সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

নজরুল ইসলাম ‘ফাটাকেষ্টো’ মুভির অবসরে যাওয়া সেই বৃদ্ধের বাস্তব রুপ

২২ বছর ধরে আটকে আছে গ্র্যাচুইটির ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার মিঠুন চক্রবর্তি অভিনিত ‘ফাটাকেষ্টো’ চলচ্চিত্রটি দেখে থাকলে হয়তো আপনার মনে পড়বে একজন অবসরে যাওয়া বৃদ্ধের কথা । যিনি পেনশনের সামান্য কিছু টাকার জন্য প্রতিদিন সরকারি অফিসের এক তলা থেকে ৫ তলা অবদি প্রত্যেক টেবিলে কর্মকর্তাদের চাহিদা মত ফাইল ট্রান্সফারের জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য হতেন । এক পর্যায়ে ৫ তলায় গিয়ে প্রধান কর্মকর্তার টেবিলে এক হাজার টাকার নোট না দিতে পারায় দিনের পর দিন পেনশনের চেক আটকে থাকে সেই বৃদ্ধের । মুভির সেই বৃদ্ধের আটকে থাকা পেনশনের চেক নায়ক ‘ফাটাকেষ্টো’ উদ্ধার করে দিলেও বাস্তব জীবনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী নজরুল ইসলামের গ্র্যাচুইটির ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টাকা আটকে আছে ২২ বছর ধরে। তিন তিনবার ব্রেইন স্টোক করেছেন, পারছেন না নিজের চিকিৎসা করাতেও, টাকার অভাবে ২৮ বছর বয়সী ছেলেকেও হারিয়েছেন নজরুল ইসলাম ।

রাজশাহী নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। ২০০১ সালের ৪ এপ্রিল পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর এইএন/পিঅ্যান্ডডি পদ থেকে অবসরে যান তিনি।

আক্ষেপ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০১ সালের ২৯ এপ্রিল আমি চূড়ান্ত অবসরে যাই। এরপরে টাকার জন্য আবেদন করি। সেখান থেকে (সংশ্লিষ্ট দফতর) আমাকে বলা হয়, এইভাবে ঘুরলে হবে না। কিছু পয়সা-কড়ি দিতে হবে। তাদের বলি, “দেখুন, এটা আমার বেতনের টাকা। এটা আমার ছেলেমেয়ের হক, আমার পরিবারের হক, এই টাকা আমি দিতে পারবো না।” তখন তারা বলেন, “এখানে-ওখানে ঘোরাঘুরি করে লাভ হবে না”।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার একটা বন্ধু ছিল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার। তাকে অনুরোধ করে বললাম, টাকার কথা। সে আমাকে তিন হাজার টাকা দেয়। তিন হাজার টাকা নিয়ে আমি তাকে বললাম, আমি লোন হিসেবে নিচ্ছি, টাকা পেলে আপনাকে ফেরত দিয়ে দেবো। তিন হাজার টাকা আমি সেই ব্যক্তির (সংশ্লিষ্ট দফতরের সেই সময় টাকা চাওয়া ব্যক্তি) হাতে গুনে দিলাম। তার কয়েকদিন পরে গেছি। তিনি বললেন, আপনি ওমুক তারিখে আসেন। গেলাম। তিনি বলেন, “এতে তো হবে না। আরও কিছু টাকা দেন।” আমার কিছু কলিগ ছিলেন, তাদের ধরে বললাম, তিন হাজার টাকা দিয়েছি তার পরেও চাচ্ছে। তখন তাদের কাছে থেকে হাজার পাঁচ-সাতেক টাকা নিয়ে দিয়েছি। এর পরে আমি প্রায় চার মাস ঘুরলাম। তিনি আমাকে বলেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার (তৎকালীন) বলেছেন, ৫০ হাজার টাকা লাগবে (সত্য-মিথ্যা জানি না)। আমি বলেছি, দিতে পারবো না। তারপরে আমি বহু ঘুরাঘুরি ও দৌড়াদৌড়ি করেছি।’

