জাতীয় স্কুল ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
'যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে'-গানটির এ লাইন আবারো প্রমান করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে একের পর এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে অবশেষে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
আজ (রোজ শনিবার) সকাল ৯ ঘটিকায় সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অঘোষিত ফাইনাল খেলায় চাপা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ ছিল
গোলাপ অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়। এ ম্যাচে পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি করে গোল করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিমন, শাওন ও শাকিল।
৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় লীগ ভিত্তিক। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগে থেকেই লীগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল পর্যায়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আজকের ম্যাচে কমপক্ষে ড্র বা ১ পয়েন্ট দরকার ছিল।
অঘোষিত ফাইনাল খেলায় শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের উপর একের পর এক আক্রমণে কুপোকাত করে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা। এর ফলও তারা পায় ম্যাচের মাত্র ৩৬ মিনিট। গৌরব কর্মকার লিমনের অসাধারণ গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড পায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় খেলোয়াড়েরা। এবার জ্বলে ওঠে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার শাওন। দুর্দান্ত এক গোল করে শাওন। ম্যাচের ঠিক শেষ দিকে আর একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে শাকিল। আর সেই সাথে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।
ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষকরা আবেগে আপ্পলুত হয়ে পরে।
মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই অর্জন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় তথা পুরো গাইবান্ধা জেলার। তিনি আরও বলেন, তার স্কুলের ছেলেরা একদিন জাতীয়দলে খেলবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।