মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘এরা হাওরের হাঙ্গর, এদের থেকে আমাদের রক্ষা করুন’

হাওরাঞ্চল শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের ইয়ারাবাদ গ্রামের কৃষক মাফিক মিয়া। পিআইসি বাঁধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইউএনও স্যারের সাথে আমার কথা হয়েছিল, এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিলে তিনি আমাকে পিআইসি দেবেন। স্যারের কথামতো নিজের হাতে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি । আমার প্রতিপক্ষ স্যারকে তিন লাখ টাকা অফার করলে স্যার আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে এনে বলেন পিআইসিটা নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি চলছে। আপনারা দুই পক্ষ মিলে যান। আমি অস্বীকৃতি জানালে তিনি বলেন-আমাকে মোট তিন লাখ টাকা দেন। যা হয় হবে, আমি আপনাকে পিআইসি দিয়ে দিব। আমি বললাম স্যার তিন লাখ টাকা দিতে পারব না, আমি আপনাকে দুই লাখ টাকা দিব। তখন তিনি বলেন আমার বুঝার আছে । পরে তিনি তিন লাখ টাকার বিনিময়ে আমার প্রতিপক্ষকে পিআইসি বাধঁটি দিয়ে দেন এবং আমার টাকাগুলোও ফেরত দেন।’

অপর কৃষক সোলেমান মিয়ার দাবি-‘বানের জল যতো না ভয়ংকর, তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর ইউএনও এবং এসও। এরা হাওরের হাঙ্গর। এদের থেকে আমাদের রক্ষা করুন।’

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার পিআইসি বাঁধের দুর্নীতি বিষয়ে একজন ভোক্তভুগী কৃষকের এমন বক্তব্য কখনোই আশাব্যঞ্জক নয়। এই অবস্থায় কৃষকের সোনালী ফসল তলিয়ে যায় অকাল বন্যায়। ফসল তলিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আগামীর স্বপ্নগুলোও ফিকে হয়ে যায় কৃষকদের। উপজেলার রক্ষা কর্তা এবং এসও’র নেতেৃত্বে বারবার এমনটি হচ্ছে-এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় কৃষকদের।

ফসলের মাঠে যখন সোনালী রঙ কৃষকের মুখে তখন আনন্দের ঝিলিক। সেই থেকে আগামীর স্বপ্ন রচনা। ছেলে/মেয়ের বিয়ে, সন্তানের শিক্ষা খরচ/স্কুল ভর্তি, চিকিৎসা, বিদেশ যাত্রাসহ সবকিছু নির্ভর করে এই বোরো ফলনের উপর। ফলে বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল। এখানে বোরো ফসলই কৃষকদের জীবন-জীবিকার একমাত্র প্রধান উৎস। ফলে নিজেদের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে বোরো ফসল উঠার অপেক্ষায় উন্মুখ থাকে কৃষকরা কিন্তু বাঁধ সাধে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অকাল বন্যার কবলে তলিয়ে যায় কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অন্যান্য অঞ্চলের মতো প্রতিবারই হানা দেয় হাওরাঞ্চল শাল্লায়। এ জন্য প্রতি বছর ফসল রক্ষায় সহায়ক বাঁধ নির্মাণে আর্থিক বরাদ্ধ আসে যথারীতি। তবে এতে লাভবান হয় দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে দুর্নীতিবাজ কতিপয় মানুষ। কারণ সামান্য বৃষ্টিতেই ভেঙ্গে যায় অপরিকল্পিত বাঁধগুলো। তখন ফের সংস্কারের নামে আরও কিছু বরাদ্ধ লুটেপুটে নেয় দুর্নীতিবাজরা। এতে লাভ হয় না হাড়ভাঙ্গা খাটুনীর কৃষকদের। ফলে উৎবেগ, উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন লাখ লাখ কৃষকরা।

প্রতি বছর শাল্লার হাওরে বাঁধ নির্মাণের নামে টাকা লোপাটের ঘটনা নতুন নয়। একই ঘটনা চলতি বছরেও ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, খোদ উপজেলা ইউএনও আবু তালেবের নেতৃত্বেই ঘটছে এমন লোটপাটের ঘটনা। সাথে যুক্ত আছেন উপজেলা পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী (এসও)আব্দুল কাইয়ুম।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, শাল্লায় মোট ফসল রক্ষা বাঁধের সংখ্যা ১৯৭টি। এর মধ্যে ঝঁকিপূর্ণ বাঁধের সংখ্যা ৫টি। তবে এমন সংবাদ যতটা স্বস্থির ঠিক ততটাই বেদনার। কারণ বাঁধগুলো ভারি বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে ৮০ ভাগ। প্রতিটি বাঁধে প্রকৃত কৃষক রাখার শর্ত থাকলেও স্থান পেয়েছেন অকৃষক এবং দালাল শ্রেণির লোকজনরা। আর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে এসও আব্দুল কাইয়ুম এবং ইউএনও আবু তালেবের সিন্ডিকেটের কারণে। এমন অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের। অভিযোগকারী কৃষকদের দাবি, টাকার বিনিময়ে এমন অপকর্ম করে কৃষকের স্বপ্ন ফিকে করে দিচ্ছেন এসও আব্দুল কাইয়ুম এবং ইউএনও আবু তালেব।

কৃষকদের দাবি, প্রতিটা পিআইসি বাধঁ দেওয়া হয়েছে ঘুষের বিনিময়ে। ফলে বাদ পড়েছেন প্রকৃত কৃষক। এর ফলে শর্ত ভঙ্গ হয়েছে নীতিমালার। অকৃষককে সভাপতি করেই অক্ষত এবং অপ্রয়োজনীয় বাধেঁ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। আবার একই পিআইসির জন্য দুটি পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এতে কোন পক্ষকে পিআইসি দেবে, এটা নিয়ে বিপাকেও পড়েন তারা। সমস্যা সমাধানে অনেক পিআইসির দুইটি পক্ষকে মিলিয়ে একটা করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ঘুষের টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ার ভয়ে রাজি না হওয়ায় তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ১৬৯ নম্বর পিআইসি। এই বাঁধের জন্য দুটি কমিটিকে লিখিত ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে। পিআইসি সভাপতিদের সঙ্গে মৌখিক চুক্তির মাধ্যমে অধিকাংশ বাধেঁ দুই থেকে তিন গুণ টাকা বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটা বাধঁ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে দুই থেকে তিন লাখ টাকা।

এদিকে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে নেওয়া হয়েছে এক অভিনব কৌশল। কয়েক গুণ টাকা বরাদ্দ বেশি দিয়ে তাদেরকে দেওয়া হয়েছে কয়েকটা পিআইসি বাধেঁর কাজ। গত বছর অকাল বন্যায় বাধঁ তলিয়ে যায় এবং পানি কমে যাওয়ায় কিছু ক্লোজার ছাড়া বাধঁগুলো অক্ষত থেকে যায়। এর আগে প্রতিটি বাধেঁ লাখ লাখ টাকার মাটি ফেলা হয়েছে। যার ফলে বাধঁগুলোর অবস্থা মোটামুটি ভাল। তারপরও ওই বাঁধগুলোর জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়। সংশ্লিষ্ট কৃষকসহ অভিজ্ঞরা বলছেন, যেখানে দুই থেকে তিন লাখ টাকার কাজ করলেই বাধঁগুলোর কাজ সমপন্ন করা যেত সেখানে প্রতিটা বাধেঁ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।

বিশিষ্টজনদের অভিমত, প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে ভেসে আসা পলি মাটি এবং পিআইসি বাধেঁর মাটি পড়ে নদীগুলো কাদায় পরিণত হচ্ছে । অদূর ভবিষ্যতে নদী বলতে কিছু থাকবে না। নদীগুলো খনন না করলে পিআইসির বাধঁ দিয়েও ফসল রক্ষা করা যাবে না। সুতরাং ভরাট নদীগুলো খনন করাই এখন ফসল রক্ষার চিরস্থায়ী সমাধান। নদী খননের অপশন পানি উন্নয়ন বোর্ডের থাকলেও নদী খনন না করে অক্ষত বাধঁগুলোতে বরাদ্দের নামে কোটি কোটি দুর্নীতি হয়েছে।

এ বিষয়ে ফয়জল্লাপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার লালচাঁদ মিয়া, চানঁ মিয়া চৌধুরী, মুখন্দ দাস, চেচরণ দাস, নূর মিয়া ও জিয়াউল হকসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ১৪ নম্বর বাধেঁ যে ২৪৮০৩৬৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এটা সম্পূর্ণ দুর্নীতি। এসও সাহেবকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে তারা পিআইসি এনেছে। এখানে ৮৫ মিটার জায়গা লেখা থাকলেও সর্বোচ্চ জায়গা হবে ৫০ মিটার এবং কাজ করা হয়েছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার।