টাকার জন্য বিভিন্ন অফিসে ঘুরেও কোন ফল হয়নি উল্লেখ করে নজরুল বলেন, ‘আমি অনেক অনুনয়-বিনয় করেছি। চাকরিজীবনে যেসব জায়গায় কাজ করেছি, তার সব কাগজ দেখিয়েছি। আমি ১৫ থেকে ১৬ জায়গায় কাজের সব প্রশংসাপত্র দিয়েছি। আমার সবই পরিষ্কার, ঠিক আছে। আমি শুধু ঘুরছি আর ঘুরছি। টাকা পাইনি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। প্রধান বিচারপতিকে (বর্তমান ও সাবেক) চিঠি দিয়েছি। আমার কাগজপত্রে আমার চিফ ইঞ্জিনিয়ার (সাবেক) লিখেছেন, “আপনার একটা অডিট অাপত্তি ছিল। সেটি বাদ দিয়ে আপনার টাকা দেওয়ার কথা বলেছি ঢাকার সিজিও অফিসকে।” কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।’

তিনি জানান, তার বড় ছেলে ২৮ থেকে ২৯ বছর বয়সে কিছুদিন আগে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। ছেলেই তার সব খরচ দিতেন। তার স্ত্রী ও আরও সন্তান রয়েছে। এ ছাড়া তার দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা আছে। তারা বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে। নজরুলের দাবি, ছেলেরা অল্প টাকা বেতন পান। তা দিয়ে তাদের কোনোমতে চলে। তিনি বাড়ি ভাড়া পান সাত হাজার টাকা। আর দুই ছেলে সাহায্য করেন। এমন অবস্থায় কষ্টে দিন যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

নজরুল ইসলামের সরবরাহ করা কাগজপত্রে জানা গেছে,মহাপরিচালক পরিবহন অডিট অধিদফতর, অডিট কমপ্লেক্স (১১ তলা) সেগুন বাগিচা, ঢাকা বরাবর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর নং-১৫১-জি/১৪৬৯/প:/ক(৪) স্মারক। এর বিষয় ছিল নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত-এইএন/পিঅ্যান্ডডি/পশ্চিম/রাজশাহীর গ্র্যাচুইটির স্থগিত করা অর্থ ফেরত প্রদান প্রসঙ্গে। এতে স্বাক্ষর করেন, নির্বাহী প্রকৌশলী/ পিঅ্যান্ডডি (পশ্চিম) মো. আনোয়ার হোসেন (পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী, পশ্চিম, বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী)। ২০০২ সালের ২৯ এপ্রিল এইএন/অ্যান্ডডি রাজশাহী হিসেবে অবসরগ্রহণ করেছেন তিনি। ইতোপূর্বে তার মাসিক পেনশন মঞ্জুর করা হয়েছে। ১৯৭১-৭২ থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছর পর্যন্ত সব সাধারণ অনুচ্ছেদভুক্ত অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গ্র্যাচুইটির স্থগিতকৃত অর্থ বাবদ ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টাকা ৯৯ পয়সা ফেরত প্রদান করার জন্য পত্র নং-১৫১-জি/১৪৬৯/ প: ক(চ) ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সিপিও/পশ্চিম/রাজশাহীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়। যে পরিপ্রেক্ষিতে সিপিও/পশ্চিম (রাজশাহী কর্তৃক পত্র নং-এস/৭১৯/১৫৪ লুজ (ও) তাং-১৬/০২/২০২১-এর মাধ্যমে এফএঅ্যান্ডসিএও। পশ্চিম/রাজশাহীকে ওই ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টাকা ৯৯ পয়সা নজরুল ইসলামের অনুকূলে ফেরত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও কোনো টাকা পাননি তিনি।

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিষ্পত্তি করা অডিট আপত্তির বিপরীতে গ্রাচুইটির স্থগিত করা ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টাকা ৯৯ পয়সা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। টাকার অভাবে জীবনযাপন করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে টাকার অভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।’

