চকরিয়ায় গৃহকর্মী হত্যা, স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক কিশোরী গৃহকর্মী হত্যার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন নিহত কিশোরীর পিতা। বুধবার (১৭ মে) রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ মে) চকরিয়া থানায় অভিযুক্ত মো. ইসহাকের ছেলে কামাল হারুন (৪০) ও তার স্ত্রী সোমা আক্তারের (৩২) নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা দুইজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে গত ১০ মে মিফতাহ মণি নামের ওই কিশোরী গৃহকর্মী চকরিয়া থানার কাকারার হাজিয়ান পাড়ার হারুনের বাড়িতে হত্যা শিকার হয়। হত্যার পর তার মরদেহ রাখা হয় ফ্রিজে। কিশোরীর পরিবারকে জানানো হয় ডায়রিয়ার কারণে মিফতাহ মারা গেছে। পরে বিষয়টি ওই কিশোরীর পরিবারে জানাজানি হলে মহেশখালীতে তার মরদেহ নিয়ে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে রেখে বাড়ির মালিক হারুন ও তার স্ত্রী সোমা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মিফতাহর বাবা। এ সময় তারা ওই কিশোরীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং মৃত্যু পরবর্তী তার মরদেহ ফ্রিজে রাখার আলামত পাওয়া পায়।
নিহত মিফতাহ মণির বাড়ি মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গায়। দেড় বছর আগে মহেশখালীর গোরকঘাটা সিকদার পাড়ার বাসিন্দা রশিদ বহদ্দারের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে গৃহকর্মীর কাজে নিয়ে যায় হারুন ও তার স্ত্রী সোমা।
মিফতাহর বাবা ছৈয়দ নূর জানান, আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার মরদেহ রাখা হয়েছে ফ্রিজে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। তাই এটি তদন্তের মাধ্যমে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসআইএইচ