বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৭ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্কুল পর্যায়ের ফুটবল খেলায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের জয়রথ ছুটেই চলেছে

৫০ তম গ্রীষ্মকালীন স্কুল পর্যায়ের ফুটবল খেলায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের জয়রথ ছুটেই চলেছে। মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল দল রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়ে এখন ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতে অংশ নিচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে রংপুর বিভাগ শেষ করে চাপা অঞ্চল পর্যন্ত তারা জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে।

গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হলো তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বের করে আনার জন্য অন্যতম পদ্ধতি। এই প্রতিযোগিতা সুষ্ঠূভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুরা দেশকে ৪টি অঞ্চলে ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো বকুল,পদ্ম,গোলাপ ও চাপা নাম। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ হলো চাপা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।

প্রথমে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় জেলা পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় শক্তিশালী সুন্দরগঞ্জ হাই স্কুলের। গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়ামে ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং তারিখে উক্ত ফাইনাল খেলায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ৬-০ গোলে সুন্দরগঞ্জ হাই স্কুলকে পরাজিত করে গাইবান্ধা জেলার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

জেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় পৌঁছে যায় বিভাগীয় পর্যায়ে। উপঅঞ্চলের সেরা হওয়ার লক্ষ্যে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ছিল মানসিক ভাবে অটুট।

বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে ফাইনালে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ দল হিসেবে পায় শক্তিশালী নীলফামারী জেলা চ্যাম্পিয়ন দলকে । ২৩সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং তারিখের ফাইনালে ১-০ গোলে জয়ী হয়ে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয় গাইবান্ধা জেলার মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।

এবার চাপা অঞ্চলের সেরা হওয়ার ম্যাচে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুই বিভাগের সেরা দুই দল। ২৫সেপ্টেম্বর ,২০২৩ইং রোজ সোমবার রাজশাহী বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ও রংপুর বিভাগের চ্যাম্পিয়ন দলের মধ্যকার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত খেলায় ২-১ গোলে জয়ী হয়ে চাপা অঞ্চল থেকে জাতীয় পর্যায়ের মেইন ইভেন্টে খেলার সুযোগ পায় রংপুর বিভাগের চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। উক্ত ম্যাচে গোল করেন সাদিকুর রহমান রানু ও শাকিল মিয়া।

মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের হয়ে চাপা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণ করেন প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার দেবনাথ ও ক্রীড়া শিক্ষক নূরে আলম সরকার নান।

এ জয়ে মহিমাগঞ্জের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে আনন্দের সুবাতাস বইছে। সেই সাথে সবাই দোয়া করছে যেন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ৫০তম গ্রীষ্মকালীন ফুটবলের জাতীয় পর্যায়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারে।

আগামীকাল ২৭, সেপ্টেম্বর ২০২৩ হতে শুরু যাচ্ছে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন ফুটবলের জাতীয় পর্যায়ের মেইন ইভেন্ট। সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও স্টেডিয়ামে এ ম্যাচ গুলো অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় সিলেটে অবস্থান করছেন। এখানে তাদের ম্যাচ গুলো হবে গোলাপ,বকুল ও পদ্ম অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন দলগুলোর সাথে।

মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার দেবনাথ ও ক্রীড়া শিক্ষক নূরে আলম সরকার নানের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে, তারা জানান," মহিমাগঞ্জ তথা গোটা গাইবান্ধা বাসীর সবার কাছ অনেক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা পাচ্ছেন। আর সেই সাথে তারা মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় দলের সকল খেলোয়াড়ের সাফল্যের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন । "

 

Header Ad

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের

ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক শিক্ষক-শিক্ষার্থী আলোচনা সভা শেষে তারা এই ঘোষণা দেন।

আলোচনা চলাকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নূর নবী নিজেকে পুনরায় সমন্বয়ক হিসেবে ঘোষণা করলে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক রইস উদদীন এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির আহমেদ এগিয়ে আসেন।

আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, চলমান আন্দোলনে কোনো সমন্বয়কের ভূমিকা বা পদ থাকবে না, সবাই নিজেকে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত করবেন। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, "আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত সিদ্ধান্ত দাবি করেছিলাম, কিন্তু কিছু ব্যক্তি আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন, যা চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।"

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আগে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বিভিন্ন দিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের স্পষ্ট বার্তা-এই আন্দোলনে কোনো সমন্বয়ক নেই, সব শিক্ষার্থী এখানে সমান।

Header Ad

টাকার জন্য মাকে হত্যা, লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে উম্মে সালমা খাতুন (৫০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান। হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে যান তিনি এবং ঘটনাকে ডাকাতি হিসেবে সাজাতে আলমারি কুপিয়ে বাসার তালা লাগিয়ে বাইরে চলে যান।

গতকাল সোমবার রাতে র‍্যাব সদস্যরা সাদকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সাদ দুপচাঁচিয়া দারুসসুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার কামিল শ্রেণির ছাত্র এবং মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের ছেলে।

র‍্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান, গত ১০ নভেম্বর জয়পুরপাড়া এলাকায় তাদের বাসা ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’-এ উম্মে সালমা খাতুনের লাশ ডিপ ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে র‍্যাব তদন্ত শুরু করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাদকে কাহালু থানার আগোবাড়ি গ্রামে দাদার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে সাদ জানান, হাত খরচের টাকা নিয়ে মায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলছিল। প্রায়ই বাসা থেকে টাকা হারিয়ে যেত, যা নিয়ে মা তাকে বকা দিতেন। ঘটনার দিন সকালে হাত খরচের টাকা নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। রাগে নাশতা না খেয়ে সাদ মাদ্রাসায় চলে যান। পরে মাদ্রাসার ক্লাস বিরতিতে বাসায় ফিরে মাকে একা পেয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার মায়ের নাক-মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

ঘটনার ভয়াবহতা ও আকস্মিকতার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

Header Ad

মাদক ও বাল্য বিবাহকে না বলে শপথ নিলো ৬শ শিক্ষার্থী

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর সদর উপজেলার চক আতিথা উচ্চ বিদ্যালয়ে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা মাদক, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ বিরোধী ও দেশ প্রেমে জাগ্রত হতে শপথ নেন। পরে বিদ্যালয়ের ৬শ শিক্ষার্থীর মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থীকে গাছের চারা উপহার দেয় সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে গাছের চারা হাতে নিয়ে দেশ প্রেমের এ শপথ নিয়েছেন তারা।

এসময় লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. রবিন শীষ।

জানা যায়, গত ১৪ বছর থেকে সংগঠনটির সদস্যরা টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সারাদেশে মাদক, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন ও গাছের চারা বিতরণ করে আসছেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল বর্তমানে রাজশাহী বিভাগীয় সফরে রয়েছেন। তিনি প্রতিটি জেলার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে গাছের চারা উপহার দিয়ে দেশপ্রেমে জাগ্রত করার শপথ পাঠ করাচ্ছেন।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চক আতিথা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াছ আলী, লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি শেখ রিফাদ মাহমুদ, সদস্য নুরুজ্জামান প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের
টাকার জন্য মাকে হত্যা, লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে
মাদক ও বাল্য বিবাহকে না বলে শপথ নিলো ৬শ শিক্ষার্থী
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে সাকিব আল হাসান
‘যুদ্ধ শেষ হয়নি’, আবারও লাল ফেসবুক ওয়াল
সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লার সহযোগী বেনু গ্রেপ্তার
পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে না চললে আ’লীগের মতো ছিটকে পড়তে হবে : মঈন খান
দুই মাসে তিতাসের অভিযানে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা
প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট
রোবটের আঁকা একটি ছবি বিক্রি হলো ১৫ কোটি টাকায়
কপ ২৯ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে নেমে গেল বাংলাদেশ
আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলা সেই জাবি অধ্যাপক বরখাস্ত
পত্রিকার সঠিক প্রচার সংখ্যা প্রকাশে সাংবাদিকদের সহায়তা চাইলেন তথ্য উপদেষ্টা
হানিমুনের আগেই সুখবর দিলেন শিরিন শিলা
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিঠি
গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯০ জনের নিয়োগ, অনলাইনে আবেদন
সিরিজ হারের পর যা বললেন অধিনায়ক মিরাজ