রমজানে নারায়ণগঞ্জে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি দাবি জেলা প্রশাসকের

রমজান মাসে নারায়ণগঞ্জে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জরুল হাফিজ। শনিবার (২২ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত শুরুর প্রাক্কালে মুসল্লিদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জে প্রতি বছরই ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। ঈদগাহে স্থান সংকুলান না হওয়ায় প্রধান সড়কে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে থাকেন। গত কয়েক বছর থেকে ঈদগায়ের অপরপাশে ওসমানী স্টেডিয়ামের মাঠেও সুদৃশ্য প্যান্ডেল করে মুসল্লিদের ঈদের জামাতের আয়োজন করা হচ্ছে। তারপরও স্থান সংকুলান না হওয়াতে মুসল্লিদের রাস্তায়ই নামাজ পড়ার জন্য অবস্থান নিতে হয়।
এবারের ঈদের নামাজ ছিল সকাল ৮ টায়। কিন্তু জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্যের বক্তব্যের কারণে যথাসময়ে নামাজ শুরু হয়নি। জেলা প্রশাসক তার বক্তব্য শুরুই করেন ৮টার পর। এরপর বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য। এভাবে নামাজ শুরু হতে বিলম্ব হওয়াতে মুসল্লিদের অনেককেই বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
মুসল্লিদের এই বিরক্তিভাব ক্ষোভে পরিণত হয় জেলা প্রশাসকের বক্তব্যের সময়। তিনি তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, ‘ এবারর রমজানে নারায়ণগঞ্জে দ্রব্য মূল্য বাড়েনি। আমরা চেষ্টা করেছি যাতে করে দাম না বাড়ে। এ জন্য আমরা নিতাইগঞ্জ ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বসে কথা বলেছি। তারা আমাদের কথা দিয়েছিলেন দাম না বাড়নোর। তারা সেই কথা রেখেছেন।’
জেলা প্রশাসকের এ রকম বক্তব্যের পর ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা উষ্মা প্রকাশ করেন। কেউ কেউ মুচকি হাসেন। জেলা প্রশাসকের বাকি কথ না শুনে নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আলাপ শুরু করেন। কী করে তিনি এ রকম কথা বলতে পারলেন জানিয়ে অনেকেই অবাক হন।
জেলা প্রশাসকের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবের বেশ গরমিল মিল ছিল। রমজান মাসে কম-বেশি অনেক পণ্যের দামই বেড়েছে। ২০ রমজানের পর গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকার পরিবর্তে ৭৭০ টাকা টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে। বয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৩০ টাকা থেকে টাকায়। চিনির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা করে।
এ ব্যাপারে ঢাকাপ্রকাশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ আমি গোটা রমজানের মাসের কথা বলেছি। ঈদের বাজারের সঙ্গে এর তুলনা করা যাবে না। ঈদের আগে দাম বাড়তে পারে। কিন্তু রমজানে মাসে দাম বাড়েনি। আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করেছে। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে, খবর পেয়ে আমরা তাদের জরিমানা করেছি। রমজানে মাসে যাতে করে দাম না বাড়ে সে জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করেছি।’
গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ অভিযোগ করেনি। করলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম। কিছু কিছু জায়গায় যে ব্যতিক্রম ছিল না তা আমি বলবে না।’
এমপি/এসএন
