শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জলাশয় লিজ দিয়েছে প্রশাসন, পানির অভাবে নৃ-গোষ্ঠীর ৩ শতাধিক পরিবার

বরেন্দ্র এলাকায় পানির সংকট বহু পুরোনো। তবে ক্রমশই এই সংকট জটিল আকার ধারণ করছে। শুষ্ক মৌসুমে চরম বিপাকের সম্মুখীন হচ্ছে বরেন্দ্রের হাজারো মানুষ। এর মধ্যেই তানোর উপজেলার মন্ডুমালা পৌরসভার একটি গ্রামে এখনো খাবার পানির কোনো উৎসই তৈরি করতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। ৩ বছর ধরে বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য হাহাকার পড়েছে এই এলাকায়। প্রশাসন বলছে, তারা নিরুপায়।

গ্রামটির নাম মাহালী পাড়া। এখানে তিন শতাধিক পরিবারের বসবাস। এখানে পানির স্তর না পাওয়ার অজুহাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তেভোগীদের। যা এই এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজনের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই সমস্যার সামধান হিসেবে গ্রামবাসীরা গ্রাম থেকে দূরে একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন গভীর নলকূপ থেকে পানি কেনেন। সামান্য আয়ে আর পানি কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধান চান তারা।

ভুক্তভোগীরা জানান, বরেন্দ্র এলাকায় গভীর নলকূপের অবাধ ব্যবহারে খরা মৌসুমে চরম বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয়দের। এ ছাড়া এখানকার ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার করতে পারে না বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন। সরকারি পুকুরগুলো প্রভাবশালীদের লিজ দেওয়া হয়। এতে পুকুরে নামতেও পারে না তারা। সবমিলিয়ে শুষ্ক মৌসুমে খাবার পানি তো দূরে থাক, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার উপযোগী পানিও পাওয়া যায় না। অথচ মৌলিক এই অধিকার নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। উপরন্তু মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ হিসেবে বাতলে দেওয়া হচ্ছে, গভীর নলকূপের কেনা পানি, যা দিন আনতে পান্তা ফুরোনো পরিবারগুলোর পক্ষে কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের একজন চিচিলিয়া হেমব্রম বলেন, তাদের এলাকায় কোনো পানি নেই। খাবার পানির জন্য কখনো আধা কিলো মিটার, এক কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। তাতেও পানি পাওয়া যায় না। মানুষের পানির উৎস থেকে পানি আনতে নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয় নারীদের। অনেক সময় পানি আনতে নারীদের কোমরে ব্যথাসহ নানা ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। অনেক দূরে গিয়ে পানি কিনে আনতে হয়। অভাবের সংসারে পানি কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা দিন মজুরি বা বাঁশ-বেতের কাজ করে তিনশত টাকার মতো আয় করি। যা দিয়ে সংসার চালানোই কষ্ট সাধ্য।

নৃ-গোষ্ঠীর নেতা সুভাস হেমব্রোম বলেন, এখানকার বাসিন্দাদের সব ধরনের অধিকার থেকে অনেক সময় বঞ্চিত করা হয়। সমতলের নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন পানির জন্য প্রতারণার শিকার হচ্ছে অহরহ। পানির জন্য তাদের জীবন দিতে হচ্ছে। তিনি সব নেৃ-গোষ্ঠী গ্রামে সুপেয় পানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পানির সমস্যা সমাধানের দাবি জানান।

একই পাড়ার বাহালী গোষ্ঠীর নেত্রী রিনা টুডু বলেন, শতবার ধরনা দিয়েছি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। কেউ পানির সমাধান করে দিল না আজো। প্রায় তিনশ মানুষ আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা আমাদের পানির অধিকার চাই।

রিনা টুডু আরও বলেন, আমরা পানির আধিকার আদায়ে জেলা প্রশাসক বরাবর ৪টি দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছি। দাবিগুলো হলো- তানোর উপজেলার মন্ডুমালার মাহালী পাড়াতে দ্রুত পর্যাপ্ত ডিপটিউবয়েল/টিউবয়েল/সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপন করে আমাদের পানির সমস্যা সমাধান করে দিতে হবে। রাজশাহী জেলা তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের পুকুর/ দিঘি এবং চলমান জলাভূমি লিজ প্রথা সংশোধন করে সত্যিকারে স্থানীয় প্রান্তিক মানুষের ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে হবে। গ্রামের ভেতরে বা কাছাকাছি পুকুরগুলো গ্রামবাসীর নামে/ কমিউনিটির নামে বিনাশর্তে লিজ দিতে হবে যাতে কমিউনিটির মানুষগ এগুলো ব্যবহার করতে পারে। বরেন্দ্র অঞ্চলের সকল পুকুর/দিঘিগুলো সংস্কার করে দিতে হবে। যাতে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার করা যায়।

নৃ-গোষ্ঠীর পানির অধিকার নিয়ে কাজ করছেন গবেষক শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ুর আঞ্চলিক অভিঘাতসহ পানি সমস্যা বরেন্দ্র অঞ্চলে নীরবে মারাত্মক হয়ে উঠছে। একসময় গ্রাম ও শহরের প্রান্তিক মানুষগুলো প্রাকৃতিক উৎস থেকে পানির ব্যবহার করত। কিন্তু সেই প্রাকৃতিক উৎসগুলো দিনে দিনে দখল আর নষ্ট হওয়াসহ প্রভাবশালীদের লিজ নেওয়ার কারণে সেখানে প্রান্তিক মানুষ আর পানির অধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না। অন্যদিকে, উন্নয়নের ভুল পদক্ষেপের কারণে এই অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর মারাত্মকভাবে নিচে নেমে গেছে। যার ফলে রাজশাহী তথা বরেন্দ্র অঞ্চলে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পানির উৎস পাতকুয়া, কুয়া, পুকুর, জলাশয়, টিউবয়েল, নলকুপগুলোতে আর পানি পাওয়া যায় না। এর স্থলে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পানি সেবার নামে আর্থিক মূল্যে পানি বিক্রি করছে এখন।

পানি ব্যবস্থাপনায় জনগোষ্ঠীর মতামতগুলো উপেক্ষা করা এবং গভীর নলকূপ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যের কারণে পানির জন্য সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এই গ্রামটিতে খাবার পানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মাফিক পানির অভাব দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে। আবার বার বার ধরনা দিয়েও এখনকার মানুষের পানির অধিকার নিশ্চিত হয়নি। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।

এ বিষয়ে মুন্ডুমালা পৌরসভার সচিব আবুল হোসেন জানান, ওই গ্রামে ৭০০ ফিট পর্যন্ত বোরিং করেও পানির কোনো স্তর পাওয়া যায়নি। একারণে সমস্যার সমাধান হয়নি। আর এই সমস্যা আরও বেশকিছু জায়গায় আছে। পানির স্তর ক্রমশই নিচে নেমে যাচ্ছে। আগামী ৪-৫ বছর পর এই সমস্যা পুরো পৌর সভায় জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

তিনি আরও জানান, পৌরসভায় নলকূপের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকার একটি বরাদ্দও এসেছিল। কিন্তু পানির স্তর না থাকায় তা ফিরে গেছে। এখন ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। যেটা আশেপাশের যে এলাকায় বোরিং পাওয়া যাবে, সেখান থেকে পানি উত্তোলন করে সরবরাহের জন্য। তবে যে কারণে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে তার সমাধান না হলে কার্যত ফলাফল তেমন আসবে না।

এ বিষয়ে মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এসএন

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান শফিকুল আলম।

সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় ৯ মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে কী অর্জন করেছেন, তা তুলে ধরেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোষ্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের