রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নজরুল ইসলাম ‘ফাটাকেষ্টো’ মুভির অবসরে যাওয়া সেই বৃদ্ধের বাস্তব রুপ

২২ বছর ধরে আটকে আছে গ্র্যাচুইটির ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার মিঠুন চক্রবর্তি অভিনিত ‘ফাটাকেষ্টো’ চলচ্চিত্রটি দেখে থাকলে হয়তো আপনার মনে পড়বে একজন অবসরে যাওয়া বৃদ্ধের কথা । যিনি পেনশনের সামান্য কিছু টাকার জন্য প্রতিদিন সরকারি অফিসের এক তলা থেকে ৫ তলা অবদি প্রত্যেক টেবিলে কর্মকর্তাদের চাহিদা মত ফাইল ট্রান্সফারের জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য হতেন । এক পর্যায়ে ৫ তলায় গিয়ে প্রধান কর্মকর্তার টেবিলে এক হাজার টাকার নোট না দিতে পারায় দিনের পর দিন পেনশনের চেক আটকে থাকে সেই বৃদ্ধের । মুভির সেই বৃদ্ধের আটকে থাকা পেনশনের চেক নায়ক ‘ফাটাকেষ্টো’ উদ্ধার করে দিলেও বাস্তব জীবনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী নজরুল ইসলামের গ্র্যাচুইটির ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টাকা আটকে আছে ২২ বছর ধরে। তিন তিনবার ব্রেইন স্টোক করেছেন, পারছেন না নিজের চিকিৎসা করাতেও, টাকার অভাবে ২৮ বছর বয়সী ছেলেকেও হারিয়েছেন নজরুল ইসলাম ।

রাজশাহী নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। ২০০১ সালের ৪ এপ্রিল পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর এইএন/পিঅ্যান্ডডি পদ থেকে অবসরে যান তিনি।

আক্ষেপ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০১ সালের ২৯ এপ্রিল আমি চূড়ান্ত অবসরে যাই। এরপরে টাকার জন্য আবেদন করি। সেখান থেকে (সংশ্লিষ্ট দফতর) আমাকে বলা হয়, এইভাবে ঘুরলে হবে না। কিছু পয়সা-কড়ি দিতে হবে। তাদের বলি, “দেখুন, এটা আমার বেতনের টাকা। এটা আমার ছেলেমেয়ের হক, আমার পরিবারের হক, এই টাকা আমি দিতে পারবো না।” তখন তারা বলেন, “এখানে-ওখানে ঘোরাঘুরি করে লাভ হবে না”।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার একটা বন্ধু ছিল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার। তাকে অনুরোধ করে বললাম, টাকার কথা। সে আমাকে তিন হাজার টাকা দেয়। তিন হাজার টাকা নিয়ে আমি তাকে বললাম, আমি লোন হিসেবে নিচ্ছি, টাকা পেলে আপনাকে ফেরত দিয়ে দেবো। তিন হাজার টাকা আমি সেই ব্যক্তির (সংশ্লিষ্ট দফতরের সেই সময় টাকা চাওয়া ব্যক্তি) হাতে গুনে দিলাম। তার কয়েকদিন পরে গেছি। তিনি বললেন, আপনি ওমুক তারিখে আসেন। গেলাম। তিনি বলেন, “এতে তো হবে না। আরও কিছু টাকা দেন।” আমার কিছু কলিগ ছিলেন, তাদের ধরে বললাম, তিন হাজার টাকা দিয়েছি তার পরেও চাচ্ছে। তখন তাদের কাছে থেকে হাজার পাঁচ-সাতেক টাকা নিয়ে দিয়েছি। এর পরে আমি প্রায় চার মাস ঘুরলাম। তিনি আমাকে বলেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার (তৎকালীন) বলেছেন, ৫০ হাজার টাকা লাগবে (সত্য-মিথ্যা জানি না)। আমি বলেছি, দিতে পারবো না। তারপরে আমি বহু ঘুরাঘুরি ও দৌড়াদৌড়ি করেছি।’

