খুলনার দর্জিবাড়িতে ব্যস্ততা বেড়েছে
আর কিছুদিন বাদেই ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে খুলনার দর্জিবাড়িতে ব্যস্ততা বেড়েছে। রমজান মাস চলছে। ঈদে কেমন পোশাক পরবেন লোকজন তার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে গেছে। সেলাই মেশিনের খঠ খঠ শব্দে দর্জিপাড়া সরগরম। অক্লান্ত পরিশ্রমে তারা তৈরি করেন ঈদের নতুন জামা। দিন রাত যেন কোনো সময়ই থামে না কাঁচির খ্যাচ খ্যাচ শব্দ। সবমিলিয়ে রমজানের শুরু থেকেই জমজমাট টেইলার্স ব্যবসা। এ ব্যস্ততা চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত।
শবেবরাতের পর থেকেই এসব পোশাক তৈরির অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে। সাধারণত ২০ রমজানের পর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেবেন অনেক দোকানি। তাই প্রতিটি দর্জি দোকানের কারিগরদের এখন নির্ঘুম রাত কাটছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে তাদের ব্যস্ততা ততই বাড়ছে। পোশাকভেদে সেলাই প্রতি ৯০ টাকা থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পান শ্রমিকরা।
নগরীর সেমেট্রি রোড এলাকার দর্জিপাড়ার দর্জিরা জানান, মাঝে কয়েকদিন বৃষ্টি হলেও এখন গরমের দাপট কম নয়। তাই সুতি কাপড়ের পোশাক তৈরির অর্ডার এবার বেশি হচ্ছে। ঈদের প্রচুর কাজ জমে আছে দোকানগুলোতে। তবে আগের মতো নয়।
ওই এলাকার দর্জি মারুফ হোসেন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর রোজার শুরু থেকেই কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণীরা পছন্দের জামা সেলাই করতে আগেই অর্ডার দিয়ে দিয়েছে। সেইসব কাজ এখন করছি। তবে বাজারের সব জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও আমাদের মজুরি বাড়েনি।
নগরীর ডাকবাংলা ফেরিঘাট এলাকার দর্জি মো. আবু সাইদ জানান, মেয়েদের পোশাকে এবার তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি। শবে বরাতের পর থেকেই ঈদের অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে কাজের চাপ বেড়েছে ৫-৬ রোজার পর থেকে। এখনো প্রতিদিন নতুন নতুন কাজ আসছে।
নগরীর দৌলতপুর দেয়না দাসপাড়া বাউন্ডারি রোড এলাকার দর্জি মাস্টার সুকুমার দাস জানান, ঈদে কাজের চাপ বেড়েছে। তবে আগের মতো ব্যস্ততা নেই। এখন মানুষের কাছে টাকা নেই। এছাড়া প্রতি গজ সুতি কাপড়ে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। ক্রেতারা যখন এসে বেশি দামে কেনা কাপড়ের কথা বলে, তখন আমরা আর আমাদের মজুরি বাড়াতে পারি না। আমাদের যাদের টেইলার্স এর দোকান রয়েছে, আমরা সেই দোকানে অর্ডার নিয়ে কাটিং করি। আর সেলাই এর জন্য অন্যরা কাজ করে। একজন কাস্টমারের কাছ থেকে আমরা যে মজুরি নেই, সেই মজুরির তিন ভাগের একভাগ তাদের দিতে হয়। আমাদের দুইভাগে যা আসে তাতে সব খরচ বাদ দিয়ে কী আর সংসার চলে।
এসএন