চলন্ত বাসে ডাকাতি, প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহত ৭

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতিকালে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৭ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন। এর আগে সোমবার (৩ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে টাঙ্গাইল-মধুপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার রক্তিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা গ্রামের মসির উদ্দিনের ছেলে তারা মিয়া (৪০) ও সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী কাকলি বেগম (৩৫)। বাকি ৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন বলে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও বাস যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জ স্পেশাল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে ৭-৮ জনের ডাকাত দল যাত্রীবেশে গাড়িতে ওঠে। বাসটি মধুপুর উপজেলার দেওলাবাড়ি পার হলে ডাকাল দল বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরে তারা যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এ সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে ডাকাত দল ৭ যাত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে ডাকাত দল মধুপুরের রক্তিপাড়ার উত্তর পাশে নরকোণা এলাকায় নেমে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের ৩ আগষ্ট কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রামগামী ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ডাকাতির কবলে পড়ে। এতে ৩ ঘণ্টা বাসটি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা-চোখ- মুখ বেধে, ডাকাতি ও এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে বাসটি জেলার মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা যাত্রীদের উদ্ধার করে।
