চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টুর বিরুদ্ধে প্রকল্পের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা খাতে ১ নম্বর স্কীমের জন্য ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই বরাদ্দকৃত টাকার অনুকূলে বাঁশবাড়িয়া ও গাড়াপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেঞ্চ সরবরাহ এবং শহিদুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ ও রুলি আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফ্যান সরবরাহ করার কথা ছিল।
এ বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি নাসির উদ্দিন মেম্বার জানান, তিনি এই প্রকল্পের সভাপতি হলেও তিনি প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তার কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে উক্ত প্রকল্পের টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান।
তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের সভাপতি ও সম্পাদককে অনুপস্থিত রেখে কীভাবে টাকা উত্তোলন করেন। এ ধরনের অনেক ভূয়া প্রকল্প তৈরি করে চেয়ারম্যান লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অনুসন্ধান করলেই তার আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে ইউপি সচিব জহুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শুধুমাত্র চেকে আমার স্বাক্ষর আছে। অন্যান্য কাগজে আমার স্বাক্ষর নেই থাকলে সেটা চেয়ারম্যান সাহেব জানে।
ইউপি সদস্য তহমিনা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও এ প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন, আমি প্রকল্পের কোনো কাগজে স্বাক্ষর করিনি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন, প্রকল্পের সভাপতি-সেক্রেটারি স্বাক্ষর করেননি। আমি স্বাক্ষর করে প্রত্যয়ন দিয়ে টাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা চেয়ারমান ময়জদ্দিন হামিদ বলেন, এ ঘটনায় একজন মহিলা মেম্বারসহ ১০ জন মেম্বার আমার কাছে এসেছিল। তাদের অভিযোগ শুনেছি।
এদিকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনকে সভাপতি ও তহমিনা খাতুনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসআইএইচ