ধান কাঁটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৪
নেত্রকোনার মদন উপজেলাধীন নায়েকপুর ইউনিয়নের বাঁশরী গ্রামে জমির কাঁচা ধান কাঁটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত ১৪জন। মদন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আজ শুক্রবার দুপুরে জেলার মদন উপজেলার নায়েকপূর ইউনিয়নের বাশরী গ্ৰামে দু'পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন, বাঁশরী গ্রামের মৃত মুক্তর হোসেনের ছেলে, কাজল (৪০), শহীদ খালেকের ছেলে রোকন (৩০), আনোয়ার আলীর ছেলে এমদাদুল (২৫), মিনু মিয়া (৩০), লোকমান হেকিম (৩৩), আনজু মিয়া (৪০), হাবিবুল্লাহ (৪৫), হাবিবুল্লাহর (স্ত্রী) নুরজাহান আক্তার(৪০), আনোয়ার আলীর (স্ত্রী) আমেনা বেগম (৫০)।
গুরুতর জখম ও আহতদের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাকি আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। (৩১মার্চ) রোজ শুক্রবার দুপুরের দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, (৩০মার্চ) বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে নজরুল আমিন ফেরদৌসের ধানের জমি থেকে কাঁচা ধান কাটে ওয়াসিম, শামীম, চন্দন। এ সময় ধানের জমির মালিক নজরুল আমিন ফেরদৌসের ছেলে জুয়েল (২০), তাদের জমি থেকে কাঁচা ধান কাটার প্রতিবাদ করলে তারা তিনজন মিলে তাকে মারধর করে আহত করে। জুয়েল চিকিৎসাধীন রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এ ঘটনার মীমাংসার লক্ষ নায়েকপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন (সাদেক) মিয়ার বাড়িতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকাল ৮টার দিকে দরবার সালিশে বসেছিল বিষয়টি সমাধান করার জন্য। দরবার সালিশ না মানায় দুই পক্ষের মধ্যে কাঁচা ধান কাটা নিয়ে দুপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১৪ জন।
এ বিষয়ে মদন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর এ প্রতিনিধিকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএজেড