বাসাইল পৌর ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

টাঙ্গাইলের বাসাইলে মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাকিব মিয়া (২৪) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাকিবকে প্রধান আসামি করে তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নববধূ।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে ওই নববধূ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই মামলা করা হয়।
সাকিব বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ও পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে। তার দুই সহযোগী হলেন- একই গ্রামের মৃত হাকিম মিয়ার ছেলে সাইদুল মিয়া (৩০) ও জুয়েল মিয়ার ছেলে মো. শাহেদ (২৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৩ মাস আগে ওই নববধূর বিয়ে হয়। গেল রবিবার রাতের খাবার খেয়ে নববধূ ও তার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্ত সাকিব ও তার দুই সহযোগী ওই নববধূর স্বামীকে ঘরের বাইরে থেকে ডাক নিয়ে সাকিব জানায় তার এক স্বজন অসুস্থ তাকে দেখতে যেতে হবে। এজন্য সাকিব মোটরসাইকেল চেয়ে নেন।
এরপর নববধূর স্বামী ঘর থেকে মোটরসাইকেলটি বের করে দেন। মোটরসাইকেল কিছু দূর নেওয়ার পর ফের তার স্বামীকে ডাকতে থাকে মোটরসাইকেলটি স্টার্ট করে দেওয়ার জন্য। পরে তার স্বামী মোটরসাইকেলটি স্টার্ট দিতে গেলে কৌশলে সাকিব ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে গেলে তিনি চিৎকার শুরু করেন।
এসময় তার স্বামী ও আশপাশের লোকজন এসে সাকিবকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে সাকিবের সহযোগীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাকিবকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনা কাউকে জানালে বা মামলা করলে হত্যার হুমকিও দেন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাসাইল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আদালতে যান বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
স্থানীয়রা জানান, ওই গৃহবধূর মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছে। এমন সময় বখাটে সাকিব এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। সাকিব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউসের ভাতিজা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। এ ঘটনায় নববধূর পরিবার চরম আতঙ্কে আছেন।
এমন ঘটনায় অভিযুক্ত সাকিব মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, থানায় কেউ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করতে আসেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কামরান খান জানান, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউস জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ ওই গৃহবধূকে দিয়ে ধর্ষণ মামলাটি করিয়েছেন।
এসজি
