সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২০ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘রাষ্ট্রের মালিক জনগণ, তাদের সেবা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব’

মাগুরা জজ আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত 'ন্যায়কুঞ্জ' বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ বিভিন্ন মামলার সঙ্গে জড়িত। তাদেরকে নিত্যদিন আদালত প্রাঙ্গণে আসতে হয়। তারা রাষ্ট্রের মালিক। তাদেরকে আমাদের বিচারক সেবা দেওয়া দায়িত্ব। তারা যখন আদালতে আসে তারা কোথায় বসবে আইন সমিতির বারে সংকলন হয় না। বিশেষ করে যখন দূর-দূরান্ত থেকে সাক্ষী দিতে মহিলারা আসে অথবা তাদের পরিজনদের যারা আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকে তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। তারা যাতে এখানে এসে অস্বস্তিবোধ না করে সেজন্য আমরা তাদের বসার জায়গা অর্থাৎ বিশ্রামাগার করার সিদ্ধান্ত নেই। সে অনুসারে আমরা এটার নাম দেই 'ন্যায়কুঞ্জ'।

তিনি আরও বলেন, এখানে ৬০ থেকে ৭০ জন লোকের বসার ব্যবস্থা থাকবে। এখানে দুটি টয়লেট থাকবে। একটি মহিলাদের জন্য ও অন্যটি পুরুষদের জন্য। এ ছাড়া একটি ফাস্টফুডের দোকান থাকবে। এ কাজের জন্য সরকার আমাদের ৩৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। প্রতি জেলায় এ কাজে ৫০ লাখ টাকা খরচ হবে।

এসময় মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, জেলা দায়রা জজ অমিত কুমার দে, জেলা পুলিশ সুপার মশিউদৌলা রেজা, জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন, মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান সংগ্রাম ও সমিতির আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে প্রধান বিচারপতি জেলা আদালত প্রাঙ্গণে একটি লিচু গাছের চারা রোপণ করেন।

এসজি

Header Ad
Header Ad

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির’ মতো সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে একটি কমান্ড সেন্টার তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ বছরটি দেশের জন্য অত্যন্ত সংকটময় বছর। আমরা কাউকে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেবো না।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সর্বশেষ যোগাযোগের সরঞ্জামগুলির সর্বাধিক ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়ে সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বলেন, আমাদের একটি কমান্ড সেন্টার বা একটি কমান্ড সদর দপ্তর স্থাপন করতে হবে, যা সমস্ত পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করবে।

তিনি বলেছিলেন যে নতুন কমান্ড কাঠামো “দক্ষতার সাথে এবং নিবিড়ভাবে” সমস্ত সংস্থা, সারাদেশের থানা এবং সমস্ত আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ করবে।

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রধানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদেরকে ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেন আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। এই বছরটি দেশের জন্য অত্যন্ত সংকটময় বছর। আমাদের কাউকে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেওয়া উচিত নয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগীরা নৈরাজ্য ছড়ানো এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে।

তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। প্রত্যেকেরই এই বিভ্রান্তিকর হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পুলিশের একটি ডেডিকেটেড কল নম্বর সেট করা উচিত, যেমন ৯৯৯ এর মত। অভিযোগকারীরা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে একটি প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেন। এটি মামলা করার সময় আমাদের লোকেরা যে ঝামেলার সম্মুখীন হয় তা কমিয়ে দেবে।

পুলিশ প্রধান বাহারুল আলমকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনলাইন এফআইআর ফাইলিংয়ের জন্য একটি নতুন ফোন নম্বর চালু করার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ প্রধানকে অনলাইনে মামলা দায়েরের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য একটি ডেডিকেটেড কল সেন্টার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। যারা অনলাইনে মামলা দায়ের করতে কষ্ট করে, তারা সহজেই কল সেন্টার থেকে সাহায্য নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

বর্তমানে, একটি এফআইআর শুধুমাত্র নিকটস্থ থানায় পরিদর্শন করার পরে দায়ের করা যেতে পারে। পদ্ধতিটি কষ্টকর এবং অপব্যবহারের সুযোগ ছেড়ে দেয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টা খুদার বিশেষ সহকারী। বকশ চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি এবং পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, ডিএমপি, কোস্টগার্ড ও বিশেষ শাখার প্রধানরা।

Header Ad
Header Ad

কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান খালেক পাঠানসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  

কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান। ছবিঃ সংগৃহীত

কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

আব্দুল খালেক পাঠান ছাড়াও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখার তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোরশেদ আলম মামুন, একই শাখার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ (বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান) রেজওয়ানুল কবির, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইনচার্জ অব ইমপোর্ট ডিপার্টমেন্ট (বর্তমানে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ) অমীয় কুমার মল্লিক এবং এভিপি ও ইনচার্জ অব এক্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট (বর্তমানে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ) আশরাফুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কোনোপ্রকার ঋণ অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয়ে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখা থেকে ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে গত ২ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলার তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় আসামিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। তারা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করলে মামলার তদন্তকাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রোকনপুর সীমান্ত এলাকা থেকে চার বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের’ অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের মোহবুল হকের ছেলে মুকুল (৪০), মোশাররফ হোসেনের ছেলে আলিফ (৩২), সাগরইল গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে দূরুল হুদা (৩৫) এবং উপর দামইল গ্রামের মতিউর রহমান ওরফে মতি মিয়ার ছেলে বাবু (৩৫)।

আটক মুকুলের শ্বশুর আনারুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে ভারতীয় কয়েকজন নাগরিক ফোনে জানান যে সীমান্ত এলাকা থেকে কয়েকজন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। মুকুলের বাড়ির পাশেই সীমান্ত হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। জানা গেছে, রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে মুকুলসহ চারজন ওই সীমান্ত এলাকায় যান। পরে ভারতীয় নাগরিকরা তাদের ধরে বিএসএফের হাতে তুলে দেন।

রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মতিউর রহমান বলেন, “আমার ইউনিয়নের চার বাসিন্দাকে বিএসএফ আটক করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা বাংলাদেশি রাখাল, যারা গরু আনতে ওপারে গিয়েছিল। বিষয়টি জানিয়ে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।”

এ বিষয়ে জানতে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে ছুটিতে থাকা ১৬ বিজিবির ডিএডি রুবেল ইসলাম জানান, তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির’ মতো সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার  
কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান খালেক পাঠানসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ
রংপুরকে বিদায় করে বিপিএলের কোয়ালিফায়ারে খুলনা
টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৫২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মহাখালীতে ট্রেন আটকে দিলো তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা  
ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল নেতার পরিবারকে নতুন বাড়ি দিচ্ছেন তারেক রহমান  
টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!
পাবনায় পুলিশের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা, আটক ১৬
পুলিশ হেফাজতে রাজশাহীর মালিক কিস্তিতে পারিশ্রমিক দেওয়ার অঙ্গীকার  
নববধূ নিয়ে ফেরার পথে স্ট্রোক করে বরের মৃত্যু
যাদের হাতে উঠেছে সংগীতে সেরা ‘গ্র্যামি পুরস্কার’
৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে ‘ফুলকপি’ প্রতীকের বিডিপি
পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ তিতুমীর কলেজের  
বিরামপুরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত- ২
বাঁচা-মরার ম্যাচে রাসেল, টিম ডেভিড, ভিন্সদের নিয়ে ব্যাটিংয়ে রংপুর
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের মেয়ের ছবি বিকৃত করে প্রচার  
বাংলাদেশের ‌‘গুম জননী’ শেখ হাসিনা: প্রেস সচিব
নওগাঁয় মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল তিন বন্ধুর
‘আমি কোনো দুর্নীতি করিনি’ বলে কাঠগড়ায় অঝোরে কাঁদলেন কামাল মজুমদার