নিহত আতিকের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন
১৯৯৫ সালে ১৫ মার্চ। তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সারের দাবিতে একযোগে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে ওঠে। তারইধারাবাহিকতায় সারাদেশের মতো টাঙ্গাইলের ঘাটাইলেও ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। ওইদিন নায্যমূল্যে ঘাটাইলে সারের দাবিতে কৃষকদের পক্ষে আন্দোলন ও সংগ্রাম করতে এসে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র আতিকুর রহমান আতিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
আতিক নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ায় হাজার হাজার জনতা সেদিন রাস্তায় নেমে আসে। সেসময় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা নিজেও ঘাটাইলে জনসভা করেন। জনসভায় নিহত আতিকের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং আতিকের পরিবারের দেখাশোনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা কিছুদিন অসহায়-দরিদ্র আতিকের পরিবারের খোঁজ খবর রাখলেও এখন কেউ খোঁজ খবর নেয়না বলে অভিযোগ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকলেও মানবেতর জীবযাপন করছেন অসহায় আতিকের পরিবারটি। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালে ঘাটাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার ভূমিহীন হিসেবে একটি সেমি পাকা ঘর উপহার দেন আতিকের পরিবারকে।
নিহত আতিকের বড় ভাই প্রতিবন্ধী মিঞ্জু মিয়া বলেন, ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় সেসময় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) আমাদের পরিবারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা অসহায়ভাবে মানবেতরভাবে জীবনযাপন করে আসছি।
তিনি আরও বলেন, আমার ছোট ভাই কলেজছাত্র রাজপথে নেমে কৃষকের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আজ দুই যুগের বেশি হয়েছে। এখন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন যেন আমাদের পাশে দাঁড়ায়। এ প্রসঙ্গে ঘাটাইল উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, আন্দোলন করতে পুলিশের গুলিতে ছাত্র অবস্থায় মারা যায় আতিক।
তৎকালীন বিরোধী দলীয় (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা আতিকের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় এবং তার পরিবারকে লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরও অনুরোধ আতিকের নামে একটি রাস্তা বা স্মৃতি ফলক নির্মাণ এবং তার পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এএজেড