রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কুমিল্লায় ধুলাবালিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে জনজীবন

অস্বাস্থ্যকর বাতাসের শহরের তালিকায় নিয়মিত রাজধানী ঢাকাকে পেছনে ফেলছে কুমিল্লা। দেশের জনবহুল এই শহরের বাতাস মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর বলে প্রতিবেদন দিচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা। স্থাপনা, রাস্তাঘাট ও উন্নয়ন প্রকল্পের চলমান নির্মাণ কাজের ইট-বালু-সিমেন্টসহ মাটি পরিবহনের সময় ধুলাবালি উড়ে দূষিত হচ্ছে কুমিল্লার বাতাস। সেই সাথে মাত্রাতিরিক্ত যানবাহনের ধোঁয়া। জেলার প্রধান নদী গোমতী থেকে অবাধে বালু ও মাটি কেটে ট্রাকে করে পরিবহন এবং ইটভাটার দৌড়াত্ম্য তো আছেই। সব মিলিয়ে ধূলায় কুমিল্লায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বাড়ছে নানা রোগবালাই।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের দাবি, শুকনো মৌসুমে অতিরিক্ত ধুলাবালির কারণে বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে কুমিল্লায়। ধুলাবালি আর ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় মাত্রাতিরিক্ত দূষিত হচ্ছে কুমিল্লার বায়ু। আর চিকিৎসকরা বলছেন, খালি চোখে দেখা না গেলেও নিরবে নানা দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে কুমিল্লাবাসী। নিয়মিত দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়ার কারণে দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে লাখো মানুষ।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বৈশ্বিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যে বলা হয়েছে, ঢাকার চেয়েও দূষিত হয়ে পড়েছে কুমিল্লার বাতাস। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, সেদিন কুমিল্লার আইকিউ স্কোর ছিল ২৬৫ পিপিএম। এর একদিন পর ৬ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮১ পিপিএম। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার আইকিউ স্কোর ছিল ২৮৯ পিপিএম এবং সর্বশেষ ১৮ মার্চ কুমিল্লার আইকিউ স্কোর দাঁড়ায় ১৭৩ পিপিএম। পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান সূচক বলছে, কুমিল্লার এই স্কোর খুবই অস্বাস্থ্যকর।

এই জেলার বিশিষ্টজনরা বলছেন, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, ট্রাক্টরে করে মাটি-ইট সরবরাহ, সড়কে যেখানে-সেখানে ইট-বালু-সিমেন্ট ফেলে রাখা, যানবাহন ও ইটভাটার ধোঁয়ায় ক্রমেই দূষিত হচ্ছে কুমিল্লার বাতাস। এখানকার সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহনের কালো ধোঁয়া, জেলার ১৭ উপজেলার সাড়ে তিন শতাধিক ইটভাটার ধোঁয়া, গোমতীসহ অন্যান্য নদীগুলো থেকে অবাধে বালু ও মাটি তোলার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বাতাসে ছড়াচ্ছে বালু, সিমেন্ট আর ইটের কণা। আর মূলত এসব কারণেই দুই মাসের মধ্যে চারবার দূষিত বাতাসের নগরীর তালিকায় নাম এসেছে কুমিল্লার। তাদের দাবি, এক সময়ের ‘ব্যাংক ও ট্যাংকের শহর’ কুমিল্লাকে বাসযোগ্য রাখতে এখনই নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

গত কয়েকদিনে কুমিল্লা শহর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বায়ুদূষণের ভয়ানক চিত্র। বিভিন্ন এলাকায় সড়ক সংস্কার, স্থাপনা নির্মাণ ও বহুতল ভবনের ইট, বালু, পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চালানো হচ্ছে কর্মজজ্ঞ। বছরজুড়ে এসব কাজ চলে লাগাতার। এতে বাড়ছে ধুলার মাত্রা। আর এই ধূলাবালির আধিপত্যে সবুজ হারিয়ে কুমিল্লা পরিণত হয়েছে ধূসর নগরীতে। কেবল শহরেই নয়, একই অবস্থা আশপাশের গ্রামগুলোর প্রধান সড়কেও। যানবাহনের ঘূর্ণায়মান চাকার সঙ্গে কুন্ডলী পাকিয়ে উড়ছে সড়কের ধুলা। ধুলার স্তর পড়ে ঢেকে যাচ্ছে রাস্তার পাশের দোকানপাট। কোথাও কোথাও ধূলাবালির কারণে বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

