কাউকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না : হিরো আলম
ছবি: সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাউকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবেন না বগুড়া- ৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
তিনি বলেন, কেউ যেন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে না পারে এজন্য নির্বাচনের মাঠে রয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, ‘আমি আজ বগুড়ায় এসেছি। আগামীকাল থেকে প্রচার শুরু করব। প্রচারের আগে এসপি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। স্যারকে জানিয়েছি, কাহালু নন্দীগ্রামে প্রচারকালে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে যেন পুলিশের সহযোগিতা পাই।’
হিরো আলম আরও বলেন, বগুড়াসহ সারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটা ইসি বারবার বলেছেন। আর এক্ষেত্রে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোট করতে চাচ্ছিলাম না। কারণ ভোটাররা বলছে তোমাকে ভোট দেব কয়বার? তুমি পাস করলে তাও পেলে না। পরে ভোটারদের আবারও অনুরোধে নির্বাচনের মাঠে থাকলাম। আবার অনেকে মনে করেছেন হিরো আলম টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। টাকা খেয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছে। এসব প্রশ্ন ভেঙে দেয়ার জন্যও ভোটের মাঠে রয়েছি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হিরো আলম। পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নেন হিরো আলম। এবারও হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে ডাব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
নির্বাচনের খরচের ব্যাপারে হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচন করতে আহামরি খরচ হয় না। যারা দুর্বল প্রার্থী তারাই নির্বাচনে টাকা খরচ করে। আমার নির্বাচনের খরচ জনগণ দেবে, যারা আমাকে ভালোবাসে। আর জনগণ আমাকে ভালবেসেই ভোট দিতে আসবে।’
হিরো আলমের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘বগুড়ার সাতটি আসনে ৫৪জন প্রার্থীকে পুলিশ সমান সহযোগিতা করবে। এখানে কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। আজ হিরো আলম এখানে এসেছিলেন। তার কথা শুনেছি এবং তাকে আশ্বস্ত করেছি নির্বাচনে কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ নির্বাচনীবিধি মেনে সহযোগিতা করবে।’