টাকার জন্য বিভিন্ন অফিসে ঘুরেও কোন ফল হয়নি উল্লেখ করে নজরুল বলেন, ‘আমি অনেক অনুনয়-বিনয় করেছি। চাকরিজীবনে যেসব জায়গায় কাজ করেছি, তার সব কাগজ দেখিয়েছি। আমি ১৫ থেকে ১৬ জায়গায় কাজের সব প্রশংসাপত্র দিয়েছি। আমার সবই পরিষ্কার, ঠিক আছে। আমি শুধু ঘুরছি আর ঘুরছি। টাকা পাইনি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। প্রধান বিচারপতিকে (বর্তমান ও সাবেক) চিঠি দিয়েছি। আমার কাগজপত্রে আমার চিফ ইঞ্জিনিয়ার (সাবেক) লিখেছেন, “আপনার একটা অডিট অাপত্তি ছিল। সেটি বাদ দিয়ে আপনার টাকা দেওয়ার কথা বলেছি ঢাকার সিজিও অফিসকে।” কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।’

তিনি জানান, তার বড় ছেলে ২৮ থেকে ২৯ বছর বয়সে কিছুদিন আগে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। ছেলেই তার সব খরচ দিতেন। তার স্ত্রী ও আরও সন্তান রয়েছে। এ ছাড়া তার দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা আছে। তারা বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে। নজরুলের দাবি, ছেলেরা অল্প টাকা বেতন পান। তা দিয়ে তাদের কোনোমতে চলে। তিনি বাড়ি ভাড়া পান সাত হাজার টাকা। আর দুই ছেলে সাহায্য করেন। এমন অবস্থায় কষ্টে দিন যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

নজরুল ইসলামের সরবরাহ করা কাগজপত্রে জানা গেছে,মহাপরিচালক পরিবহন অডিট অধিদফতর, অডিট কমপ্লেক্স (১১ তলা) সেগুন বাগিচা, ঢাকা বরাবর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর নং-১৫১-জি/১৪৬৯/প:/ক(৪) স্মারক। এর বিষয় ছিল নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত-এইএন/পিঅ্যান্ডডি/পশ্চিম/রাজশাহীর গ্র্যাচুইটির স্থগিত করা অর্থ ফেরত প্রদান প্রসঙ্গে। এতে স্বাক্ষর করেন, নির্বাহী প্রকৌশলী/ পিঅ্যান্ডডি (পশ্চিম) মো. আনোয়ার হোসেন (পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী, পশ্চিম, বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী)। ২০০২ সালের ২৯ এপ্রিল এইএন/অ্যান্ডডি রাজশাহী হিসেবে অবসরগ্রহণ করেছেন তিনি। ইতোপূর্বে তার মাসিক পেনশন মঞ্জুর করা হয়েছে। ১৯৭১-৭২ থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছর পর্যন্ত সব সাধারণ অনুচ্ছেদভুক্ত অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গ্র্যাচুইটির স্থগিতকৃত অর্থ বাবদ ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টাকা ৯৯ পয়সা ফেরত প্রদান করার জন্য পত্র নং-১৫১-জি/১৪৬৯/ প: ক(চ) ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সিপিও/পশ্চিম/রাজশাহীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়। যে পরিপ্রেক্ষিতে সিপিও/পশ্চিম (রাজশাহী কর্তৃক পত্র নং-এস/৭১৯/১৫৪ লুজ (ও) তাং-১৬/০২/২০২১-এর মাধ্যমে এফএঅ্যান্ডসিএও। পশ্চিম/রাজশাহীকে ওই ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টাকা ৯৯ পয়সা নজরুল ইসলামের অনুকূলে ফেরত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও কোনো টাকা পাননি তিনি।

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিষ্পত্তি করা অডিট আপত্তির বিপরীতে গ্রাচুইটির স্থগিত করা ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টাকা ৯৯ পয়সা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। টাকার অভাবে জীবনযাপন করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে টাকার অভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।’

তার স্ত্রী সানিয়া বানু (৬৫) বলেন, ‘আমাদের অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মারা গেছে। তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। বাড়ি ভাড়ার সাত হাজার টাকায় মাস চালাতে অনেক কষ্ট হয়। স্বামীর টাকাটা পেলে অনেক উপকার হতো।’

বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেনের ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল আবারও উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে এবার কোনো সিনেমা বা গ্ল্যামার নিয়ে নয়, বরং ব্যক্তিগত জীবনের একটি রহস্যজনক ইঙ্গিত নিয়েই সরব নেটিজেনরা। ৪৯ বছর বয়সেও তার স্টাইল ও সৌন্দর্যে মোহিত ভক্তরা, কিন্তু সম্প্রতি দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে পোস্ট করা একটি ছবিতে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জল্পনা।

সবুজ মনোকিনিতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম হাতে, খোলা চুল, চোখে সানগ্লাস আর মাথায় স্টাইলিশ টুপি পরে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন আমিশা। সাধারণত এমন ছবিতে ভক্তরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেন কমেন্ট বক্স। তবে এবার নজর কাড়ে তার পেট। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, ছবিতে ‘বেবি বাম্প’ স্পষ্ট। আর সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে— “তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?” কেউ লিখেছেন, “বিয়ের আগেই বেবি?” আবার কেউ লিখেছেন, “হে ভগবান, এটা কি সত্যি?”

