয়েছে, স্থানীয় জনগণ এখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনার প্রতিও তাদের কোন বিশ্বাস নেই।

এছাড়াও তিনি গণসংযোগে মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেও তারা ভোট দিতে যাওয়ার জন্য রাজি নয়। তারা বলছে, ভোট দিয়ে কি হবে? এমপি’তো নির্ধারণ হয়েই আছে! শুধু ঘোষণা বাকি। তাই, যে জনপ্রতিনিধি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয় না, সেই জনপ্রতিনিধি এবারও তিনি হতে চান না বলে জানিয়েছেন রিন্টু আনোয়ার।

লিখিত বক্তব্যে রিন্টু আনোয়ার আরও জানান, এমতাবস্থায় সাধারণ ভোটারদের মনোভাবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রহসনের এই সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। অর্থাৎ আমি এই তথাকথিত ‘ডামি’ নির্বাচন অংশ নিচ্ছি না।

উল্লেখ্য, তিনি ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। ২০১৮ মাসুদ চৌধুরীকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন দেয়ায় ক্ষোভ ও অভিমানে পার্টির সকল পথ থেকে অব্যাহতি নেন তিনি।

 

Header Ad
Header Ad

আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস

ছেলে আব্রামের সঙ্গে অপু বিশ্বাস, শাকিব খান এবং বুবলী। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বুবলীর নাম উল্লেখ না করেই মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আমার সন্তান (আব্রাম খান জয়) না থাকলে যাদের নিয়ে প্রসঙ্গ তৈরি হয়, তাদের আমি যোগ্য বলেই মনে করতাম না। কারণ যোগ্যতা একদিনে সৃষ্টি হয় না। আমি অপু বিশ্বাস, আমি একজন সুপারস্টার। এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ১৭ বছর চলছে। তাই তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না।

২০১৭ সালে হঠাৎ একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে পুত্র জয়কে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অপু। সেদিন তিনি প্রকাশ করেন, জয়ের বাবা চিত্রনায়ক শাকিব খান। অপু জানান, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাদের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

এ ঘটনার পর থেকে শাকিব ও অপু দু’জনেই আলাদা পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে এখনও প্রায়ই অপুকে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সেই সম্পর্ক ও সন্তান নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।

সম্প্রতি তেমনই এক অনুষ্ঠানে অপু জানালেন, আমার সেই ঘটনার পর অনেকেই মনে করেছেন, এভাবে সন্তান নিয়ে টেলিভিশনে না আসলেও পারতাম বা এটা আমার ভুল ছিল। পুরো বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান করতে পারতাম।

এরপর এই নায়িকা বললেন, পারিবারিকভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু প্রতিবার মনে হচ্ছিল, কেউ পেছন থেকে টেনে ধরছে। যে কারণে বাধনটা ছিঁড়ে গেছে।

অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নায়িকা শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারেও নায়কের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।

শাকিবকে ঘিরে অপু-বুবলী একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছেন। দু’জন দু’জনকে ইঙ্গিত করে প্রকাশ্যে কিংবা পরোক্ষভাবেই নানা মন্তব্য করেছেন। যে কারণে দুই নায়িকাকে নিয়েও একাধিকবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল এই দম্পতির বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই দিন পুত্র জয়কে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভে আসেন অপু। ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই তারকা জুটি।

এরপর ২০১৮ সালের ২০ জুলাই শবনম বুবলীকে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। ২০২০ সালের ২১ মার্চ জন্ম হয় তাদের সন্তান শেহজাদ খান বীরের। এরপর শাকিবের এ সংসারও ভেঙে যায়।

Header Ad
Header Ad

কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের

কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান’, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সুশান্ত দাস গুপ্তের ব্যক্তিগত পেজ থেকে একটি আট সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক পবিত্র কাবাঘরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছেন। যা নিয়ে সকল মহলে তোলপাড় শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে কে এই যুবক।

পরবর্তীতে জানা যায়, ওই যুবকের নাম হারুনুর রশিদ। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরদিঘী এলাকায়। হারুনুর রশিদ টোকাই হারুন নামেও পরিচিত। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, হাইকোর্ট কর্তৃক ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা সংক্রান্ত রায় স্থগিত হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে।

হারুনের বয়স প্রায় ৩৫ বছর। জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন, যদিও তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রমাণ নেই। ঠাকুরদিঘী বাজার এলাকায় তিনি কিশোর গ্যাং গঠন করেন এবং বাগান দখল, অবৈধ বালি ও মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তার বাহিনী নিয়ে হামলা, সংঘর্ষ এবং এলাকায় দোকান ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হারুনের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতেন। একপর্যায়ে তিনি সৌদি আরবে চলে যান এবং সেখানেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।

হারুনের ফেসবুক প্রোফাইলে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে তার ছবিও দেখা গেছে।

এদিকে সম্প্রতি হারুনের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্থানীয়রা তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, চাঁদাবাজি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য হারুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুককে (৫০) গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ভোররাতে জেলা শহরের পলাশপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুক সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢোলভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের তালুক হরিদাস গ্রামের মোশাররফ হোসেন নওশার ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, গত ২৬ আগস্ট জেলা বিএনপি ও যুবদলের অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত শহীদুল্যাহেল কবীর ফারুক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে শহরের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি আরও জানান, গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সদর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফারুককে আদালতে হাজির করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা