বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কুমিল্লায় ধুলাবালিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে জনজীবন

অস্বাস্থ্যকর বাতাসের শহরের তালিকায় নিয়মিত রাজধানী ঢাকাকে পেছনে ফেলছে কুমিল্লা। দেশের জনবহুল এই শহরের বাতাস মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর বলে প্রতিবেদন দিচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা। স্থাপনা, রাস্তাঘাট ও উন্নয়ন প্রকল্পের চলমান নির্মাণ কাজের ইট-বালু-সিমেন্টসহ মাটি পরিবহনের সময় ধুলাবালি উড়ে দূষিত হচ্ছে কুমিল্লার বাতাস। সেই সাথে মাত্রাতিরিক্ত যানবাহনের ধোঁয়া। জেলার প্রধান নদী গোমতী থেকে অবাধে বালু ও মাটি কেটে ট্রাকে করে পরিবহন এবং ইটভাটার দৌড়াত্ম্য তো আছেই। সব মিলিয়ে ধূলায় কুমিল্লায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বাড়ছে নানা রোগবালাই।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের দাবি, শুকনো মৌসুমে অতিরিক্ত ধুলাবালির কারণে বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে কুমিল্লায়। ধুলাবালি আর ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় মাত্রাতিরিক্ত দূষিত হচ্ছে কুমিল্লার বায়ু। আর চিকিৎসকরা বলছেন, খালি চোখে দেখা না গেলেও নিরবে নানা দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে কুমিল্লাবাসী। নিয়মিত দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়ার কারণে দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে লাখো মানুষ।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বৈশ্বিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যে বলা হয়েছে, ঢাকার চেয়েও দূষিত হয়ে পড়েছে কুমিল্লার বাতাস। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, সেদিন কুমিল্লার আইকিউ স্কোর ছিল ২৬৫ পিপিএম। এর একদিন পর ৬ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮১ পিপিএম। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার আইকিউ স্কোর ছিল ২৮৯ পিপিএম এবং সর্বশেষ ১৮ মার্চ কুমিল্লার আইকিউ স্কোর দাঁড়ায় ১৭৩ পিপিএম। পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান সূচক বলছে, কুমিল্লার এই স্কোর খুবই অস্বাস্থ্যকর।

এই জেলার বিশিষ্টজনরা বলছেন, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, ট্রাক্টরে করে মাটি-ইট সরবরাহ, সড়কে যেখানে-সেখানে ইট-বালু-সিমেন্ট ফেলে রাখা, যানবাহন ও ইটভাটার ধোঁয়ায় ক্রমেই দূষিত হচ্ছে কুমিল্লার বাতাস। এখানকার সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহনের কালো ধোঁয়া, জেলার ১৭ উপজেলার সাড়ে তিন শতাধিক ইটভাটার ধোঁয়া, গোমতীসহ অন্যান্য নদীগুলো থেকে অবাধে বালু ও মাটি তোলার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বাতাসে ছড়াচ্ছে বালু, সিমেন্ট আর ইটের কণা। আর মূলত এসব কারণেই দুই মাসের মধ্যে চারবার দূষিত বাতাসের নগরীর তালিকায় নাম এসেছে কুমিল্লার। তাদের দাবি, এক সময়ের ‘ব্যাংক ও ট্যাংকের শহর’ কুমিল্লাকে বাসযোগ্য রাখতে এখনই নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

গত কয়েকদিনে কুমিল্লা শহর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বায়ুদূষণের ভয়ানক চিত্র। বিভিন্ন এলাকায় সড়ক সংস্কার, স্থাপনা নির্মাণ ও বহুতল ভবনের ইট, বালু, পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চালানো হচ্ছে কর্মজজ্ঞ। বছরজুড়ে এসব কাজ চলে লাগাতার। এতে বাড়ছে ধুলার মাত্রা। আর এই ধূলাবালির আধিপত্যে সবুজ হারিয়ে কুমিল্লা পরিণত হয়েছে ধূসর নগরীতে। কেবল শহরেই নয়, একই অবস্থা আশপাশের গ্রামগুলোর প্রধান সড়কেও। যানবাহনের ঘূর্ণায়মান চাকার সঙ্গে কুন্ডলী পাকিয়ে উড়ছে সড়কের ধুলা। ধুলার স্তর পড়ে ঢেকে যাচ্ছে রাস্তার পাশের দোকানপাট। কোথাও কোথাও ধূলাবালির কারণে বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

বিশেষ করে কুমিল্লার কোলঘেঁষে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর দুই পাড়ের সড়কের চিত্র খুবই নাজুক। দিন-রাত অনবরত ধুলা উড়িয়ে আসা-যাওয়া করা মাটিবাহী ট্রাকের দাপটে জীবনযাপন অসহ্যকর হয়ে উঠেছে ওইসব এলাকার মানুষের। তারা বলছেন, অনবরত গোমতী নদীর মাটি কেটে ও বালু তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্রাকে করে। এতে করে ভেঙে যাচ্ছে সড়কগুলো আর বালুময় হয়ে যাচ্ছে পুরো আশপাশ।

জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে মাটিবাহী ট্রাক দিনের চেয়ে রাতে চলাচল বেশি। যে কারণে কুমিল্লা শহরে দিনের বেলার চেয়ে রাতের বাতাস বেশি দূষিত।

গোমতী নদীর উত্তর পাড়ের সড়ক সংলগ্ন এলাকার দোকানদার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এই সড়কটি দিয়ে প্রচুর পরিমাণে যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে বালু ও মাটিবাহী ট্রাক্টরের আধিপত্য এখানে বেশি। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে বালু উড়ে। নাক-মুখ চেপে বসে থাকতে হবে। পানি ছিটিয়েও বালু উড়া বন্ধ করা যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি।’

পাশের এলাকা ছত্রখিলের বাসিন্দা মোশারফ মিয়া বলেন, ‘ধুলার কারণে ঘরবাড়িতে থাকা যায় না। সারাক্ষণ ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। বালুর কারণে সারাক্ষণ চোখ ‘কচকচ’ করে। শান্তিতে ঘুমাইতে পারি না। দিনে-রাতে ২৪ ঘণ্টা মাটির ট্রাক চলে। এর ফলে রাস্তাটার অবস্থাও খারাপ হইয়া গেছে।’

কথা হয় নগরীর একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জানে আলমের সাথে। সে জানায়, ‘ধুলাবালি আমাদের নাকে-মুখে ঢুকে বেশি সমস্যা করছে। কয়েকদিন ধরে আমার জ্বর। আজকে স্কুলে আসার সময় আবার এই বালুর ‘ঝরের’ মধ্যে পড়ছি। এখন নাক-চোখ জ্বলতাছে। তাই এক ঘণ্টা ক্লাস করে স্যারের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি।’

কুমিল্লা নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যেভাবে ধুলাবালি পড়ে আছে তা খুবই দু:খজনক। রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের পাশাপাশি বাড়ি-ঘরও নির্মাণের সামগ্রী রাস্তার উপর ফেলে রাখার কারণে ধুলাবালি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমাদের চলাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসসহ নানা রোগে হচ্ছে নগরবাসীর। অনেকে ধুলাবালিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেও ভর্তিও হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় কুমিল্লার নাম থাকাটা আমাদের জন্য অশনী সংকেত। বাতাস আমরা শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য ব্যবহার করি সেই শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে যদি ধুলাবালিও নিতে শুরু করি তাহলে আমাদের শ্বাসজনিত রোগগুলিই বেশি দেখা যাবে। এতে করে এজমা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। এ ছাড়াও বাতাসের মধ্যে অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে বাতাসের মধ্যে। এগুলো যদি আমরা গ্রহণ করি তাহলে আমাদের শ্বাসযন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। শ্বাসযন্ত্রে ক্যান্সার হতে পারে। এ ছাড়া সাধারণভাবে যদি আমরা বলি তাহলে এই বায়ু গ্রহণের ফলে বদ হজম, পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কুমিল্লা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, ‘বায়ু দূষণের ভয়াবহতা পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটা সীমা অতিক্রম করছে। এটা আমাদের জন্য আতঙ্কের তথ্য যে ক্রমান্বয়ে একটা দূষিত বায়ুর মধ্যে আমাদের জীবনযাপন করতে হচ্ছে, দৈনন্দিন চলাফেরা করতে হচ্ছে। এটা কখনোই শরীর জন্য, মনের জন্য, স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। এ থেকে যে করেই হোক আমাদেরকে উত্তরণ ঘটাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমরা জানতে পারলাম রাজধানী ঢাকা বায়ু দূষণের শীর্ষে, সেখানে প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় এর প্রভাব আশপাশের জেলাগুলোতে পড়ছে। স্থানীয়ভাবেও বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে আমাদের যে যে ভূমিকাগুলো থাকা উচিৎ সেগুলো নেই বলেই আমরা দিন দিন এই মাত্রার তীব্রতার মধ্যে পড়ছি। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় হচ্ছে-আমরা আমাদের গাছপালা, পুকুর, নদী-জলাশয়গুলোকে যথাযথভাবে সুরক্ষা দিতে হবে। কিন্তু এগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। জেলা পর্যায়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন দায়িত্ব পালন করছে না, একইভাবে নাগরিক হিসেবে আমরাও যার যে ভূমিকা থাকার কথা সেটাও কিন্তু অনুপস্থিত। যার ফলে বায়ু দূষণের তীব্রতা এখন মারাত্মক অবস্থায় এসেছে। তা যদি বাড়তে থাকে তাহলে কিন্তু সব বয়সী মানুষকে তীব্র ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের যেমন সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে, একইভাবে ব্যক্তি পর্যায় থেকেও আমাদের সচেতন হতে হবে।’