 

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি আমিশা। তবে এর আগে ১৯ বছরের ছোট নির্বাণ বিড়লার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। একটি ছবি ঘিরে তখনো নেটদুনিয়ায় বেশ আলোচনা হয়েছিল, যেখানে নির্বাণকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করেন আমিশা, আর নির্বাণও তেমনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।

বর্তমানে আমিশার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এটি নিছক গুজব, আলো ছড়ানো একটি ছবি, না কি সত্যিই জীবনের নতুন অধ্যায়—তা সময়ই বলে দেবে। তবে একথা নিশ্চিত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় থাকতে অভিনেত্রী ভালোই জানেন কীভাবে দর্শকদের কৌতূহলী করে তুলতে হয়।

Header Ad
Header Ad

পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রদল কর্মী পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন। কাঁদছে স্বজন ও গ্রামের মানুষ।

তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে হতবাক সবাই। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি স্বজন ও এলাকাবাসির। রাত ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে পারভেজের লাশ।

সন্তান হারানো শোকে আজোড়ে কাঁদছেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা পারভীন আক্তার। বাবা জসিম উদ্দিন যেন শোকে পাথর। এলাকার প্রিয়মুখ পারভেজের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে কাঁদছে গ্রামের মানুষ।

মৃত্যুর আগের রাতে মায়ের সাথে শেষ কথা হয় পারভেজের। শেষবারের মতো ভিডিও কলে দেখেন ছেলের মুখ।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কুয়েত প্রবাসী বাবা জসিম উদ্দিন বাড়ি এসেছেন রোববার ভোরে। একমাত্র ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সন্তান হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবা জসিম উদ্দিন।

মা পারভীন আক্তার বলেন, 'যারা আমার ছেলেরে মারছে তাদের আমার সামনে আনো। আমি জিগাইতাম কেরে আমার ছেলের মারছে।'

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, 'আমার আর বাইচ্চা থাইক্যা কি অইবো। আমার ছেলেই তো নাই। হাত-পা ভাইঙ্গা রাখতো, সারাজীবন পালতাম, খালি বাবা ডাকটা শুনতাম। যারা আমার ছেলে মারছে তাদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই।'

বাবা বিদেশে থাকায় নিজের গ্রামের বাড়িতে নতুন একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন পারভেজ। কিন্তু সে বাড়িতে আর থাকা হলো না তার। ফিরেছে লাশ হয়ে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ আসে গ্রামের বাড়ি ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে। লাশ আসার পর সৃষ্টি হয় হৃদয় বিধারক পরিবেশ। পাগল প্রায় মা-বাবা-বোনের আহাজারিতে কান্নার রোল পড়ে।

পারভেজের মৃত্যুর খবরে ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকার মানুষ। এলাকায় স্বজন, ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত পারভেজ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানান স্বজন ও এলাকার মানুষেরা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত পারভেজের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি জানান স্থানীয়রা।

পারভেজের পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারভেজের বাবা বিরুনীয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। পারভেজ এলাকায় আসলে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মসূচি ও মিছিলে সবসময় অগ্রভাগে থাকতো।

এদিকে ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রোববার বিকেলে ভালুকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও স্থানীয়রা। এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল পারভেজ। এ ঘটনায় আটজনের নামসহ অজ্ঞাত আসামি করে বনানি থানায় মামলা করেছে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির ধারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ১৯ বছর বয়সী মাঝমাঠের খেলোয়াড় কিউবা মিচেল বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিউবাকে গতকাল একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। আজ বিকেলে সেই ই-মেইলের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তিনি আগ্রহী এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুত আছেন।

জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের হলেও কিউবার মা বাংলাদেশের এবং বাবা জ্যামাইকান। ইতোমধ্যে সান্ডারল্যান্ডের হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার ফুটবল যাত্রা শুরু হয়েছিল বার্মিংহাম সিটির যুব দলে।

এর আগে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কাভালরির ফুটবলার সামিত সোমও বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

ডেনমার্কপ্রবাসী মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়ার পথ ধরে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ দলে খেলার এই ধারা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহও বেড়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী