বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপারে মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি

ঈদে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষজন। এতে উত্তরবঙ্গগামী মানুষেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হচ্ছে মোটরসাইকেলযোগে। এর ফলে বুধবার (১৯ এপ্রিল) ভোর থেকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব এলাকায় আলাদা টোল বুথে শত শত মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সাড়ি দেখা যায়। এদিকে মোটরসাইকেল নিয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থায় পড়েছে ঘরমুখো মানুষগুলো।
সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মোটরসাইকেল বঙ্গবন্ধু সেতু-পূর্ব টোলপ্লাজার পাশেই স্থাপিত আলাদা বুথে অপেক্ষা করছে সেতু পার হওয়ার জন্য। এ সময় সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন অপেক্ষারত মোটরসাইকেল আরোহীদের নির্ধারিত মোটরসাইকেলের টোলের টাকা হাতে রাখার জন্য মাইকিং করছে। মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি দেখা গেছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি।
গাজীপুর থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা সাদেকুল ইসলাম বলেন, ভোর রাতে রওনা হয়েছি মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাওয়ার জন্য। মহাসড়ক ফাঁকা ছিল বিধায় তাড়াতাড়ি আসতে পেরেছি। তবে এখানে এসে জটলায় পড়েছি।
স্ত্রী নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাচ্ছেন গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত আবুল কালাম। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি। সেতু পার হলেই বাড়ি। তাই স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাচ্ছি। আমার মতো শত শত মোটরসাইকেলের আরোহীরা অপেক্ষা করছে সেতু পার হতে।
মোটরসাইকেল আরোহীরা জানান, ছুটির প্রথম দিনে মহাসড়ক ফাঁকা ছিল। ঝামেলা ছাড়াই
মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়া সহজ।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ভোররাত থেকেই সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপারে দীর্ঘ সারি ছিল। মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে।
এসআইএইচ
