মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধর্ষণের আলামত নষ্টে ওসির সম্পৃক্ততা খুঁজে পেল পিবিআই

২০২২ সালের ২ আগস্ট বগুড়ার ধুনট থানার সাবেক ওসি কৃপা সিন্ধু বালার বিরুদ্ধে ধর্ষণের আলামত ধ্বংসের অভিযোগ করেন ধুনট উপজেলার এক স্কুলছাত্রীর মা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি কৃপা সিন্ধু বালার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আলামত ধ্বংসের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত বছরের অক্টোবর থেকে এই বিষয়ে তদন্ত করছে পিবিআই বগুড়া।

জানা গেছে, গত বছরের ৩০ মার্চ পুলিশ মহাপরিদর্শকের দপ্তরে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় একই বছরের ২৮ আগস্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে মামলা ও ওসির বিরুদ্ধে আলামত নষ্টের অভিযোগ তদন্তভার দেওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারটি। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ওই বছরের অক্টোবরে মামলার দায়িত্বভার নেয় পিবিআই পরিদর্শক সেলিম মালিক। পরবর্তীতে গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে মামলার তদন্ত শুরু করেন পিবিআইয়ের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সবুজ আলী। আর ওসি কৃপা সিন্ধুর অভিযোগটি দেখছেন পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী এহসানুল কবির।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে অভিযোগকারীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া ছিলেন প্রভাষক মরাদুজ্জামান। এ অবস্থায় বাড়িওয়ালার ১৬ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তাকে জড়িয়ে ধরে কিছু ছবি তোলেন তিনি। পরে গত ৩ মার্চ বেলা ১১টায় মেয়েটিকে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের কিছু আপত্তিকর দৃশ্যও মুঠোফোনে ধারণ করেন প্রভাষক মরাদুজ্জামান। পরে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটির সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক লিপ্ত হয়।

সর্বশেষ গত বছরের ১২ এপ্রিল সকালে ভাড়া বাসায় মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন প্রভাষক মুরাদুজ্জামান। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে এলে কৌশলে পালিয়ে যায় প্রভাষক মরাদুজ্জামান। পরে তিনি ওই বাসায় ফেরেনি এবং ওই ঘটনার পরপরই মুরাদুজ্জামানের পরিবারকে বাসা থেকে বের করে দেয় মেয়েটির পরিবার। ওই বছরের ১২ মে সকালে ধুনট থানায় মুরাদুজ্জমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। মামলার পর ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তৎকালিন ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা। কিন্তু মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা মোবাইলের ভিডিও বের করার জন্য সিআইডি পুলিশের কাছে পাঠানোর নামে ডকুমেন্টগুলো নষ্ট করে দেয় ওসি কৃপা সিন্ধু বালা।

মামলার বাদী ওই স্কুলছাত্রীর মা বলেন, শুনেছি মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে ওসি কৃপা সিন্ধু বালার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই। এটা শুনে অনেকখানি ভালো লেগেছে। আর এই মামলা আপোষ করার জন্য ওই সময় অনেক চাপ দেওয়া হয়েছিল। পরে পাবনায় বদলি হওয়ার পর আমরা একটু নিশ্চিন্ত হই।

তিনি আরও বলেন, ওই সময় ওসি কৃপা সিন্ধু শুধু আমার মেয়ের ধর্ষণের আলামত নষ্ট করেননি। তার বয়স বাড়িয়ে স্বাবালক নারী দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ ছাড়া মুরাদুজ্জামানের কাছে শুধু আমার মেয়ের নয় আরও একাধিক মেয়ের কয়েক শ ছবি ছিল সেগুলোও নষ্ট হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই বগুড়ার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সবুজ আলী বলেন, চার্জশিট তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। জানতে পেরেছি অভিযুক্ত মুরাদুজ্জামান হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে আমাদের কাছে কোনো নথি আসেনি।

এদিকে অভিযুক্ত প্রভাষক মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর গত ২৪ মে ধুনটের জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা কমিটি তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। আদালতের রায়ে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ পরিচালনা কমিটি।

এ ব্যাপারে পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী এহসানুল কবির বলেন, মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। এ জন্য আমরা এখনই অফিসিয়ালি কিছু জানাচ্ছি না। তবে শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে আমরা আপনাদের জানাব।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবরে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওসি কৃপা সিন্ধু বালাকে পাবনা জেলায় পাঠানো হয়। ওই আদেশে বলা হয়েছিল, জনস্বার্থে ধুনট থানার ওসিকে পাবনা জেলায় বদলি করা হলো।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

রাবির তথ্য অফিসার পদে নিয়োগ পেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা

রাশেদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরে অনুসন্ধান কাম তথ্য কর্মকর্তা পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ‘পৃষ্ঠপোষক’ রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ রাজন।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
তার নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘রাশেদুলকে কোনো কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরে টাকা ২২,০০০-৫৩০৬০/- বেতনস্কেলে মাসিক টাকা ২৩, ১০০/- (তেইশ হাজার একশত) টাকা মাত্র বেতনে অনুসন্ধান কাম তথ্য অফিসার পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে ০৬ (ছয়) মাসের জন্য নিয়োগ করা হলো। এ নিয়োগ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।'

নিয়োগপ্রাপ্ত রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ রাজন) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষায় ২.৭৭৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। একই বিভাগ থেকে তিনি ২০২০ সালে ৩.০৭ পেয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার বাসা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন রাজশাহী নগরের কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন রাশেদুল ইসলামকে গত ২৯ জুলাই তুলে নিয়ে যায়। পরে ৩১ জুলাই তাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি মুক্তি পান। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সভা সেমিনারে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের 'পৃষ্ঠপোষক' হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘কোনো দপ্তরে যদি লোকবল সংকট হয়, তবে সেই দপ্তর থেকে উপাচার্যের কাছে লোকবল নিয়োগের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়। তবে নিয়োগ সার্কুলার দিতে বিলম্ব হলে উপাচার্য জরুরি ভিত্তিতে অ্যাডহক নিয়োগ দিতে পারেন। তবে অবশ্যই যোগ্য ও অভিজ্ঞ কাউকে নিয়োগ দিতে হবে।’

নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, ‘এটি একটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য নিয়োগ দিয়েছে। তাকে কোনো কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’

'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার' নামের ফেসবুক গ্রুপে আহসান হাবিব নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দুই হাজারের বেশি মানুষের জীবন দিয়ে লাভ কী হলো? মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিলোপ করে আবার সমন্বয়ক কোটা চালু করা হলো। কোন বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়াই কিভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণীর চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়?’

এই বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে নিয়োগ দেওয়া হলে, তার বিষয়টি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। তাকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। আর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে অ্যাডহকে এত তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দিতে হবে কেন?’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘রাবি প্রশাসন কোন সার্কুলার দিয়েছিল কিনা আমরা জানি না। সমন্বয়কদের কোন কোটায় চাকুরি দিচ্ছে সেটাও আমাদের বোধগম্য নয়। কাউকে পুরস্কৃত করছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার বিষয়। চাকরির একমাত্র মানদণ্ড হোক মেধা। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

এ নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন,‘উপাচার্যের আদেশেই রাশেদুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে অ্যাডহক ভিত্তিতে আগামী ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মিডিয়ার ব্যাপারে তার যে জানা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। আমি আমার বিবেচনায় রাশেদ রাজনকে নিয়োগ দিয়েছি। আমার ধারণা তিনি তার যোগ্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবেন।’

Header Ad
Header Ad

বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের শহীদদের কবর জিয়ারত ও দোয়া মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এনসিপি'র আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে উপস্থিত হন।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এনসিপি'র নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে এনসিপি তাদের রাজনৈতিক যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছে।

আজ বিকাল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

গেলো ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

Header Ad
Header Ad

অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  

কুবির রেজিস্ট্রারের পদ থেকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া মো. মজিবুর রহমান মজুমদার।ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার পদে থাকা মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। ফলে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে।

সোমবার (৩ মার্চ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ৩ মার্চ থেকে মোঃ মজিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হলো এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যানবাহন সংক্রান্ত, টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও সংবাদপত্র সংক্রান্ত কোনো সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, 'এই অর্ডার দেখে আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ়। অভিযোগের ব্যাপারে আমি জানি না। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আমি সহযোগিতা করব যাতে সত্য ঘটনা উদঘাটন করতে পারে। আমার বিবেকের জায়গা থেকে প্রশাসনিক হোক, আর্থিক হোক এমন কোনো দুর্নীতি করিনি।'

যেহেতু কোন ধরনের দুর্নীতি করেননি বলে বলছেন তাহলে স্থায়ী পদ থেকে আপনাকে সরানোর ব্যাপারে কী কারণ থাকতে পারে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'নতুন প্রশাসন আসার পর থেকে আমি অনুভব করেছি আসলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পথ ভালো হবে না। বলতে গেলে আমার ভাগ্যটা খারাপ। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় পড়ে গেছি।'

সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আসলে ছাত্র-শিক্ষক এবং প্রশাসনের সবার সাথে এক সেতুবন্ধন করা আমার কাজ। এই পদের এমন কোনো ক্ষমতা নাই যে আমি কিছু করে ফেলব। অর্ডারগুলো ক্যারি করা এবং আমি চেষ্টা করব যেন আইনানুযায়ী সবার সাথে ভালোভাবে চলতে পারি।'

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'কী কী অভিযোগ আছে সেটা আমি বলতে পারি না। একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওইখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা আছেন। অফিস আদেশের মাধ্যমে আগামীকালই জানা যাবে কারা আছেন।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাবির তথ্য অফিসার পদে নিয়োগ পেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা
বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  
অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  
নুরের ‘দলত্যাগ’ প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদ গণঅধিকার পরিষদের  
মধ্যরাতে ধোলাইখালে জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা
বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