চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ সদস্যের লিখিত অভিযোগ
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধি-বহির্ভূতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রের এর অনুকূলে অর্থ বরাদ্দের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর কাছে জেলা পরিষদের ১২ সদস্যের মধ্যে ১০জন লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী অভিযোগটি পরীক্ষা করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন। অপরদিকে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন, বানোয়াট বলে দাবি করছেন চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন।
অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সৈয়দ মোঃ কায়সারের ছোট ভাই সৈয়দ মোঃ শামীম আনোযারকে জেলা পরিষদ আইন ও নীতিমালাকে অবজ্ঞা করে প্যানেল চেযারম্যান-১ ঘোষণা করেন। প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনের আগে কোন কোন সদস্যদেরকে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়নি।
নির্বাচিত সদস্যদের মতামতকে পাশ কাটিয়ে চেয়ারম্যান বিধি-বহির্ভূতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেন। জেলা পরিষদের নির্বাচনের পূর্বে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ভোট পাওয়ার আশায় তিনি প্রকাশ্যে অর্থ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর পরিষদের সদস্যদের মতামত না নিয়ে জেলার ৯ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৬ মেয়রকে ৫লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন।
যা স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ব্যবহার নীতিমালা এবং এডিপি বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা ২০২২ এর পরিপন্থী। এছাড়াও জেলা পরিষদের আর্থিক বিষয়াদি সংক্রান্ত কোন কিছু জানতে চাইলে তিনি পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী বলেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। সকলের মতামত নিয়েই প্যানেল চেয়ারম্যানের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব কাল্পনিক অভিযোগের আনার পেছনে একজন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতার ইন্ধন রয়েছে।
এএজেড