শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পঞ্চগড়ে প্রাথমিকে ৮ শিক্ষার্থীকে পড়াচ্ছেন ৮ শিক্ষক

চারিদিকে শুনসান নীরবতা। নেই কোনো শিক্ষার্থীদের কলাহল। বিদ্যালয়ের ছোট্ট মাঠটিও বেশ অপরিচ্ছন্ন। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের শব্দও আসছে না কানে। সম্প্রতি বিদ্যালয়টিতে গেলে দেখা মেলে প্রাক প্রাথমিক/চতুর্থ শ্রেণির কক্ষে তৃতীয় শ্রেণির ১ জন, চতুর্থ শ্রেণির ৩ জন এবং পঞ্চম শ্রেণির ১ জন সহ ৫ শিক্ষার্থীকে এক শ্রেণিকক্ষেই পড়াচ্ছেন মীম মোস্তারিন মুন নামে এক শিক্ষক। দ্বিতীয়/তৃতীয় শ্রেণির মেঝে পানিতে থইথই করছে। শ্রেণি কক্ষে বেঞ্চ থাকলেও নেই শিক্ষার্থী। একই অবস্থা পঞ্চম শ্রেণি কক্ষেও। বলছি, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরি ইউনিয়নের সুভাসুজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা।

জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয় ২০১৩ সালে। বিদ্যালয়টিতে রয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার নান্দদিক ভবন। পাঠদানের সকল উপকরণসহ রয়েছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। তবে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৫ জন। এর মধ্যে মামলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে একজন শিক্ষককে। বিদ্যালয়টিতে কাগজে কলমে শিক্ষার্থী রয়েছে ৫৪ জন। তবে উপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কখনো নেমে আসে ৫ জনেরও নিচে। শিক্ষার্থী কম হওয়ায় নাখোশ বিদ্যালয়টির ছাত্র/ছাত্রীরাও।

সুভাসুজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির মিলন ইসলাম বলেন, আমাদের ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রী আছে ৫ জন। তার মধ্যে বেশিরভাগ দিন আমি একাই ক্লাশ করি। অন্যরা বিদ্যালয়ে আসে না। ম্যাডামেরা আমাদের সবাইকে এক রুমে বসিয়ে পড়ান। তবে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক দিলেন দায়সারা জবাব। জানালেন, শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসামুখী হওয়ায় বিদ্যালয়টিতে কমেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

সুভাসুজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিলকিস বানু বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় চলে গেছে। আমরা চেষ্টা করেও তাদের বিদ্যালয়ে আনতে পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এরইমধ্যে বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বিদ্যালয়ে পড়ার মতো শিক্ষার্থীদের জড়িপ করছি আমরা।

আরও নাজুক অবস্থা পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার কেআরএস মাগুড়া সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ওই এলাকায় এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কিন্ডার গার্টেন ও ১টি হাফেজী মাদ্রাসা থাকলেও ওই এলাকার ৬২টি পরিবার নিয়ে গড়ে ওঠা গ্রামে রহস্যজনকভাবে ১৫০০ বিদ্যালয় প্রকল্পের আওতায় ২০১৩ সালে স্থাপিত হয় এ বিদ্যালয়টি। ২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়ে পাঠদান চালু করে।

জানা গেছে, ৩০ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার নান্দদিক ভবন। শেখ রাসেল কর্ণার, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার সহ পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সকল উপকরণ রয়েছে। আর আধুনিক বেসিন সুবিধা ও পরিচ্ছন্ন ওয়াশব্লকসহ রয়েছে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা। তবে বিদ্যালয়টিতে রয়েছেন ৩ জন শিক্ষক । প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ২৪ জন। তার মধ্যে উপস্থিতির সংখ্যা মাঝেমধ্যে নেমে আসে ৩ থেকে ৫ জনে।

সম্প্রতি কেআরএস মাগুড়া সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির তিনজন শিক্ষার্থী এসেছেন বিদ্যালয়ে। তবে গণমাধ্যেম কর্মীদের দেখে রুবায়েত হোসেন নামে আরো এক মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রকে এনে বসিয়ে দেওয়া হয় ক্লাসে। ৪ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে প্রাক প্রাথমিক/৫ম শ্রেণির কক্ষে ক্লাস শুরু করেন শিক্ষক প্রতীমা রানী। বাকী দুই শ্রেণি কক্ষের ১ম/চতুর্থ শ্রেণির কক্ষটি দখল করে নিজের ৬ মাস বয়সী সন্তানের জন্য বিছানা পেতেছেন মনিরা ফেরদৌস তানহা নামে এক শিক্ষক। বারান্দার রেলিংয়ে শুকাতে দিয়েছেন সন্তানের জামা-কাপড়। অপর ২য় ও ৩য় শ্রেণির একটি কক্ষ দখল করে রেখেছেন শিক্ষক প্রতীমা রানী। ৩ বছর বয়সী মেয়ে ও নিজের প্রয়োজনে কক্ষটি ব্যবহার করেন তিনি।

