চুয়াডাঙ্গা ১ ও ২ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা
সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গার দুটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল প্রতীক) দুই প্রার্থী। কেন্দ্রের অসহযোগিতা এবং উদাসীনতার অভিযোগ এনে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক এ ঘোষণা দেন তারা। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো দুই প্রার্থী হলেন-চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গার দুটি সংসদীয় আসন (চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২) থেকে আমরা নির্বাচন করছিলাম। ইতিমধ্যে দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন এবং ২৮৩ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২৬ জন প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ইচ্ছামত সুবিধা পাচ্ছেন। বাকি ২৫৭ জন প্রার্থীকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ কারণে আমরা আর্থিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাচন বিরোধী সিদ্ধান্ত ভোটারদের কাছে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন ও নিন্দিত করা হয়েছে। এছাড়াও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অসহযোগিতার কারণে আমরা নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা জাতীয় পাটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস খোকন, জীবননগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মমিনুল ইসলাম, জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক আরিফুজ্জামান ও সদস্য তামান্না শারমিন দ্যুতি উপস্থিত ছিলেন।