মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডিম সিন্ডিকেটে অসহায় উৎপাদক-ভোক্তা

প্রায় ২০ কোটি ডিমের উদ্বৃত্তের রাজশাহীতে সিন্ডিকেটের কাছে দাম নিয়ে অসহায় ভোক্তাসহ উৎপাদনকারীরা। ডিম ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ ছাড়া কার্যকর কোন সামাধান মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে উৎপাদক ও ভোক্তা উভয়ের দাবি সু-সমন্বিত মূল্য নির্ধারণ করে বাজারকে স্বাভাবিক রাখা।

সর্বশেষ শনিবার (১১ মার্চ) রাজশাহীর সাহেব বাজারের খুচরা লাল ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতিহালি ৪২ টাকা ও সাদা ডিম ৪০ টাকা দরে। কেউ কেউ ৪৪ টাকা হালি দরেও ডিম বিক্রি করছেন। আর পাইকারিতে প্রতি ১০০টি ডিমের দাম ৯৭০ টাকা থেকে ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে একটা ডিমের (লাল) দাম পড়ছে ৯ টাকা ৭০ পয়সা। আর সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ৯ টাকা ২০ পয়সায়। একইদিন খামারিরা ব্যবসায়ীদের কাছে ডিম বিক্রি করেছে ৮ টাকা থেকে ৮ টাকা ৮০ পয়সায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, খামারির উৎপাদিত ডিমের দাম নির্ধারণ করেন ব্যবসায়ীরা। উৎপাদনের পরে চার থেকে পাঁচ হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে পৌঁছায় ডিম। আর প্রতি হাতবদলে ডিমের দাম বাড়ে ২০ থেকে ৫০ পয়সাসহ কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি। অথচ একজন খামারি প্রতিটি ডিমে ২০ থেকে ২৫ পায়সার বেশি লাভ করতে পারেন না। মধ্যসত্ত্ব ভোগীরাই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সুবিধা লুটছে। অথচ কার্যকর কোন নজরদারি নেই প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন ডিমের দাম থেকে শুরু করে বাজার নিয়ন্ত্রণের কাজগুলো সম্পাদন করা হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। ব্যবসায়ীরা পাবনা, ঢাকা ছাড়াও দেশের বড় বড় বাজারে যোগাযোগ করে ডিমের দাম নির্ধারণ করেন। সেই সব বাজারগুলোর ডিমের দামের উপরে নির্ভর করে রাজশাহীর ডিমের দাম।

পবার কুখুন্ডি মল্লিকপুর এলাকার লেয়ার মুরগির খামারি জামরুল ইসলাম জানান, তার খামারে ৯৩০ টা লেয়ার মুরগি রয়েছে। এই মুরগি ১৮ থেকে ২২ মাস পর্যন্ত ডিম দেবে। নতুন মুরগির প্রথম ৬ মাস ডিম আসে ৯০ শতাংশ। পরের ১০ মাসের বেলায় ডিমের উৎপাদন দাঁড়ায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। ১৫ মাসের বেলায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ডিম পাওয়া যায় খামার থেকে। তবে এসময় ডিমের বাজার ভালো থাকতে হবে। অন্যথায় বেশি দামে খাবার খাওয়ানোর ফলে ডিম বিক্রি করে লাভ থাকবে না।

এই মুরগিগুলোর প্রতিদিন দুই বস্তা খাবার লাগে। যার ওজন ১০০ কেজি। দুই বস্তা (কোয়ালিটি প্রিমিয়ার) খাবারের দাম ৬ হাজার ৬০ টাকা। নতুন মুরগি হিসেবে প্রতিদিন ৮৩০ টা করে ডিম দেয়। একটি ডিমে খরচ পড়ে সাত টাকার উপরে। বিক্রি হচ্ছে ৮৭০ থেকে ৮৮০ টাকা (রোববার ৫ মার্চের দাম)। একটি ডিম বিক্রি করে কমবেশি এক টাকা থাকে। তবে বিদ্যুৎ বিল, ওষুধ, নিজের মজুরি ছাড়াও অন্য খরচ বাদ দিলে নগণ্য কিছু লাভ থাকে।

খামারিদের দাবি, ডিমের দাম নির্ধারণে খামারির কোন হাত থাকে না। এটা আড়তগুলো থেকে নির্ধারণ হয়। অনেক সময়ই উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামেও ডিম বিক্রি করা লাগে। ডিম বিক্রির একটা সিন্ডিকেট আছে। আর গত ১৮ থেকে ২০ দিন আগে ডিমের দাম ছিলো ৯ টাকা ৮০ থেকে ৯০ পয়সা। এই দাম ১৫ দিনও থাকে নি। তার পরে কমে গেছে। ডিমের দাম উঠা-নামা করে। কিন্তু খাবারের দাম বাড়লে আর কমে না।

কোম্পানিগুলোর খাবারের দাম বাড়ানো বিষয়ে খামারি জামরুল ইসলাম বলেন, আমি ৮ বছর থেকে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। ৮ বছর আগে ৫০ কেজি খাবারের বস্তার দাম ছিল ১৫০০ থেকে ১৫৫০ টাকা। ওই বস্তা এখন ৩ হাজার ৩০ টাকা। তাহলে ৮ বছরে প্রতি বস্তায় বেড়েছে প্রায় ১৫০০ টাকা। কিন্তু আট বছর আগে ডিম বিক্রি করেছে ৮ টাকা থেকে সাড়ে ৮ টাকায়। এখনও প্রায় ওই দামেই ডিম বিক্রি করছি।

খাবারের দাম বাড়ার এক সপ্তাহ আগে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দেবে। কিংবা ডিলারের জানিয়ে দেবে ফিডের দাম বাড়ার তারিখ। গত সপ্তায় এক বস্তা খাবারে বেড়েছে ৭৫ টাকা। গত বছর (২০২২) চারবার দাম বেড়েছে খাবারের দাম। নতুন বছর পরে এক বারে ৭৫ টাকা খাবারের দাম বেড়েছে। ব্যবসা শুরু সময়ে একটা মুরগির বাচ্চা দাম ছিল ৩০ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে। এখনও সেই দাম আছে। মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ে নি।

সাদেকুল ইসলাম নামের আরেক লেয়ার মুরগির খামারি জানান, ডিম উৎপাদন করে আর আগের মতো লাভ হয় না। যে টাকা লাভ হয় খাবার কিনতেই শেষ হয়ে যায়। খামারে ১ হাজার লেয়ার মুরগি তুলে ছিলাম। এখন টিকে আসা ৯২০ টা। এই মুরগিগুলো ঠিক মতো ডিম দিক আর না দিক খাবার দিতে হবেই। খাবার দিতে না পাড়লে উৎপাদন যতটুকু আছে, তাও থাকবে না।

তিনি আরও জানান, লেয়ার মুরগির খামার করেছিলাম ঋণ করে। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি আছে। যে ডিম উৎপাদন হয় তা দিয়ে নিজের সংসার ও কিস্তি চালাই। তবে খাবারের দাম অনুযায়ী ডিমের দাম আরো ২ টাকা বাড়লে ভালো হতো। আমরা ডিম বিক্রি করছি ৮ টাকা, সাড়ে ৮ টাকা, সর্বোচ্চ ৮ টাকা ৮০ পায়সা। অথচ বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকায়। তার দাবি, বাজার পর্যায়ে না; খামারি পর্যায়ে ডিমের দাম বাড়লে আমরা বাঁচতাম।

ডিম ব্যবসায়ী সেন্টু জানান, প্রতিদিন স্থানীয় বাজারের দাম বেলা ১২টার পরে নির্ধারণ করা হয়। রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন করে নাবিল গ্রুপ। গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) নাবিল গ্রæপের নাবা ফার্ম লিমিটেডের ডিম বিক্রয় কেন্দ্রে প্রতি ১০০টি লাল ডিম বিক্রি হয়েছে ৯২০ টাকায়। এছাড়া স্থানীয় বাজারে ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে বিভাগের পাবনা, ