শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সীমাবদ্ধতা কাটাতে সমাধান জরুরি

রাজশাহীতে বিনামূল্যের আইনি সেবায় ব্যাপক সাড়া

ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ধরনা দেওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। আর নানা বাস্তবতায় ন্যায় বিচারের বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে আদালতের বারান্দা পর্যন্ত আসার দুঃসাহসও করেন না অনেক নির্যাতিত-নিপীড়িত ব্যক্তি। তবে সেই দিনের অবসান ঘটাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০। যে আইনের বদৌলতে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিনামূল্যের আইনি সেবা এখন প্রান্তিক মানুষের দোড়-গোড়ায়। তবে রাজশাহীতে এই সেবার ফাঁক-ফোকড়ের নানা সীমাবদ্ধতার জঞ্জাল সরানো গেলে অসহায় বিচারপ্রার্থীদের আস্থার জায়গা আরও সমুন্নত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিশ্চিত হবে আইনি সেবায় সকলের অভিগম্যতা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিদিনই বিচারকের কলম কোন না কোন মানুষের নিয়তি ঠিক করে দেয়। বিচারকের কলম ভুক্তভোগীর মুখে হাসি ফোটায়। আর অপরাধীর চোখে অশ্রু। তবে বিচারকের কলম কি রায় লিখবে তা আইনজীবীর উপস্থাপিত তথ্য প্রমাণাদির উপরও নির্ভর করে। উপস্থাপিত তথ্য প্রমাণ নির্ধারণ করে দেয় ন্যায় বিচারের মানদন্ড। ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে আইনজীবীর একটি বড় ভূমিকা থাকে। আর সেই আইনজীবী ধরা থেকে শুরু করে বিচার হওয়া পর্যন্ত দুর্বার পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অশ্রু বিসর্জন ও জুতা ক্ষয়ে যাবার তিক্ত বাস্তব গল্প-কাহিনীও মানুষের অজানা নয়। বিচারের আশায় আইনজীবীদের পেছনে কাটখড় পোড়াতে গিয়ে ফতুর হওয়ার বাস্তবতাও আছে। এছাড়া সেবাপ্রার্থীদের বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। আইনের কিছুই বোঝেন না এমন সেবাপ্রার্থীর সংখ্যাই বেশি। এমন বাস্তবতায় সরকারের বিনামূল্যের আইনি সেবার বিশেষায়িত আইন ও বিশেষায়িত সংস্থা অবশ্যই একটি মাইল ফলক। তবে জনবল, অবকাঠামোসহ বিদ্যমান সমস্যা ও সীমাবদ্ধতাগুলোর সমাধানও জরুরি।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের তথ্য বলছে, গত এক বছরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পাঁচ শতাধিক ব্যাক্তি বিনামূল্যে আইনি সেবা নিয়েছেন। তাদের ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের সামর্থ্য না থাকায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সেবা নিয়ে হাজির হন জেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রতিনিয়তই জেলার বিভিন্নপ্রান্ত থেকে লিগ্যাল এইড অফিসে বিভিন্ন মামলায় সেবা নিতে আসছেন সেবাপ্রার্থীরা।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, অনেক অসহায় কারাবন্দী কারাগারে থাকেন, যারা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না। তাদেরকে আমরা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সেবা দিয়ে থাকি। এতে দেখা যায়, অনেক কারাবন্দী জামিন পাচ্ছেন। অনেকের মামলাও নিষ্পত্তি হচ্ছে। প্রতিমাসেই তালিকা করে এমন অসহায় কারাবন্দীদের তালিকা পাঠানো হয়। লিগ্যাল এইডের এই সেবাটি খুবই কার্যকরী।

তবে সেবা সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, এই সেবায় কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তির চিত্রও রয়েছে।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের তথ্য মতে, তাদের নিয়মিত অফিসার নেই। একজন ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী জজসহ মোট ৩ জন জনবল দিয়ে চলছে এই কার্যক্রম। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবায় ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। মামলাগুলো মনিটরিং করার মতো লোকবল ও উপকরণ না থাকায় সক্ষমতাও নেই রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের।

রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া থানাধীন একটি গ্রামের নির্যাতিত নারী জরিনা বেগম (৩৭) (ছদ্মনাম)। তার বাবা-মা দুজনেই মারা গেছেন অনেক আগে। অভিভাবক বলতে বড় বোন ছাড়া কেউ নেই। এরমধ্যে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে ২০২০ সালে থানায় অভিযোগ করেন। এরপর অর্থের কারণে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারছিলেন না। পরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে লিগ্যাল এইডের সেবা নেন। এর প্রায় তিনবছর পর আসামিকে কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে এই আইনি সেবা নেওয়ার পথে দূর্ভোগ ছিলো তার নিত্য সঙ্গী।

জরিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, স্বামীর নির্যাতনের পর তার শারীরিক অবস্থা এখনও সম্পূর্ণ ভালো হয় নি। এখনও তিনি কাজ করতে পারেন না। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় কোন মতে দিন পার করছেন। এই অসুস্থ শরীর নিয়েই খেয়ে না খেয়ে আদালতের বারান্দায় ধরনা দিয়েছেন। বাসা থেকে হেঁটে হেঁটে আদালতে এসেছেন। লিগ্যাল এইড অফিস তার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিলো। সেখান থেকে অর্থ লাগবে না বলেছিলো। কিন্তু আইনজীবী তার কাছে অর্থের জন্য চাপ দিতো। টাকা না দিতে পারায় বাজে কথাও শোনাতো।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের তথ্যমতে, এই সংস্থার আইনজীবী প্যানেলে রয়েছেন মোট ৭৫ জন আইনজীবী। এই তালিকায় রাজশাহীর সিনিয়র ও সুপরিচিত আইনজীবী আছেন মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন। সরকারি এই সেবায় আইনজীবীদের যে 'ফি' দেওয়া হয় তার পরিমাণটাও খুবই কম বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ কারণে সিনিয়ররা এই সেবাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও নিজে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখান না। সবমিলিয়ে এই মামলা পরিচালনায় আইনজীবীদের মাঝে অনেক সময়ই আন্তরিকতার ঘাটতি থাকে। এতে জামিন পাওয়াসহ আইনি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হওয়ার ঘটনাও ঘটে।

এ বিষয়ে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা জানান, সবার জন্য আইনি সেবা নিশ্চিতের পথে সরকারের বিনামূল্যের এই লিগ্যাল এইড একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সরকারের বিশেষায়িত এই সেবার মাধ্যমে গ্রামের প্রান্তিক মানুষরাও সেবা পাচ্ছে। তবে এই সেবা নিশ্চিতের পথেও প্রতিবন্ধকতা আছে। জনবলসহ বেশকিছু সমস্যা আছে। আর কিছু আইনজীবীরা বিনামূল্যের এসব সেবা প্রার্থীদের থেকেও অর্থ দাবি করে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে সেবার মান আরও উন্নত হবে।

এগুলো আলোচনায় আসলে সমাধানের পথটাও মসৃণ হবে বলে মনে করেন এ আইনজীবি।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্লাস্টের রাজশাহী জেলা সমন্বয়কারী অ্যাড. সামিনা বেগম জানান, উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সীমাবদ্ধতার কারণে তারা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করেন। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে সবার জন্য আইনি সেবার অভিগম্যতার পথ সুগম হয়েছে। তবে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা গেলে তা আরও কার্যকরী হবে, টেকসই হবে। জনগণের কল্যাণে প্রতিষ্ঠান ও পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আদালত অঙ্গনে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন এবং তার কর্মপ্রয়াস আদালতকে একটি জনমুখী ও কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অভিনব সরকারি প্রয়াস।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী জজ আলমগীর হোসেন জানান, সরকার আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে আদালতে দায়েরকৃত, দায়ের যোগ্য ও বিচারাধীন মামলায় আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানসহ সালিশি সেবা প্রদান করছে। সবার জন্য আইনি সেবা নিশ্চিতেই এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।

এই সেবা সম্পর্কে আরও প্রচারণার প্রয়োজন বলে মনে করেন এই আইনজীবি।

/এএস

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান শফিকুল আলম।

সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় ৯ মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে কী অর্জন করেছেন, তা তুলে ধরেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোষ্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের