বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নদীর বালু রাস্তায় রেখে বিক্রি, ভাঙছে সড়ক-মহাসড়ক

জামালপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রির জন্য জামালপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক ও কানিল-পিয়ারপুর সড়কের উপর বসে অর্ধশত বালুর হাট। এতে বালুবাহী ভারী ট্রাকের কারণে ভেঙে যাচ্ছে সদ্য নির্মিত ধ্বংস হচ্ছে সড়ক-মহাসড়ক। অন্যদিকে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে দ্রুতগতির যানবাহন। ঘটছে হতাহতের ঘটনা।

জানা গেছে, জামালপুর শহরের ফেরিঘাট থেকে শুরু করে পিয়ারপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রশাসনের নাকের ডগায় স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে বালুখেকোরা নদীতে অসংখ্য ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ট্রাক, ড্রাম ট্রাক, মাহিন্দ্র ও ভটভটি দিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার টন বালু উত্তোলন ও পাচার করছে। ব্রহ্মপুত্র সেতুর গোড়া, জামালপুর শহর রক্ষা বাঁধ, শহরের বাইপাস ও মহাসড়কের খুব কাছ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ওইসব স্থাপনা পড়েছে হুমকির মুখে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকার রাস্তাঘাট, হাটবাজার, বাড়িঘর, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ ফসলি জমিও হুমকির মুখে পড়েছে।

ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, জামালপুর ফেরিঘাট থেকে মহেষপুর কালীবাড়ি ও কানিল থেকে পিয়ারপুর পর্যন্ত সড়ক-মহাসড়কের অন্তত অর্ধশত স্পটে কোথাও সড়কের পাশে কোথাও সড়কের উপর বালু স্তূপ করে বিক্রি করা হচ্ছে। সেখান থেকে বালু ট্রাক, ড্রাম ট্রাক, মাহিন্দ্র, ভটভটিসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে যাচ্ছে নানা স্থানে।

স্থানীয়রা জানায়, সদ্য নির্মিত জামালপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর বিভিন্ন ভারী যানবাহন দাঁড় করিয়ে ২৫ থেকে ৩০ টন বালু বোঝাই করা হয়। শত শত ট্রাক, ড্রাম ট্রাকসহ ভারী যানবাহন দিনরাত চলাচল করায় ভেঙে যাচ্ছে সদ্য নির্মিত সড়ক-মহাসড়ক।

নান্দিনা এলাকার বাসিন্দা ছাইদুর রহমান বলেন, রাস্তার উপর বালুর হাটের কারণে ধ্বংস হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক-মহাসড়ক। এ ছাড়া সড়কের ওপর বালুর স্তূপ ও ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় প্রায় দিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও সড়ক বিভাগ জেনেও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রাতে রাস্তায় বালু বোঝাই ট্রাক সড়কে দাঁড়িয়ে থাকায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন কালেভদ্রে অভিযান চালালেও দিনমজুর ও পরিবহনচালক ছাড়া বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না।

এ প্রসঙ্গে শরিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ওই চক্রের সদস্যদের নামের তালিকাসহ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পরও কোনো প্রতিকার মেলেনি। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা পাকা সড়কের উপর বালুর হাট-বাজার বসিয়ে সড়ক ধ্বংস করলেও সড়ক বিভাগ বরাবরই নীরব।

জামালপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক বলেন, সড়কের উপর বালুর হাট-বাজার তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। এ ব্যাপারে ইউএনওর সঙ্গে কথাও বলেছেন। তবে এখনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেননি।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর ইউএনও লিটুস লরেন্স চিরান জানান, তারা সড়ক বিভাগ থেকে অভিযোগ পাননি। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই সব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন সিআইপি বলেন, বালু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এই বালু পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে ২৫-৩০ টন ওজনের ট্রাক, ড্রাম ট্রাক, মাহিন্দ্র। ফলে নষ্ট হচ্ছে শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক-মহাসড়ক। বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা-উপজেলা প্রশাসনের একাধিক মাসিক সভায় আলোচনা করেছেন। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তিনি ডিসি ও ইউএনওকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও রাস্তার উপর বালু রেখে বিক্রি বন্ধ না হওয়াটা দুঃখজনক।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

আসছে মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ, ফের শীতে কাঁপবে দেশ  

ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের প্রকোপে ইতোমধ্যে কাঁপতে শুরু করেছে পুরো দেশ। ধেয়ে আসছে শীতের হিমেল হাওয়া। আগামী সপ্তাহজুড়েই শৈত্যপ্রবাহ চলতে বারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে। কুয়াশা বেশি থাকায় দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না-ও পাওয়া যেতে পারে। ফলে শীতের অনুভূতিও বাড়তে পারে।

আসন্ন শৈত্যপ্রবাহটি হতে পারে চলতি মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে কুয়াশা ও শীত দুটিই আগামী কয়েক দিনে দ্রুত বাড়তে পারে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শীত থাকতে পারে।

তিনি আরও জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের নিম্নমুখী অংশ উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয় পর্বতের কাশ্মীর এলাকা থেকে ঠান্ডা বাতাস বয়ে নিয়ে আসছে। এই হিমেল বাতাসের প্রবাহ ভারতের মধ্য ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো পেরিয়ে পূর্ব দিকে আসছে। আজ সকাল থেকে তা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু হতে পারে।

শৈত্যপ্রবাহটি রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। ফলে উত্তরাঞ্চল ছাড়াও যশোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে শুরু করে কুষ্টিয়া পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগেও শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।

Header Ad
Header Ad

ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর

ছবিঃ সংগৃহীত

সাত দিনের মধ্যে দুইবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশ। আর গত ৯০ দিনে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার ৫০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।

বিশ্বে ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় আছে ঢাকা। বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবুও কোনো সরকারই এ দুর্যোগে ক্ষতি কমাতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট-বড় মাত্রার এসব ভূমিকম্প সামনের বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে। আর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চেয়ে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই ভূমিকম্পে তিব্বতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতও কেঁপে ওঠে। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে প্রায়ই এই অঞ্চল কম্পিত হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূকম্পনের সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোটোখাটো কম্পন দেশটিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা নির্দেশ করে। এ ছাড়াও দুর্যোগ সূচকে বিশ্বের ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। সবশেষ বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হয়েছে ১৯১৮ সাল। এর কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের মধ্যে এবং যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন। গত ৭৫ বছরে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হয়নি, ফলে শিগগিরই একটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার টেকটোনিক প্লেট গেছে। গত শত শত বছর এসব প্লেটে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। ফলে এই প্লেটে সঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিনের শক্তি। হঠাৎই এটি ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। আর এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে লাখ লাখ প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে ঢাকা। বুয়েট ও সরকারের একটি যৌথ সমীক্ষায় দেখা যায়, সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যেখানে তৈরি হবে সাত কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘৭ মাত্রার ভূমিকম্প যদি সীমান্ত এলাকায় হয় তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে কারণ ঢাকার ভবনগুলো বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘আমাদের দেশের আশপাশ দিয়ে তিনটি টেকটোনিক প্লেট গেছে। যেগুলোর সংযোগস্থল সীমান্তের আশপাশে। আমাদের অবস্থান ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটে, আমাদের উত্তরে হিমালয় পড়েছে ইউরেশিয়ান প্লেটে আর আমাদের পূর্বে হচ্ছে মিয়ানমার মাইক্রো প্লেট। সবগুরো প্লেটই আমাদের কানেক্টেড এবং সক্রিয়। এগুলোর মুভমেন্ট আছে। প্লেটগুলো প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার মুভমেন্ট করে। অর্থাৎ, আমার প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মুভমেন্ট করছি। একইভাবে পুরো পৃথিবীও মুভ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে শুধু ইক্যুইপমেন্টস আছে। শুধু ইক্যুইপমেন্টস দিয়ে হবে না। কারণ, ভবন মেরামত না করলে ভবন চাপা পড়ে মানুষ মারা যাবেই। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের অপরিকল্পিত লাইন ঢাকা শহরে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।’

Header Ad
Header Ad

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে

বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান  

ছবিঃ সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে দু’দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। এরই মধ‍্যে সোম ও মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফের দুই দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তারা। উভয় বাহিনী সীমান্তে বতর্মানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নিজেদের টহল কার্যক্রম বাড়িয়েছে বিজিবি।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিজিবির-৫৯ ব্যাটালিয়নের চৌকা বিওপির অধীনস্থ পিলার নম্বর ১৭৭ এর ১ এস, ২ এস ও ৩ এস এলাকার বিপরীতে ভারতীয় অংশে সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের কাজ করতে দেখা যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিজিবি, বাড়িয়েছে নিজেদের টহল।

এদিকে মঙ্গলবার বিকালে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়নের লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।

৫৯ ব্যাটালিয়নের লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ঠিক রাস্তা নির্মাণ নয়, রাস্তা নির্মাণের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছিল। সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি জানান, ভারতের পক্ষ থেকে তাদের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরাও আমাদের সীমান্তে এলাকায় বিজিবি মোতায়েন রেখেছি। সাধারণ মানুষের ভয়ের কোনো কারণ নেই।

এদিকে সীমান্তে বাংলাদেশের ভূমি রক্ষায় স্থানীয় বাংলাদেশিরা ক্ষোভ জানিয়েছেন এবং বিএসএফের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে বিজিবির সঙ্গে তারাও দিনব‍্যাপী সীমান্তে অবস্থান নেন। একইভাবে বিএসএফের সঙ্গে ভারতের নাগরিকদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয় এবং বিজিবির সেক্টর কমান্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরও অবস্থান করছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আসছে মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ, ফের শীতে কাঁপবে দেশ  
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর
বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান  
খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে গেছেন: মির্জা ফখরুল  
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক  
মেটা প্ল্যাটফর্মে থাকছে না ফ্যাক্টচেকার, বাড়বে রাজনৈতিক কনটেন্ট: জাকারবার্গ  
হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি থাকার অনুমতি দিলো ভারত  
ইউরোপে পোঁছানোর চেষ্টায় সাগরে প্রাণ গেলো ২,২০০ অভিবাসীর  
ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করল সরকার  
ঢাবি থেকে সাত কলেজকে আলাদা করতে কমিশন ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক বুধবার
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৯৮ কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহ
এবার শাহীনকে ধরা হলো বিমানবন্দরে! আদালতে সোপর্দ
হৃদয়-মেয়ার্সের জুটিতে বরিশালের সহজ জয়
‘ফিরোজা’ থেকে বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
কানাডার অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে তাঁদের দেশকে দেখতে চান: ট্রাম্প
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
পাঁচদশক আড়ালে থাকা মেজর ডালিম বাংলাদেশে ফিরছেন!
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই মৃদুল গ্রেপ্তার
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চান প্রধান বিচারপতি
আবারও বাড়বে শীতের দাপট, ঘন কুয়াশার সঙ্গে থাকবে ঠাণ্ডা বাতাস