‘বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব না’
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ফসল রক্ষা বাধের কাজ শেষ করা সম্ভব না বলে জানিয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, ‘আমরা টাইম দেব কিন্তু টাইমের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব না। এটা প্রাকৃতিক ব্যাপার, এটি বুঝতে হবে। বললাম মাসের ১৫ তারিখ শুরু করব আর ৩০ তারিখে শেষ করব, এভাবে কাজ করা যায় না। এখানে আগে বাঁধে কাজের জন্য উপযোগী হতে হবে। অধিকাংশ হাওরে পানি নামতে অনেক দেরি করে।
বুধবার ( ১৫ মার্চ )সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালী ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘হাওরের স্থায়ী বাঁধ বা নদী খননের প্রকল্প খুব ব্যয় বহুল প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে বিশেষজ্ঞ সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। হাওরের টেকসই কাজে তড়িঘড়ি করা যাবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গেল তিন বছর ধরে বৈশ্বিক মন্দা চলছে। বাংলাদেশ মন্দার বাইরে নয়। মন্দার মধ্যেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছেন। হাওরের কাজ থেমে নেই চলতেছে। এ জন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আগামীতে হাওরের উন্নয়নের জন্য ভালো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। শীঘ্রই হাওর এলাকার
১৯টি নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সেজন্য কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বাঁধ নিয়ে এত কথা হবে না।
পরিদর্শনকালে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, সামছু দোহাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা।
পরে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার টাংনির হাওর, জলডোবা, জয়পুর উদগলবিল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩টি হাওরে ৭৪৫ কিলোমিটার ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ তৈরির জন্য আজ পর্যন্ত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১০০ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে। এই বছর ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন জেলার ৪ লক্ষাধিক কৃষক।
এসআইএইচ