বিশেষ করে কুমিল্লার কোলঘেঁষে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর দুই পাড়ের সড়কের চিত্র খুবই নাজুক। দিন-রাত অনবরত ধুলা উড়িয়ে আসা-যাওয়া করা মাটিবাহী ট্রাকের দাপটে জীবনযাপন অসহ্যকর হয়ে উঠেছে ওইসব এলাকার মানুষের। তারা বলছেন, অনবরত গোমতী নদীর মাটি কেটে ও বালু তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্রাকে করে। এতে করে ভেঙে যাচ্ছে সড়কগুলো আর বালুময় হয়ে যাচ্ছে পুরো আশপাশ।

জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে মাটিবাহী ট্রাক দিনের চেয়ে রাতে চলাচল বেশি। যে কারণে কুমিল্লা শহরে দিনের বেলার চেয়ে রাতের বাতাস বেশি দূষিত।

গোমতী নদীর উত্তর পাড়ের সড়ক সংলগ্ন এলাকার দোকানদার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এই সড়কটি দিয়ে প্রচুর পরিমাণে যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে বালু ও মাটিবাহী ট্রাক্টরের আধিপত্য এখানে বেশি। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে বালু উড়ে। নাক-মুখ চেপে বসে থাকতে হবে। পানি ছিটিয়েও বালু উড়া বন্ধ করা যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি।’

পাশের এলাকা ছত্রখিলের বাসিন্দা মোশারফ মিয়া বলেন, ‘ধুলার কারণে ঘরবাড়িতে থাকা যায় না। সারাক্ষণ ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। বালুর কারণে সারাক্ষণ চোখ ‘কচকচ’ করে। শান্তিতে ঘুমাইতে পারি না। দিনে-রাতে ২৪ ঘণ্টা মাটির ট্রাক চলে। এর ফলে রাস্তাটার অবস্থাও খারাপ হইয়া গেছে।’

কথা হয় নগরীর একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জানে আলমের সাথে। সে জানায়, ‘ধুলাবালি আমাদের নাকে-মুখে ঢুকে বেশি সমস্যা করছে। কয়েকদিন ধরে আমার জ্বর। আজকে স্কুলে আসার সময় আবার এই বালুর ‘ঝরের’ মধ্যে পড়ছি। এখন নাক-চোখ জ্বলতাছে। তাই এক ঘণ্টা ক্লাস করে স্যারের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি।’