খালিয়াজুরী উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার জগন্নাথ দাস বলেন, খালিয়াজুরীর ১৩টা বাধঁই আমার নিজের চোখে দেখা এবং দুই-তিনটা ভাঙ্গা ছাড়া সব কয়টি বাধঁই অক্ষত, চার আনা কাজই করতে হচ্ছে না। সাধারণ কিছু মাটি দিয়ে শুধু ড্রেসিং আর স্লপ দিচ্ছে। প্রতিটা বাধেঁ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা খরচ হতে পারে বলে জানান তিনি । এ ছাড়াও আরও অসংখ্য বাধঁ রয়েছে, যা দুই থেকে তিন লাখ টাকার কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।

৪৮ নম্বর পিআইসির সদস্য সচিব, মৌরাপুর গ্রামের কৃষ্ণ কান্ত দাস চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা কোথায়? এদেশের মানুষকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে পিআইসি আনতে হয়। পাঁচ বছর যাবত এসও অফিসে যে দুর্নীতি হচ্ছে তা দেখেননি কেন?’

২১ নম্বর পিআইসির সদস্য সচিব মৌরাপুর গ্রামের সুকেশ চন্দ্র দাস বলেন, এসও সাহেবকে দেড় লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে পিআইসি এনেছি।

৩৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি বাহাড়া গ্রামের মেঘলাল দাস বলেন, আমরা অনেক লসে আছি। কারণ দুটি পক্ষকে মিলাইয়া পিআইসি দেওয়া হয়েছে। এতে ঘুষের পরিমাণ অত্যধিক হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

৩৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি হরিনগর গ্রামের স্বনন্দ কুমার দাস বলেন, পিআইসি আনার আগেই অ্যাডভান্স ঘুষ দিতে হয় আর এটা কেউ বলবে না। কারণ আগেই সবাই হলফ করে আসে ঘুষের কথা প্রকাশ না করার জন্য ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হবিবপুর ইউনিয়নের এক পিআইসি সভাপতি বলেন, আমি এসও সাহেবকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছি। ইটনা উপজেলার, ধনপুর ইউনিয়নের এক পিআইসি সভাপতি বলেন, আমি এসও সাহেবকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে পিআইসি এনেছি। এ সংক্রান্ত সকল ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউএনও আবু তালেবের সঙ্গে প্রতিটি পিআইসি থেকে ঘুষ নেওয়া এবং বরাদ্দ বেশী দেওয়া সম্পর্কে কথা হলে তিনি বলেন, কোন পিআইসিতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কার কাছ থেকে এবং কে টাকা নিয়েছে এসব সুনির্দিষ্ট করে লিখিত অভিযোগ দেন। আমি উপজেলা টেকনিক্যাল কমিটি দ্বারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

১৪ নম্বর পিআইসির কথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, আমি এটা তদন্ত করে দেখছি ।

১০৭ নম্বর পিআইসি দেওয়ার জন্য মাফিক মিয়ার কাছ থেকে আপনি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাফিক মিয়া কে আমি চিনি না।

এসও আব্দুল কাইয়ুমের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি ‘হিউম্যানিটারিয়ান করিডর’ স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে নানা গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

তিনি জানান, জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে নীতিগতভাবে প্রস্তুত আছে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী পক্ষের দাবি, এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক দলসহ মূল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। এ প্রসঙ্গে প্রেসসচিব বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং যথাসময়ে প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”

তিনি আরো জানান, রাখাইন রাজ্যে মানবিক সংকট অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের জন্য নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার আশঙ্কা রয়েছে, যা দেশের পক্ষে বহন করা কঠিন।

প্রেসসচিব ‘বড় শক্তির ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনা’ সংক্রান্ত অভিযোগকে “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কল্পিত অপপ্রচার” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

 

Header Ad
Header Ad

ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ভিম্বর জেলার মানাওয়ার এলাকায় ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়।

সূত্র মতে, ভারতীয় বাহিনী গোয়েন্দা নজরদারির উদ্দেশ্যে ড্রোনটি পাঠিয়েছিল। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড্রোনটিকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়।

ঘটনাস্থল থেকে ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানানো হয়। তবে এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর প্রায়ই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে এবং আকাশপথে নজরদারি বৃদ্ধি পেয়েছে।

Header Ad
Header Ad

মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর

ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদরাসার শিক্ষক ও কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের এমপিও (মান্থলি পে-অর্ডার) চেক ছাড় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ) ড. কে এম শফিকুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের চারটি চেক অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০২৫ সালের ১ মে থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা থেকে তাদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ উত্তোলন করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, সরকার প্রতিমাসে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের নির্দিষ্ট একটি অংশ সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করে থাকে, যেটি এমপিও (Monthly Pay Order) নামে পরিচিত।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল