৪ বছর ধরে অকেজো নড়াইলের পানি শোধনাগার
নির্মাণের পর মাত্র ৩ মাস ব্যবহৃত হয়েছিল নড়াইলের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বা পানি শোধনাগার। এরপর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ৪ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে প্লান্টটি। জোড়াতালি দিয়ে তৎকালীন মেয়র কিছুদিন প্লান্টটি চালালেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বর্তমান মেয়র আর পুনরায় চালু করতে সক্ষম হননি। ফলে পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা গেছে, নড়াইলবাসীর বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে শহরের গোহাটখোলায় এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৪ সালে ৩৫০ ঘনমিটার পানি শোধন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ শুরু করে। ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মেগা প্রকল্পটি ২০১৯ সালে পরিচালনার জন্য পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রায় ৭ বছর ধরে চলে এর নির্মাণকাজ। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর নড়াইলবাসী বিশুদ্ধ পানি পেতে শুরু করেছিল। কিন্তু মাত্র ৩ মাস যেতে না যেতেই নানা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান মেয়র দায়িত্ব পেয়ে সেই সব সমস্যার সমাধান করে পুনরায় চালু করলেও একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে আবারও বন্ধ হয়ে পড়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি।
পৌরবাসী জানান, পৌর এলাকার দুই লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর বিশুদ্ধ পানির সমস্যা সমাধানে এই প্লান্টটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল এটির মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি পাবে পৌরবাসী। কিন্তু বাস্তবে এটি কোনো কাজে আসছে না। আমরা বিশুদ্ধ পানি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পুনরায় চালু করা গেলে বিশুদ্ধ পানির সংকট কমবে বলেও জানান তারা।
সুধীজনরা বলছেন, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করে কাজ করলে সরকারি টাকা এরকম বেহাত হতো না।
নড়াইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এম আবু সালেহ জানান, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি তৈরি করে পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করার হয়েছে। এখন প্লান্টটি পরিচালনার দায়িত্ব তাদের নয়, পৌরসভার।
নড়াইল পৌরসভার বর্তমান মেয়র আঞ্জুমান আরা বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী এবং যন্ত্রপাতি হওয়ায় প্রায়ই অচল অবস্থায় পড়ে থাকে পাম্প হাউজটি। ফলে পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এসজি