বাগেরহাটে পল্লী চিকিৎসা সনদ নিয়ে অপারেশন, কারাদণ্ড
বাগেরহাটে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক কথিত চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। পল্লী চিৎকিসকের সনদ নিয়ে নিয়ম বর্র্হিভুত ভাবে পাইলস ও পলিপাসসহ বিভিন্ন রোগের অপারেশন করার অপরাধে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের রেলরোড এলাকায় ওই চিকিৎসকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার রোহান সরকার ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক হিসেবে এই আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মো. দেলোয়ার হোসেনকে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক রোহান সরকার বলেন, পল্লী চিকিৎকের সনদ নিয়ে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এ ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে বাগেরহাট সদর ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় চেম্বার খুলে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো।
এর আগেও অভিযান চালিয়ে তাকে জেল-জরিমানা করা হয়েছিলো, কিন্তু তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুনরায় তার অপচিকিৎসা চালিয়ে যেতে থাকে।
তিনি মূলত একজন পল্লী চিকিৎসক। ওই সনদ দিয়ে তিনি পাইলস, অর্শ, ভগন্দার, গেজ ও নাকের পলিপাসসহ বিভিন্ন রোগের অপারেশনে বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তার পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং অপারেশন করেন।
বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান বলেন, অপারেশনের জন্য চিকিৎসা বিষয়ক যেসব ডিগ্রীর প্রয়োজন হয়, তার কোনটাই নেই দেলোয়ারের। এমনকি অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও নেই তার।
তার চিকিৎসা ব্যবস্থা কোনটাই বিজ্ঞান সম্মত নয়। এই চিকিৎসার ফলে মানুষের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হত। এই ভুয়া চিকিৎসক গ্যরান্টিসহ চিকিৎসা, বিফলে মূল্য ফেরত এমন চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট না হয়ে, রোগীদের সরকারি হাসপাতাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এএজেড