কুমিল্লা নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যেভাবে ধুলাবালি পড়ে আছে তা খুবই দু:খজনক। রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের পাশাপাশি বাড়ি-ঘরও নির্মাণের সামগ্রী রাস্তার উপর ফেলে রাখার কারণে ধুলাবালি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমাদের চলাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসসহ নানা রোগে হচ্ছে নগরবাসীর। অনেকে ধুলাবালিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেও ভর্তিও হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় কুমিল্লার নাম থাকাটা আমাদের জন্য অশনী সংকেত। বাতাস আমরা শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য ব্যবহার করি সেই শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে যদি ধুলাবালিও নিতে শুরু করি তাহলে আমাদের শ্বাসজনিত রোগগুলিই বেশি দেখা যাবে। এতে করে এজমা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। এ ছাড়াও বাতাসের মধ্যে অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে বাতাসের মধ্যে। এগুলো যদি আমরা গ্রহণ করি তাহলে আমাদের শ্বাসযন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। শ্বাসযন্ত্রে ক্যান্সার হতে পারে। এ ছাড়া সাধারণভাবে যদি আমরা বলি তাহলে এই বায়ু গ্রহণের ফলে বদ হজম, পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কুমিল্লা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, ‘বায়ু দূষণের ভয়াবহতা পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটা সীমা অতিক্রম করছে। এটা আমাদের জন্য আতঙ্কের তথ্য যে ক্রমান্বয়ে একটা দূষিত বায়ুর মধ্যে আমাদের জীবনযাপন করতে হচ্ছে, দৈনন্দিন চলাফেরা করতে হচ্ছে। এটা কখনোই শরীর জন্য, মনের জন্য, স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। এ থেকে যে করেই হোক আমাদেরকে উত্তরণ ঘটাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমরা জানতে পারলাম রাজধানী ঢাকা বায়ু দূষণের শীর্ষে, সেখানে প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় এর প্রভাব আশপাশের জেলাগুলোতে পড়ছে। স্থানীয়ভাবেও বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে আমাদের যে যে ভূমিকাগুলো থাকা উচিৎ সেগুলো নেই বলেই আমরা দিন দিন এই মাত্রার তীব্রতার মধ্যে পড়ছি। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় হচ্ছে-আমরা আমাদের গাছপালা, পুকুর, নদী-জলাশয়গুলোকে যথাযথভাবে সুরক্ষা দিতে হবে। কিন্তু এগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। জেলা পর্যায়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন দায়িত্ব পালন করছে না, একইভাবে নাগরিক হিসেবে আমরাও যার যে ভূমিকা থাকার কথা সেটাও কিন্তু অনুপস্থিত। যার ফলে বায়ু দূষণের তীব্রতা এখন মারাত্মক অবস্থায় এসেছে। তা যদি বাড়তে থাকে তাহলে কিন্তু সব বয়সী মানুষকে তীব্র ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের যেমন সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে, একইভাবে ব্যক্তি পর্যায় থেকেও আমাদের সচেতন হতে হবে।’

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজিব বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে অতিরিক্ত ধুলাবালির কারণে বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠে। কুমিল্লায় ধোঁয়াজনিত দূষণ দিনের চেয়ে রাতের বেলায় বেশি হচ্ছে। দূষণের পরিমাণ টেস্টের বিষয়টি আমাদের এখানে প্রক্রিয়াধীন আছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘হাইওয়েতে প্রচুর পরিমাণে যানবাহন চলাচল করছে। এ কারণেও দূষণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বায়ু দূষণের জন্য যারা দায়ী, যেমন- কনস্ট্রাকশনের কাজ করে, ডেভেলপমেন্টের কাজ করে এবং ইটভাটায় মাটি আনা-নেওয়া করে তাদেরকে বলেছি, তিন বেলা নিয়মিত পানি দেওয়ার জন্য। এ ছাড়াও মাটি ও বালি পরিবহনের সময় যেন সেগুলো সড়কে না পড়ে-এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। যদি তারা তা না করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থায় যাব।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান সূচক বলছে, বায়ুমান শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো, ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত মোটামুটি, ১০১ থেকে ১৫০ পর্যন্ত সতর্কতা, ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত খুবই অস্বাস্থ্যকর, ৩০১-এর ওপরে দুর্যোগ‍পূর্ণ ও অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।

একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ‘২০১৯ সালের জুন মাসে পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান মাত্রা মনিটরিং স্টেশনের তথ্যে বলা হয়েছিল দেশের সবচেয়ে কম বায়ু দূষণের জেলা কুমিল্লা।’ কিন্তু চার বছরের মধ্যেই নৈস্বর্গিক-নির্মল বাতাসের শহর কুমিল্লা পরিণত হয়েছে ‘বিষে’। কুমিল্লাবাসীর দাবি, সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই শহরকে ফের বাসযোগ্য করে তোলা।

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি