হত্যার ১৭ বছর পর ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় আদর্শ সদর উপজেলার চম্পকনগর এলাকায় স্যানিটারি মিস্ত্রি রানা হত্যা মামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর এ মামলার রায় দিলেন আদালত।
রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চম্পকনগর এলাকার মো. মোর্শেদ, মো. আলাউদ্দিন, মো. রিপন, মো. জুয়েল, মো. শিপন, শুভ হাসান ও মো. কাজল। রায় ঘোষণার সময় মো. শিপন, মো. রিপন ও মো. আলাউদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. বাদল মিয়া, ইকবাল হোসেন, জহিরুল ইসলাম, আনোয়ার হেসেন ও মো. সোহেল মিয়া। এদের মধ্যে মো. বাদল মিয়া ও ইকবাল হোসেন পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আর মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে মো. সোহাগ, মো. শরিফ, মো. রনি ও ইসহাক মিয়াকে।
কুমিল্লার সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম জানান, ২০০৬ সালের ১ মে পূর্বশত্রুতার জেরে কুমিল্লা শহরতলীর সাতোরা চম্পকনগরের উত্তরণ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় স্যানিটারি মিস্ত্রি রানাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর খান বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে তদন্তে আরও ১০ জনকে আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য আমলে নিয়ে আদালত আজ এ রায় দেন।