রাসিক নির্বাচনে প্রথম ভোট দেবেন ৩০ হাজার নতুন ভোটার

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন। সে হিসেবে নির্বাচনের বাকি দুই মাসেরও কম। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এরইমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আর এবারের নির্বাচনে ৩০ হাজার ১৫৭ জন নতুন ভোটার প্রথম ভোট দিবেন।
রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এবার ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ১৫৭ জন ভোটার ভোট দিবেন। এরমধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৭১ হাজার ১৮৫ জন এবং নারী ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। গত বছর ভোটার সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ২২ হাজার। এবার সম্ভাব্য ১৫২ টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৩ টি রুমে ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনও প্রস্তুতি শুরু করেছে। ২১ মে নমিনেশন দেওয়া শুরু হবে। ২৩ মে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময়। এছাড়া ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এরপর প্রকাশ্যে উৎসব মুখর প্রচারণায় নামবেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।
রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবুল হোসেন জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এই নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে তারা আন্তরিক। তবে কোন দল যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের ব্যাপার। তারা নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন করবেন। আর নমিনেশন সংগ্রহ, দাখিল, প্রতীক বরাদ্দের সম্ভাব্য কিছু ডেট তারা ঠিক করেছেন।
এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে থেকে নীরব প্রচারণায় নেমেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। সভা, সমাবেশ, মতবিনিময়ের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভোটের আগে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করছেন। ৩০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরাও বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে নীরব প্রচারণা চালাচ্ছেন।
রাজশাহীতে এবার মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান রাসিক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আধুনিক রাজশাহীর রূপকার হিসেবে পরিচিত লিটনের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী এখন পর্যন্ত সামনে আসেনি। আর আসন্ন এই নির্বাচনে ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানসহ উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রতিও দিয়েছেন লিটন। দলীয় বিভিন্ন সভা-সেমিনারের মাধ্যমে কর্মীদের সংগঠিত করতেও মাঠে নেমেছেন তিনি।
রাজশাহীতে লিটনের বিকল্প কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকরাও লিটনের বাইরে কিছু ভাবছেন না। তারাও অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছেন। আর বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না আসার ঘোষণায় এখন পর্যন্ত অনড় বিএনপির নেতারা। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও মেয়র পদে প্রকাশ্যে অন্য কেউ প্রার্থী হওয়ার খবর এখনো আসে নি।
গত ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রর্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ জুনের সিটি নির্বাচনে আনারস প্রতীকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে বুলবুল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮ ভোট পেয়ে রাজশাহী সিটির মেয়র হন। আর এবার রাজশাহী জুড়ে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় নগরবাসী আবারও এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে মেয়র নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
/এএস
