টেকনাফে আরও মজবুত হলো কোস্ট গার্ড
ছবি : সংগৃহীত
দেশের পূর্বাঞ্চলে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রপথে মাদক দ্রব্য ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল কোস্ট গার্ড।
এ ধারাবাহিকতায় টেকনাফে কোস্ট গার্ড-এর স্টেশন অফিসার্স মেস ও নাবিক নিবাস স্থাপন করা হয়েছে।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব স্থাপনার উদ্বোধন করেন কোস্ট গার্ড-এর মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে সবচেয়ে বেশি মাদক ও মানব পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে পূর্ব জোনের টেনকাফ সমুদ্র সীমায়। সেখানে কোস্ট গার্ড-এর কার্যক্রম থাকলেও সেখানে কর্মকর্তা বা নাবিকদের থাকার ব্যবস্থা ছিল না। ফলে কেবল রুটিন ডিউটি হিসেবে টহলের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, দেশের সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ, উপকূলীয় অঞ্চলে চোরাচালান দমন, মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ রোধ, বনজ সম্পদ সংরক্ষণ, জাটকা ও মা ইলিশ নিধন প্রতিরোধ এবং মানব পাচার প্রতিরোধে সফল ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে সবচেয়ে বেশি অবৈধ মাদক ও মানব পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে এই টেকনাফের সমুদ্র সীমা দিয়ে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত শুধু টেকনাফ স্টেশনেই অভিযান পরিচালনা করে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭০৮ পিস ইয়াবা, ১১ হাজার ৯৪৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৬১ বোতল বিদেশি মদ, ৭৩ দশমিক ৮ কেজি গাঁজা, ১ কেজি আইস, ৩ দশমিক ২৮৭ কেজি স্বর্ণ, ৩ টি পিস্তল, ১২ টি দেশীয় বন্দুক, ১৬ রাউন্ডস গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি এই স্টেশনের অফিসার্স মেস ও নাবিক নিবাস উদ্বোধনের মাধ্যমে পূর্ব জোনের অপারেশনাল কার্যক্রম আরও বেগবান হবে মর্মে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক বলেন, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রপথে মানব পাচার প্রতিরোধ, মাদক দ্রব্য ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, সমুদ্র সীমানায় চোরাচালান দমনসহ কোস্ট গার্ড এর সার্বিক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে টেকনাফ স্টেশনে অফিসার্স মেস ও নাবিক নিবাস উদ্বোধন করা হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মহাপরিচালক বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক টেকনাফ উপকূলবর্তী প্রান্তিক জেলেদের মাঝে জীবন রক্ষাকারী উপকরণ হিসেবে লাইফ জ্যাকেট, লাইফবয়, রেডিও, টর্চ লাইট ও রেইনকোট বিতরণ করা হয়।
এনএইচ/এমএমএ/