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজিব বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে অতিরিক্ত ধুলাবালির কারণে বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠে। কুমিল্লায় ধোঁয়াজনিত দূষণ দিনের চেয়ে রাতের বেলায় বেশি হচ্ছে। দূষণের পরিমাণ টেস্টের বিষয়টি আমাদের এখানে প্রক্রিয়াধীন আছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘হাইওয়েতে প্রচুর পরিমাণে যানবাহন চলাচল করছে। এ কারণেও দূষণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বায়ু দূষণের জন্য যারা দায়ী, যেমন- কনস্ট্রাকশনের কাজ করে, ডেভেলপমেন্টের কাজ করে এবং ইটভাটায় মাটি আনা-নেওয়া করে তাদেরকে বলেছি, তিন বেলা নিয়মিত পানি দেওয়ার জন্য। এ ছাড়াও মাটি ও বালি পরিবহনের সময় যেন সেগুলো সড়কে না পড়ে-এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। যদি তারা তা না করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থায় যাব।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান সূচক বলছে, বায়ুমান শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো, ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত মোটামুটি, ১০১ থেকে ১৫০ পর্যন্ত সতর্কতা, ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত খুবই অস্বাস্থ্যকর, ৩০১-এর ওপরে দুর্যোগ‍পূর্ণ ও অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।

একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ‘২০১৯ সালের জুন মাসে পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান মাত্রা মনিটরিং স্টেশনের তথ্যে বলা হয়েছিল দেশের সবচেয়ে কম বায়ু দূষণের জেলা কুমিল্লা।’ কিন্তু চার বছরের মধ্যেই নৈস্বর্গিক-নির্মল বাতাসের শহর কুমিল্লা পরিণত হয়েছে ‘বিষে’। কুমিল্লাবাসীর দাবি, সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই শহরকে ফের বাসযোগ্য করে তোলা।

Header Ad
Header Ad

ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়

ছবি: সংগৃহীত

ইডেন গার্ডেন্সে দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনী করে ৭৭ বল বাকি থাকতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিং মঞ্চ তৈরি করে দেয়।

শুরুতে সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা ওপেনিংয়ে নামেন। যদিও সঞ্জু ২০ বলে ২৬ রান করে আউট হন। এরপর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব তিন নম্বরে নামলেও শূন্য রানে আউট হন। কিন্তু অভিষেক শর্মা ছিলেন আগ্রাসী। আদিল রশিদের বোলিংয়ে ক্যাচ ফেলায় অভিষেক দুই ডেলিভারি পর পর ছক্কা হাঁকান। মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিষেক।

তিলক ভার্মার সঙ্গে তার পার্টনারশিপ আরও শক্তিশালী হয়। অভিষেক শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৭৯ রান করে আউট হন, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ৮টি ছক্কা। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ২৩২-এর ওপরে। এরপর তিলক ভার্মা সাপোর্টিং রোলে ১৬ বলে ১৯ রান করেন।

৪৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। অভিষেকের এই বিধ্বংসী ইনিংস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার যোগ্যতা প্রমাণ করে।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুণ্যের উৎসব ২০২৫। চুয়াডাঙ্গা সদরের আয়োজনে এ মেলায় ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও ৯ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৫ এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও চুয়াডাঙ্গা সদর এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ভূমি সেবা বিষয়ক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মেলা শুরু হলো।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম মেলার শুভ উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী৷ অফিসার এম. সাইফুল্লাহ, সহকারী কমিশনার ( ভুমি) এস. এম. আশিস মোমতাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহবায়ক মো. আসলাম হোসেন এবং অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধিবৃন্দ।

মেলায় তরুনদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন পন্য ও প্রযুক্তির স্টল রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  

ছবিঃ সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের রাজনগরে দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা ফল (কমলা) দাম ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও নিলাম থেকে এই দামেই ফলগুলো কিনে নিয়েছেন এক প্রবাসী।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মৌলভীবাজারের রাজনগরে জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এসময় মাহফিলে দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা দান করেন এক ব্যক্তি। পরে ওয়াজ মাহফিল শেষে সেগুলো নিলামে তুলেন শায়খুল হাদীস মুফতি মুশাহিদ ক্বাসেমী। নিলামের একপর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ফলগুলো কিনে নেন আরব আমিরাত প্রবাসী মাওলানা শরিফ আক্তার হুসাইন।

ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে অংশ গ্রহণকারী শ্রোতারা বলেন, মাহফিল শেষে দোয়ার আগে ফলগুলো নিলামে তোলা হয়। ২ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যারাই নিলামে অংশগ্রহণ করেছেন সবার উদ্দেশ্য হলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করা।

জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুল ইসলাম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসার বার্ষিক মহাসম্মেলন ফলগুলো দান করা হয়। পরে ফলগুলো নিলামে তোলা হলে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা
এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