জামিন পেয়ে ফের মাদক ব্যবসা, ছাত্রলীগ কর্মী সস্ত্রীক গ্রেপ্তার
সাভারে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইয়াবাসহ সাভার সদর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ কর্মী ইসরাফিল অপু (৩০) ও তার কথিত স্ত্রী লিজা আক্তারকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ কেজি গাঁজা ও ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমিনুল ইসলাম। এর আগে বুধবার (২৪ মে) গভীর রাতে সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, গত ৬ মার্চ রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের রেডিও কলোনির নয়াবাড়ি মহল্লা থেকে ১০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল ইসরাফিল। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। মুক্তির পর আবারও মাদক ব্যবসা শুরু করেন। এর পর বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ইসরাফিল অপু সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সোহেল রানার অনুসারী। তিনি ভোলা জেলার সদর উপজেলার মাঝিরহাট গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে। অপরজন তার মাদক ব্যবসার সহযোগী ও কথিত স্ত্রী লিজা আক্তার (২৬)। তিনি বি-বাড়ীয়া জেলার কসবা থানার ফুল মিয়া ওরফে আলমগীর কবিরের মেয়ে। তার কাছ থেকে ১ কেজি গাঁজা ও ৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ইসরাফিলের বিরুদ্ধে এর আগেরও মাদক চাঁদাবাজিসহ ৩টি মামলা ও লিজার বিরুদ্ধে রয়েছে ৪টি মামলা।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তাররা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। গত ৬ মার্চ রাতে ১০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে এসে আবারও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল ইসরাফিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী ইসরাফিল ও তার মাদক কারবারের সহযোগী লিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোট ২ কেজি গাঁজা ও ২০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব) বলেন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্শিরা হাবিব খান এর নির্দেশ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। নিয়মিত এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদক নিমূলে সবাইকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতারও আহ্বান জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সোহেল রানার সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে ইসরাফিল। মাদক বিক্রির সুবাদে গাঁজা বিক্রেতা লীনা বেগমের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জাড়িয়ে এখন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বেড়ান তারা। সাভারের মজিদপুর মহল্লায় সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নামে অস্থায়ী কার্যালয় খুলে সেখানে বসে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সরবারহ করত ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী।
এবিষয়ে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ইসরাফিলের সাথে ছাত্রলীগের সম্পর্ক নেই। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টিও তিনি অবগত নন বলে জানান।
আরএ/