বিদ্যালয়টিতে নান্দনিক খেলার মাঠ থাকলেও বেশি শিক্ষার্থী না থাকায় ও নিয়মিত কম শিক্ষার্থী আসায় পড়াশোনায় মননিবেশ ও খেলাধুলা করতে পারছেন না বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

কেআরএস মাগুড়া সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তার খুঁশি বলেন, আমি ৫ম শ্রেণিতে একাই। তবে নিয়মিত আসি। আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থী কম হওয়ায় স্যার ম্যাডামরা আমাদের এক রুমেই পড়ান। স্যাররা ভালোভাবে পড়ালেও আমাদের বন্ধু-বান্ধবী কম হওয়ায় স্কুলে আসতে ইচ্ছে করে না। খেলাধুলা করতে ইচ্ছে করে না।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আনতে ব্যর্থ হয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আমিনা বেগম (৬২) নামে স্থানীয় এক বৃদ্ধা বলেন, স্কুলের স্যার ম্যাডামরা নিয়মিত আসলেও স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী অনেক কম। ছোট্ট একটা গ্রাম নিয়ে এই স্কুলটা। সবার বাচ্চা তো বড় হয়ে গেছে। এত ছোট বাচ্চা কি সবার বাড়িতে আছে। শিক্ষকরা বাইরে থেকে কোনো বাচ্চা আনতে পারছে না। এখানকার পড়াশোনার মানও তেমন ভালো না।

এ বিষয়ে কেআরএস মাগুড়া সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব বলেন, আশপাশের ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা ও কিন্ডার গার্টেন থাকায় এখানে শিক্ষার্থী তেমন পাওয়া যায় না। এই সরকারপাড়া গ্রামটিকে ঘিরেই এই বিদ্যালয়। এখানে মাত্র ৬২টি পরিবার আছে। তার মধ্যে কিছু শিশু আবার আশপাশের বিদ্যালয়ে যায়। আসলে ক্লাশে একটা দুটো ছাত্রছাত্রী দেখলে আমাদেরই খারাপ লাগে।

কেআরএস মাগুড়া সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, বিদ্যালয়টি আমার বাবা খলিলুর রহমান সরকারের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমিই জমি দিয়েছি। আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী আসলে খুবই কম। চারিদিকে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুনেছি যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কম সেসব বিদ্যালয়ে অন্য বিদ্যালয় থেকে ছাত্র-ছাত্রী এনে সমন্বয় করা হবে। কিন্তু কই এখনো তো কোনো পদক্ষেপ দেখছি না।

তথ্যমতে, ২০২২ সালের ২৫ জুন বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) এএফএম মোস্তফা জামান। সেদিন বিদ্যালয়টিতে ১১ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলে শিক্ষক ছিলেন ৫ জন। পরে তিনি ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দেখে দেখে পড়তে বললে শিক্ষার্থীরা সাবলিল ভাবে পারেনি। এ ছাড়াও বাক্য রচনা, যুক্তবর্ণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেও তারা কোনো উত্তর দিতে পারেনি। পরে তিনি পরিদর্শন শেষে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তাঁর পরিদর্শনকাল পর্যন্ত জেলা পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেননি। তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওই বছরের মার্চ মাসে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া ওই এলাকার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়ায় সবগুলোকে একত্রিকরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেন তিনি।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, পঞ্চগড়ের এই দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই নয় জেলার বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। কমেছে পড়াশোনার মান। অনেক বিদ্যালয়ের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দেখে দেখে পড়তেও পারেন না। এ ছাড়াও জেলার অনেক বিদ্যালয়ে নান্দনিক ভবনসহ সব ধরণের সুযোগ সুবিধা ও প্রশিক্ষপ্রাপ্ত শিক্ষক থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম। শিক্ষার্থীর উপস্থিতির এমন নজির দেখে হতাশ খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারাও।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী নেই অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী সমন্বয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে অধিদপ্তর থেকে প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে গেছেন। তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত মনিটরিং না করা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কার্যকর ভূমিকা না থাকায় এবং অন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কিন্ডার গার্টেন ও করোনাকালে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী চলে যাওয়ায় এমন নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এসআইএইচ

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি