ইউপি সচিবকে ঘুষ দিলে কাজ হয় বিদ্যুৎ গতিতে!
ঘুষসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর মান্দায় কাঁশোপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। তাকে ঘুষ না দিলে মিলছে না জন্মনিবন্ধন সনদ, ওয়ারিশান সনদ, এমনকি চারিত্রিক সনদও।
ভুক্তভোগীরা জানান, চাহিদা মতো ঘুষ দিলে কাজ হয় বিদ্যুৎ গতিতে। না দিলে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বের করে অযথা হয়রানি করেন মাসের পর মাস।
সরেজমিনে পরিষদে গিয়ে দেখা হয় তুলসী রামপুর গ্রামের শফিক আলম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। কথায় কথায় তিনি বলেন, '২টি নিবন্ধনের জন্য ৩০০ টাকা দাবি করেন সচিব। কিছু কম দিতে চাওয়ায় নানা অজুহাতে একমাস অযথা হয়রানি করছেন। আজ ২৬০ টাকা দিয়ে হাতে-পায়ে ধরে কাজ করিয়ে নিলাম।’
নাপিতপাড়া গ্রামের শিউলি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, 'আমার দুই ছেলের নিবন্ধনের জন্য ৪০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।’ একই গ্রামের মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমিও ৪৫০ টাকা দিয়ে ৩টি নিবন্ধন নিয়েছি।'
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নিষ্পাপ দাবি করেন ইউপি সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া হয় না। তবে সার্ভারের সমস্যার কারণে অনেক সময় কাজে বিলম্ব হয়।’
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকার নির্ধারিত ফি জন্মের ৪৫ দিন বয়স পর্যন্ত বিনামূল্যে, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা এবং ১৮ অধিক বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা। আবেদন ফি-সহ ৮০ থেকে ৯০ টাকা নেওয়ার কথা। এর বেশি নেওয়া সমীচীন নয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসআর/এমএসপি