পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে প্রভাষককে মারধরের অভিযোগ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কলেজ শিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত
যশোরের চৌগাছায় বাসের ধাক্কায় পথচারী এক বৃদ্ধ আহত হন। তাকে উদ্ধারের পর বাস ও আহতের ছবি তোলায় এক কলেজ প্রভাষককে মারধর করে আহত করেছে বাস শ্রমিকরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ওই শিক্ষকের পকেটে থাকা নগদ ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চৌগাছা উপজেলা শহরের যশোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আহত আবদুল মাজিদ বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি চৌগাছা উপজেলার এবিসিডি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আবদুল মাজিদ জানান, শনিবার সকালে আমি চৌগাছা শহরের বিশ্বজিৎ স্যানিটারিতে মালামাল কিনতে যাই। এ সময় পাশেই হাসিব ইলেকট্রনিক্সের সামনে লোকজনের জটলা চোখে পড়ে। পরে কৌতূহল মেটাতে সেদিকে এগিয়ে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি একটি বাসের চাকার নিচে এক বৃদ্ধের একটি পা চাপা পড়ে আছে। পরে আমি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই বৃদ্ধকে ভ্যানে করে হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগ নেই। এসময় ওই বৃদ্ধের দুটি ও বাসের একটি ছবিও তুলি। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে বিশ্বজিৎ স্যানিটারিতে চলে আসি।
চিকিৎসাধীন শিক্ষক আরও জানান, সেখানে অবস্থানকালে বাস পরিবহন শ্রমিক সোহাগের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মারধর করতে করতে একপর্যায়ে আমাকে ভ্যানে করে বাস মালিক সমিতির অফিসে নেওয়া হয়। সেখানে নিয়েও মারধর করা হয়। সেখানে আলমগীর নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগ, এসময় তার পকেটে থাকা নগদ এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান হামলাকারীরা। আবদুল মাজিদকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, আবদুল মাজিদের হাত ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার করা হয়। এরপর তাকে যশোরে ভর্তি করা হয়েছে।
চৌগাছা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি। কাল আমাদের সভা আছে। সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষককে মারধরের বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।