শেরপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
শেরপুরের পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন সড়ক দুর্ঘটনায় এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) শেরপুর সদর, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদল জানান, রবিবার সকালে শেরপুর পৌরসভার নওহাটা এলাকায় শেরপুরগামী মালামালবোঝাই একটি ভটভটি আরেক ভটভটিকে ওভারটেক করতে যায়। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রলির সঙ্গে ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রলিচালক রবিউল ইসলামের মৃত্যু হয়। তিনি নৌওহাটা এলাকার হাতেম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত হন ভটভটিচালক।
এদিকে দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পূর্ব সমেশ্চুড়া গ্রামে সীমান্ত সড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আকবর আলী (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার সমশ্চুড়া গ্রামের ইছাহাক আলীর ছেলে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, আকবর আলী রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা সদর হাসপাতাল নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় মোটরসাইকেলচালককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মোটরসাইকেলটি আটক করেছে স্থানীয় জনতা।
অন্যদিকে ঝিনাইগাতীর পূর্ব গজারীকুড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরাফাত (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে পূর্ব গজারীকুড়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া জানান, আরাফাত দুপুরে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। একপর্যায়ে তার ঘুড়িটি বিদ্যুতের তারে আটকে পরে। এসময় ঘুড়ি নিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এসজি