ভোলায় চরাঞ্চলের ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় আতঙ্কিত হয়ে ভোলায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান করা মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। এদিকে উত্তর ভোলার মেঘনার তীরবর্তী রাজাপুরের বেড়িবাঁধের বাইরের ৪ নম্বর চর মোহাম্মদ আলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোন শেল্টার ভবনটি রয়েছে তালাবদ্ধ । যদিও বিদ্যালয়ের আশপাশের মানুষের একমাত্র নিরাপদ স্থান এই ভবনটি।
কেন্দ্রগুলোতে শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষ বিভিন্ন চরের নিম্নাঞ্চল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে।
রাতের খাদ্য হিসেবে তাদের মাঝে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রবিবার (১৪ মে) সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চল গুলোতে থাকা বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
শনিবার (১৩ মে) রাত ১১টার দিকে ভোলা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রিপন কুমার সাহা ঢাকাপ্রকাশ-কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অনেক চরের বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে আসেনি। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাচ্ছে না তাদের নিরাপদ স্থানে থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষকে জেলা প্রশাসক ও প্রশাসন আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। তাদেরকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষদের মধ্যে খাবার পানি, মুড়ি, চিড়া, বিছানা, কম্বল এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তবে দুর্গম চরাঞ্চলের যেসব বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করতে অপরাগতা প্রকাশ করছেন তাদের অতি দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান অথবা নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক তৌফিক ইলাহি চৌধুরী।
চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ সুপার সাইক্লোনে আতঙ্কিত হলেও বসতভিটা ছেড়ে আসতে চাচ্ছে না। তবুও প্রশাসক ও প্রশাসনের লোকজন তাদেরকে নিয়ে আসার কার্যক্রম চালাচ্ছে। জানা গেছে, আজ রবিবার সকাল থেকে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলের চরের মানুষকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পুরোপুরি আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মেঘনার পানি স্বভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রসঙ্গত, জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সকাল থেকেই ভোলায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এখনো থমকে রয়েছে ভোলার আকাশ। মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় তীব্র গতিতে বাতাস বইছে। মোখার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জেলার বেড়িবাধ এলাকার মানুষের মধ্যে।
এসআইএইচ