সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে মারামারি, প্রাণ গেল আ.লীগ কর্মীর

নিহত রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের নির্বাচনের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত রফিকুল ইসলাম (৫২) একই ইউনিয়নের চর ভবানীপুর কোনাপাড়া গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের হুতারপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কোনাপাড়া হুতারবাড়ির মোড়ে আইনুদ্দিনের দোকানের সামনে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপনকে কেন্দ্র করে নিহতের ছোট ভাই মো. ফারুকের (৪০) সঙ্গে অপর ভাই ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে রাজু (২৮) ও সাজুদের (২৫) কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কিলঘুসির ঘটনা ঘটে। পরে রফিকুল ঘটনাস্থলে এলে কিলঘুষি মারা শুরু করে ভাতিজারা। একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও জানান, দুই পক্ষই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক। তবে কে এই ক্যাম্পের নেতৃত্ব দেবে মূলত এ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি। কারণ নিহত রফিকুলের সঙ্গে ভাতিজাদের আগে থেকেই বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চরে আসছিল।

এছাড়াও রফিকুল এর আগে দুইবার স্ট্রোক করেছিল বলেও জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। ঘটনার তদন্ত চলছে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

করোনা টিকার ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, সালমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

করোনাভাইরাসের টিকা কেনার নামে ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেক্সিমকো ফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৭ মার্চ) সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানিয়ে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘‘দুদক এই অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’

অভিযোগে বলা হয়েছে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি টিকা কেনার জন্য বেক্সিমকো ফার্মাকে সরবরাহকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, এই টিকা কেনার প্রক্রিয়ায় সরকারি ক্রয়বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। বিশেষ করে, বেক্সিমকোকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করায় বাংলাদেশ সরকার অতিরিক্ত দামে টিকা কিনতে বাধ্য হয়েছে। সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা কেনার সুযোগ থাকলে বাংলাদেশের সরকার ৬৮ লাখ বেশি টিকা ক্রয় করতে পারত, এমনকি প্রতি ডোজে ৭৭ টাকা লাভও করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

এছাড়া, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) কর্মকর্তা মইদুল ইসলাম দুদকে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট করোনাভ্যাকসিন নিয়ে অন্তত ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, ‘‘আমরা অনুসন্ধান করছি, তবে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। অনুসন্ধান শেষে সব তথ্য জানানো হবে।’’

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ আগস্ট রাজধানী ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে পালানোর সময় সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

১০০ বছরেও যে দেশে জন্ম হয়নি কোনো শিশুর!

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ ভ্যাটিকান সিটিতে গত ১০০ বছরে একটিও শিশুর জন্ম হয়নি। ১৯২৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি 'ল্যাটেরান চুক্তি'র মাধ্যমে ইতালি থেকে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোনো হাসপাতালও নেই।

ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা মাত্র ৮০০-৯০০ জন। এদের অধিকাংশই বর্ষীয়ান ক্যাথলিক ধর্মযাজক। দেশে হাসপাতাল না থাকার কারণে গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসার জন্য রোমে যেতে হয়।

ভ্যাটিকান সিটির আয়তন মাত্র ১১৮ একর। প্রতিবেশী রোমে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকায় ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ নিজের দেশে হাসপাতাল তৈরি করার প্রয়োজন মনে করেনি।

এছাড়া, ভ্যাটিকান সিটিতে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রেলওয়ে স্টেশন ‘সিটা ভ্যাটিকানো’ অবস্থিত। এটি শুধু পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

অপরাধের দিক থেকেও ভ্যাটিকান সিটি একটি ব্যতিক্রমী দেশ। ছোট হলেও এখানে অপরাধের হার বেশ উল্লেখযোগ্য। মূলত পর্যটকদের কারণেই দোকান লুট, ব্যাগ ছিনতাই এবং পকেটমারির মতো অপরাধ ঘটে।

আরেকটি ছোট অঞ্চল পিটকেয়ার্ন, যা ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জনসংখ্যা ৫০ জনেরও কম হওয়ায় সেখানেও বেশ কয়েক বছর ধরে কোনো শিশুর জন্ম হয়নি। তবে পিটকেয়ার্ন কোনো স্বাধীন দেশ নয়।

Header Ad
Header Ad

আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি, পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি। এই বাস্তবতা মনে রেখেই পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা এই সুযোগে শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা করবে, তাই পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ষড়যন্ত্রও ততই তীব্র হচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, 'পুলিশই সম্মুখ সারির মানুষ। তাদের অবহেলা করে দেশ গড়া সম্ভব নয়। আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করা গেলে, শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করা গেলে, সব যুদ্ধেই জয়ী হওয়া সম্ভব।'

তিনি বলেন, 'নতুন বাংলাদেশ গড়তে পুলিশকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। অতীতে পুলিশ খারাপ মানুষের প্রভাবের শিকার হয়েছে, কিন্তু এখন আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্বও তাদের কাঁধে।'

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এক বিশাল সম্ভাবনার দেশ। কিন্তু সেই সম্ভাবনা আমরা এখনো বাস্তবে রূপ দিতে পারিনি। জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ এসেছে, এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।'

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও বাস্তবতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সামনে বিশ্ব নেতৃত্বের পর্যায়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।'

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন— স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

এছাড়া মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ ও রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ফারজানা ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

করোনা টিকার ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, সালমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু
১০০ বছরেও যে দেশে জন্ম হয়নি কোনো শিশুর!
আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি, পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রী
অধ্যাপক কামরুল ১৮০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক ছুঁলেন
সাবেক মন্ত্রী তাজুলের পরিত্যক্ত বাড়িতে তরুণীকে গণধর্ষণ: গ্রেপ্তার ৫ জন আদালতে
চাকরি থেকে ডিআইজি মোল্যা নজরুল ও এসপি মান্নান বরখাস্ত
দাবি পূরণের আশ্বাস, ধর্মঘট প্রত্যাহার করল রেলওয়ের রানিং স্টাফরা
বহু জেল খেটেছি আর খাটতে চাই না: মির্জা আব্বাস
ডিভোর্স হয়নি, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী: সায়রা বানু
সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন গাজী জসীম উদ্দিন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, তদন্তে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি
হামজা এখন বাংলাদেশে  
‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি  
কর্মবিরতি প্রত্যাহার, দেড় ঘণ্টা পর মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু  
মিরপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন  
ফারাজ করিম ও ফারহান করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  
সাড়ে ১১টায় সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন হামজা  
ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের  
কর্মবিরতিতে মেট্রোরেল কর্মীরা, বিনা টিকিটে ভ্রমণ করছে যাত্রীরা