বন্ধুত্ব হলো এক অনন্য সম্পর্ক, যা নির্ভরতা আর আত্মার গভীর সংযোগে বাঁধা। এই সম্পর্ক কখনো মধুর, কখনো সামান্য তিক্ত, তবু এর গভীরতা অপরিসীম। আধুনিক যুগে আমরা বন্ধুত্বের অনুভূতি ভাগাভাগি করি চ্যাট কিংবা এসএমএসের মাধ্যমে। তবে চ্যাট বা এসএমএস কি বন্ধুর কণ্ঠের উষ্ণতার বিকল্প হতে পারে? প্রিয় বন্ধুটির কণ্ঠ না শুনলে সেই সম্পর্কের হৃদয়স্পর্শী উষ্ণতা কি সম্পূর্ণ হয়?
কবে শেষবার সেই শৈশবের প্রথম বন্ধুটার সঙ্গে কথা বলেছেন? স্কুলে যার সঙ্গে দিন কাটত গল্প আর হাসিতে, যার উপস্থিতি ছাড়া কোনো স্মৃতি অসম্পূর্ণ ছিল, আজ তার সঙ্গে দেখা করতেই কি কত প্ল্যান করতে হয়! কথোপকথনও কি আগের মতো প্রাণবন্ত থাকে?
আজকের ব্যস্ত জীবনে বন্ধুর কথা মনে পড়লে আমরা চ্যাট বা এসএমএসে সীমাবদ্ধ থাকি। কিন্তু চ্যাট বা এসএমএস কি সেই হাসিমাখা কণ্ঠের বিকল্প হতে পারে? যার কণ্ঠ এক মুহূর্তেই আপনার সব ক্লান্তি দূর করতে পারে, সেই বন্ধুটিকে কি শুধু লিখিত কথায় সন্তুষ্ট রাখা ঠিক?
আজ "কল এ ফ্রেন্ড ডে"। এই বিশেষ দিনে তাকে কল করুন। ভাবছেন এতদিন পর কী বলবেন? সহজ—যা আপনার মনের গভীরে জমে আছে, তা-ই বলুন। এমন কিছু, যা হয়তো অন্য কাউকে বলতে পারছেন না, সেটাও নির্দ্বিধায় শেয়ার করুন। বন্ধুর সঙ্গে কষ্ট কিংবা আনন্দ, সবই সহজে ভাগ করা যায়।
যদি প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে থাকে, সেটাও মিটিয়ে নিন। মনে রাখবেন, বন্ধুত্বে দূরত্ব হতে পারে, কিন্তু বিচ্ছেদ নয়। তাই আর দেরি না করে ফোন হাতে নিন।
বন্ধুকে ফোন দিয়ে মন খুলে কথা বলুন, পুরনো দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করুন। তার কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। আর অবশ্যই তাকে ধন্যবাদ জানান—আপনার জীবনে তার জায়গার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। কারণ বন্ধুত্ব, ছোট্ট একটি শব্দ হলেও এর গভীরতা আমাদের জীবনের অনেক বড় অংশ জুড়ে থাকে।