২০০ বছরের ঐতিহ্য পোড়াবাড়ির চমচমের জিআই আবেদন

২০০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ির চমচমের চুক্তির মাধ্যমে ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) নিবন্ধন চায় জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে বুধবার (১২ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের আবেদন হলফনামায় স্বাক্ষর করেছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম আরা রিনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবুল হাশেম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্চিতা বিশ্বাস, ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি) সদস্য প্রতাপ পলাশ ও মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে টাঙ্গাইলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ির চমচম ব্রিটিশ শাসনামল থেকে দেশ-বিদেশে সমাদৃত। পোড়াবাড়ির পানি, চারণভূমির বিচরণ করা গরুর খাঁটি দুধের কারণে স্বাদ ও মানের কারণে হয়েছে অনন্য। তৎকালীন পোড়াবাড়ির ঘাটের লঞ্চ, স্টিমারের যাত্রীদের মাধ্যমে চমচমের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। একই ধারা বয়ে চলছে যুগযুগ ধরে।
এ ছাড়া টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ি চমচমের রপ্তানি পথ সুগম করতে এবং দেশ-বিদেশে আরও প্রচার বাড়াতে জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধলেশ্বরী নদীর অববাহিকায় পোড়াবাড়ি গ্রামে দশরথ গৌড়ের হাতে চমচমের যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। পোড়াবাড়ির পানি, চারণভূমির বিচরণ করা গরুর খাঁটি দুধের কারণে স্বাদ ও মানের কারণে হয়েছে অনন্য।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, ২০০ বছরের ঐতিহ্য বহনকারী পোড়াবাড়ির চমচম দেশে-বিদেশে টাঙ্গাইলের ব্র্যান্ডিং শক্তিশালী করেছে। এর সঙ্গে জেলার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। অদূর ভবিষ্যতে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম যেন বিদেশেও রপ্তানি হয় এবং দেশ-বিদেশে আরও বেশি প্রচার হয় তাই আমরা জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করি শিগগির জিআই স্বীকৃতি মিলবে চমচমের।
তিনি আরও জানান, জেলা ব্র্যান্ডিংকে গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিনে টাঙ্গাইলের শাড়ি, মধুপুরের আনারসসহ সম্ভাব্য সব পণ্য জিআই তালিকাভুক্ত করতে আমরা কাজ করব। চমচমের জিআই ডকুমেন্টেশনে সহযোগিতা করায় আমি ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
এসজি