তার স্ত্রী সানিয়া বানু (৬৫) বলেন, ‘আমাদের অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মারা গেছে। তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। বাড়ি ভাড়ার সাত হাজার টাকায় মাস চালাতে অনেক কষ্ট হয়। স্বামীর টাকাটা পেলে অনেক উপকার হতো।’

বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেনের ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সেখানে পর্যটক যাতায়াতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যেখানে ৯৪টি স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সাজেকে পর্যটক গমন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।”

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগুনে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতবাড়ি, ২০টি দোকান এবং ৭টি রেস্টুরেন্ট সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িগুলোর মধ্যে ১৯টি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর এবং বাকিগুলো লুসাই জনগোষ্ঠীর।

অন্যদিকে, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী কমিশনার ইমতিয়াশ ইয়াসিন জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে মোট ১২০ থেকে ১৪০টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা জানান, “সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রথমে ইকো ভ্যালি রিসোর্টে আগুন দেখা যায়, পরে তা আশপাশের অন্যান্য রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণ, সেনাবাহিনী ও পুলিশ আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।”

পরবর্তীতে, বাঘাইছড়ি, দিঘিনালা, খাগড়াছড়ি, পানছড়ি ও রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ চেষ্টার পর বিকেল ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, “বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নতুন করে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য পানি ছিটানো হচ্ছে। তবে পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় পানি সংগ্রহে সমস্যা হয়েছে।”

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বলেন, “প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।”

সাজেক ভ্রমণ বন্ধের ঘোষণার ফলে পর্যটন খাত সাময়িকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার পর্যটকদের জন্য সাজেক উন্মুক্ত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!

রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে প্রতি কেজি খেজুরের দাম বছরের ব্যবধানে কমেছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এবার ১০ শতাংশ শুল্কহার কমানোয় খেজুরের দাম কমেছে। পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের দাম আরো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা।

গত বছর খেজুরের দাম যখন রোজাদারদের নাগালের বাইরে তখন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন পরামর্শ দিয়েছিলেন খেজুরের বদলে বরই (কুল) খাওয়ার জন্য।

চট্টগ্রাম নগরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বহু জাতের খেজুরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ইরাকি জায়েদি খেজুরের। এ ছাড়া নিম্নবিত্তের ভরসায় আছে নরম বরই খেজুর। গত বছরের তুলনায় নরম বরই খেজুর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, জায়েদি খেজুর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কমে ৩৫০ থেকে ৩৭০, আজোয়া খেজুর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমে ৬০০ থেকে ৮০০, মেডজল খেজুর ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কমে ৯০০ থেকে ৯৫০ এবং মাবরুম খেজুর ৪০০ টাকা কমে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বহুল চাহিদা থাকা জায়েদি খেজুর পাইকারিতে ১০ কেজি কার্টনের দাম ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বস্তার খেজুর ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জায়েদি খেজুরের দাম আরো কমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশে ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি ও ফলমণ্ডীর ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ডিউটি কমানোর কারণে ছোট ছোট আমদানিকারকরা এবার প্রচুর খেজুর আমদানি করেছে। গত বছর ডিউটিসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে তারা আমদানির সুযোগ পায়নি।

তাই খেজুর নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষের মধ্যে একটা অস্বস্তি ছিল। এ বছর খেজুরের দাম ও সরবরাহ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। বন্দর ও জাহাজে আরো ৩০ শতাংশের মতো খেজুর আছে। যা আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাজারে ঢুকবে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভজনক অবস্থায় থাকবে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত বছর হাজী সেলিমের মদিনা ও নজরুল ইসলামের নাসা সিন্ডিকেট করে একচেটিয়া খেজুর এনে সেগুলো সংরক্ষণ করে, শোরুম খুলে খেজুর বিক্রি করেছে। তাই বাজারে খেজুরের সংকট ও দাম বেড়েছে। ঋণপত্র খোলার মার্জিনসহ বিভিন্ন শর্ত শিথিলের কারণে এবার ছোট-ছোট আমদানিকারকরা ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েছে। তাই রমজানের বাজার নিয়ে ক্রেতাদের দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না।’

রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, ‘এ বছর খেজুরের দাম এখন থেকেই কম। আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। দাম নিয়ে সবাই শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দেয়। কিন্তু এবার সরকার যেভাবে মনিটরিংয়ে রেখেছে তাতে দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। এবার খেজুরের দাম রমজানের শুরুতেও কম থাকবে। পরে হয়তো আরো কমতে পারে।’

ফ্রেশ ফ্রুটস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা ৬০ থেকে ৯০ হাজার টন। শুধু রমজান মাসে ৪০ হাজার টন খেজুর প্রয়োজন হয়। খেজুরগুলো মূলত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিসর, জর্দান, ইরাক, ইরান ও পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ইরাকি জায়েদি খেজুরের।

আসন্ন রমজানকে লক্ষ্য করে ৪৮ দিনে আমদানি হয়েছে বিভিন্ন জাতের ৩১ হাজার ৬৪৩ টন খেজুর, যা মোট আমদানির ৭০ শতাংশ। পাইপ লাইনে থাকা বাকি ৩০ শতাংশ আগামী ১০ দিনের মধ্যেই বাজারে আসবে। অথচ গতবছর খেজুর আমদানির পরিমাণ চলতি বছরের তুলনায় বেশি হলেও খোলা বাজারে পর্যাপ্ত খেজুর ছিল না।

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, পচনশীল পণ্য হওয়ায় দুই মাস আগে রমজানকে লক্ষ্য করে খেজুর আনা হয়। সে হিসেবে গত রমজানের আগের ৬০ দিনে ৫৪ হাজার ৩৫৩ টনের বেশি আমদানির বিপরীতে এবার আনা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৭০ টন আর পাইপ লাইনে রয়েছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টন।

Header Ad
Header Ad

সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিভিন্ন মহল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এরই মধ্যে তিনি জানান, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান ছিনতাই ও ডাকাতি দমনে আজ সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাওয়া যাবে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমার মনে হয় কোনো মিডিয়ায় এমন লেখে নাই, “এ বছর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো”। এ রকম কিন্তু কোনো সংবাদ মনে হয় কোনো সাংবাদিক...যেহেতু আমি নিজেও এক সময় সাংবাদিকতা করেছি, আমি মর্নিং নিউজে ছিলাম—আমরাও কোনো দিন করি নাই। কিন্তু এখনো যে পরিস্থিতি, আগের মতোই অবস্থা। আমি বলবো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্যাটিসফ্যাকটরি (সন্তোষজনক)। কিন্তু এটার উন্নতি করার অবকাশ রয়ে গেছে।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করতে বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজ রাতে দেখবেন পরিস্থিতি কী হয়। অপরাধ ঘটলেই ডেভিল হান্ট অপারেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যার পর থেকে অপারেশনে আরও জোরেশোরে নামবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগে কী হতো, যেমন বনশ্রীর ঘটনাটি জানতে জানতে দুদিন সময় লেগে যেতো, এখন সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা জেনে যায়। ছোটখাটো ঘটনা সবসময় আগেও ঘটেছে, দু-একদিন আগেও ঘটেছে। তবে, ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে এজন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই না, এ ধরনের একটি ঘটনাও ঘটুক।

মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে, মানুষকে কীভাবে আশ্বস্ত করতে চান- এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে আশ্বস্ত করার জন্যই তো আজকে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং করলাম। তাদের একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছি, তারা যেন সন্ধ্যার পর থেকেই কাজ শুরু করে। আপনারা এটি সন্ধ্যার পর থেকেই টের পাবেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কী নির্দেশনা দিয়েছেন- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আজকে রাতেই আপনারা দেখবেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকটিভিটিস (তৎপরতা) অনেক বেড়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা
রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!
সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর
পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান