বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও চলছে আরডিএ মার্কেট

এ যেন ‘একের ভিতর সব’ থিউরির প্রতিফলন। এক ছাদের নিচেই ইলেকট্রনিক্স, মুদি, কাপড়, কসমেটিকস, কোকারিজসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান নিয়ে গড়ে উঠে  রাজশাহীর আরডিএ মার্কেট। কিন্তু মার্কেটের নিরাপত্তায় বিরাজ করছে অব্যবস্থাপনা। এর ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এজন্য ভেঙে ফেলার পরামর্শও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির। কিন্তু আপত্তি ব্যবসায়ীদের। আর উদ্বিগ্নতার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে যেন অসহায় স্থানীয় প্রশাসনও। এর ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে মার্কেটটি।

এই মার্কেটের ভেতরে ঠুকলে আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা নেই। নেই কোনো ভেন্টিলেশন। মার্কেটে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার পথও নেই। এমনকি তাদের নেই নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে ভেঙে ফেলতে চান রাজশাহী সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, এমনকি মার্কেটটির নির্মাণকারী সংস্থা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (আরডিএ)। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মার্কেটটি ভেঙে ফেলার সুপারিশও করেছে। কিন্তু অনড় ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬-৮৭ সালের দিকে সড়ক সম্প্রসারণের কারণে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করতেই তড়িঘড়ি করে মার্কেটটি তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে ১৩৭ জন ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসন করেছিল আরডিএ। এজন্য এটি ‘আরডিএ মার্কেট’ নামেই পরিচিত। তবে সময়ের সঙ্গে মার্কেটের আশপাশে ও উপরে জোড়াতালি দিয়ে তিন তলা এই মার্কেটে এখন দোকানের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি।

এই মার্কেটটি রাজশাহীর নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষদের প্রথম পছন্দ। যেকোনো উৎসবের আগে মার্কেটের ভেতরে-বাইরে পা ফেলার জায়গা থাকে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাহেববাজারের প্রধান সড়কের পাশে এই মার্কেটের পরিবেশ খুবই ঘিঞ্জি। মার্কেটের পূর্ব-পশ্চিম ও দক্ষিণে সরু রাস্তা। এসব রাস্তা দখল করেও ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে এই তিন দিক দিয়েই ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ঢুকবে না। মার্কেটের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের তারের জঞ্জালও অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। যা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই ব্যবসায়ীদের।
ফায়ার সার্ভিস ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই মার্কেটকে ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে তাদের পক্ষ থেকে মার্কেটের প্রবেশপথে একটি পোস্টারও সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রাতারাতি গায়েব হয়ে যায় পোস্টারটি। পরে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকে আরডিএ মার্কেট ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে এই মার্কেট ভেঙে নতুন করে নির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আরডিএকে আলোচনা করতে বলা হয়। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার কারণে এই প্রক্রিয়া এগোয়নি।

এদিকে আরডিএ’র পুনর্বাসিত সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী জানান, এই মার্কেটে তেমন ঝুঁকি নেই। পরিবেশও ঘিঞ্জি না। তবে মার্কেটের আশপাশ দিয়ে মাকড়সার জালের মতো বিদ্যুতের তার টানার কারণে অগ্নিকাণ্ডের একটু ঝুঁকি আছে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম জানান, এই মার্কেটের পরিবেশ এতটাই ঘিঞ্জি যে আগুন লাগলে ধোয়া বের হওয়ার মতো জায়গা নেই। একেবারে অপরিকল্পিতভাবে মার্কেটটা করা হয়েছে। ভবন করার আগে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন লাগে। কিন্তু এই মার্কেটের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। দুর্ঘটনা ঝুঁকি এড়াতে কোনো ব্যবস্থায় গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে অনেক আগেই মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর ইসলাম জানান, মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ। ভেতরে খাচার মতো পরিবেশ। আগুন লাগলে ব্যবসায়ীদের মালামাল যেমন পুড়বে তেমনি অনেক মানুষের প্রাণহানিরও ঝুঁকি আছে। তাই এটি ভেঙে ফেলার ব্যাপারে তারাও একমত।

তিনি জানান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মার্কেটটি ভেঙে ফেলার সুপারিশ করলে আরডিএ চেয়ারম্যান সিটি মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও এটি ভেঙে ফেলার পক্ষে মত দেন। কিন্তু পরে আরডিএ এগোতে পারেনি।

এ ব্যাপারে আরডিএয়ের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা রাহেনুল ইসলাম রনি জানান, এ বিষয়ে কাজ চলছে। মার্কেটটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারি টিউলিপ সিদ্দিক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার ঘটনায় তাকে ব্যাপক চাপে পড়তে হয়। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) টিউলিপ নিজেই টুইটারে তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর, টিউলিপ ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের কাছে তদন্তের আবেদন জানান। এই তদন্তের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব নেন লরি ম্যাগনাস, যিনি পরে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেন।

এদিকে গত আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর শেখ হাসিনা সরকার আমলে বাংলাদেশে ৯টি অবকাঠামো প্রকল্প থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। তাতে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম আসে। ওই অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের এই তৎপরতা আলোচনায় আসার পর যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি খবর প্রকাশ হয়। ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার মস্কো সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের সময় টিউলিপ সিদ্দিকও উপস্থিত ছিলেন। তার ওই ছবি এ সময় ফলাও করে প্রচার করে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ গণমাধ্যম।

লন্ডনে হাসিনা ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে উপহার নেওয়া ছাড়াও; সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এসবের মধ্যেই দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল। তারা বলছিল, টিউলিপের ওপর ব্রিটেনের দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারই নাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে। এতে তিনি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন।

রয়টার্স লিখেছে, পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, অভিযোগ পর্যালোচনার পর ব্রিটিশ সরকারের ইনডিপেনডেন্ট এথিকস অ্যাডভাইজর (স্ট্যান্ডার্ডস ওয়াচডগ) স্যার লাউরি ম্যাগনাস নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসেবে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেননি।

পরে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো টিউলিপ এক্স হ্যান্ডেলে তার পদত্যাগের কথা জানান। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রের ছবিও পোস্ট করেন।

এদিকে রয়টার্স লিখেছে, টিউলিপকে লেখা স্টারমারের একটি চিঠি প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সেখানে তিনি লিখেছেন, “আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পাশাপাশি আমি এটাও স্পষ্ট করে বলতে চাই, স্বাধীন উপদেষ্টা হিসেবে স্যার লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসেবে আপনার বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন ও আর্থিক অনিয়মের কোনো অভিযোগের ঘটনা পাননি।”

তিনি মন্ত্রী থাকলে সরকার তার কাজে মনযোগ দিতে পারবেন না এমন কথা উল্লেখ করে টিউলিপ বলেছেন, “এ কারণে আমি আমার মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, পেনসনমন্ত্রী এমা রেনল্ডস টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

উল্লেখ্য, টিউলিপ সিদ্দিক গত বছর লেবার পার্টির মনোনয়নে টানা চতুর্থবারের মতো যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর গত জুলাইয়ে তিনি ইকোনোমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার পদে নিয়োগ পান। গত বছর ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

Header Ad
Header Ad

অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন, কোনো সন্ত্রাসী রেহাই পাবে না। শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল বা ইমন, যারাই হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য অপরাধীদের আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা জনগণের স্বস্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছি।”

৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্ত হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে পিচ্চি হেলাল ও ইমনের নাম উল্লেখযোগ্য। পিচ্চি হেলালের বিরুদ্ধে ডাবল মার্ডারের মামলা হয়েছে এবং ইমনের বিরুদ্ধে এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কোপানোর অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, “তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কোনো সন্ত্রাসীই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”

রাতে পুলিশের টহল কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পুলিশের মনোবল সম্পূর্ণ অটুট। বর্তমান কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।”

অপরাধের ধরন অনুযায়ী অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে জানিয়ে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “আমরা তালিকা তৈরি করেছি এবং সে অনুযায়ী অভিযান চলছে। এলিফ্যান্ট রোডের ঘটনায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া রাতুল তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। এই অভিযানে আরও তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।”

ডিবি প্রধান আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না।”

Header Ad
Header Ad

ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ

ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার তেল কিনছে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও দিল্লির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে নানা টানাপোড়েন, যার মাত্রা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দু'দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনাও চলছে।অবশ্য সম্পর্কের এই বৈরিতা সত্ত্বেও ভারত থেকে অন্যতম জ্বালানি ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ

রোববার (১২ জানুয়ারি) এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিগগিরই ভারত থেকে এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। এর জন্য বাংলাদেশি মুদ্রা টাকায় খরচ হবে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তবিষয়ক ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার ভেতরেই ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। রোববার বিপিসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এই ডিজেল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানি করা হবে এবং এর জন্য বাংলাদেশি মুদ্রা টাকায় খরচ হবে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এ বছর বিপিসির পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই সরাসরি আমদানি করা হয়ে থাকে। আর বাকি অংশ স্থানীয় শোধনাগার থেকে পাওয়া যায়। মূলত বিপিসি নিয়মিতভাবে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই তেল ট্রেনে করে বাংলাদেশে আসছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
মিথিলার সঙ্গে দূরত্ব, প্রাক্তনকে বুকে নিয়ে সৃজিতের সেলফি
দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে মৃতদেহের ছড়াছড়ি: অন্তত ১০০ জনের প্রাণহানি
মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন জাপার সাবেক এমপি অভি
এস আলমের ২০০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক, ৮৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ
নির্বাচন কমিশনে ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি দল
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর, মুক্তিতে বাধা নেই
‘ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলে হাসিনার পতনের মত প্রোক্লেমেশন আদায় করে নেব’
টাঙ্গাইলে ১০ কোটি টাকার বালু ৪৯ লাখে বিক্রি: এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানির নতুন তারিখ
নওগাঁয় ডাকাতি শেষে গৃহবধূকে ‍তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৭
৩ বছর আগেই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে জয়ের
মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ‘বিতর্ক’, তথ্য প্রকাশে আপত্তি
প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর সময় প্রাণ হারালেন প্রেমিকা