বেশি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা: পুলিশপ্রধান

বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আমি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছি। বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি আমার চোখে পড়ে নি। যদি এমন কোন নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুগণ বেশি ভাড়া নেওয়ার কোন অভিযোগ পান তাহলে আমাদের জানাবেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যাত্রী সাধারনের যাত্রা সুগম করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
যানজটের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, গতকাল আমি সদরঘাট টার্মিনাল গিয়েছি, বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করেছি, রেল স্টেশনে পরিদর্শন করেছি। আজকেও আমরা সব সিনিয়র অফিসাররা মিলে গাজিপুর চৌরাস্তা, চন্দ্রা মোড় পরিদর্শন করে এখানে এসেছি। এখন পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি সড়কে যানজট সৃষ্টি হয় নি এবং স্বাভাবিকভাবে গাড়ি যাতায়াত করছে। আজকে একটা চাপ সৃষ্টি হতে পারে। বিকেলের চাপের জন্যও আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, কর্মমুখী মানুষেরা গ্রামে গেলে ফাঁকা হবে শিল্পাঞ্চল। ফাঁকা এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রবনতা বেশি। তাই আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, জেলা পুলিশের ইউনিট গুলো এখানে অ্যাক্টিভ থাকব। সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। প্রতিষ্ঠান নিজস্ব একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখবে। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করবো, তাদেরকে আমরা অনুরোধ করবো কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আপনারা ৯৯৯ এ কল করবেন। আমরা সেখানে সঙ্গে সঙ্গে পৌছে যাবো। আমরা সবাই মিলে আমাদের দায়িত্ব পালন করবো।
পুলিশ প্রধান বলেন, জেলা পুলিশ, মেট্টপোলিটিন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট, এপিবিএন আছে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান আছে আনসার সদস্যরা আছে এছাড়া পুলিশের সকল ইউনিট কাজ করছে। আমাদের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও কাজ করছেন। সারা দেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছি।
নিরবচ্ছিন্নভাবে সাংবাদিক বন্ধুগণ আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা সড়ক ও জনপথের সহযোগিতা পাচ্ছি, মালিক শ্রমিকের সহযোগিতা পাচ্ছি। যার কারণে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবারের ঈদ যাত্রা সহজ হবে এবং সাচ্ছন্দ্যে যার যার গন্তব্যে গমন করতে পারবে। আরেকটি কথা বলতে চাই যাত্রীরা গন্তব্যে পৌছার পরে সেখানে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সেসব জায়গাতেও আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা থাকবে।
যাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যাত্রী সাধারণকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি গাড়িতে উঠে আপনারা নিকটস্থ কারও কাছ থেকে আহার গ্রহণ করবেন না। আমরা অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ বিভন্ন গ্রুপকে ধরেছি। আমরা একটা উৎসব পালনের জন্য যাচ্ছি, যদি সতর্ক থাকি তাহলে উৎসবটা আনন্দের সঙ্গে পালন করতে পারবো। আমরা নিজের ভুলের জন্য উৎসবের আনন্দটা মাটি করে দিতে পারি না। এসময় ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএমসহ ঢাকা জেলা পুলিশের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এএজেড
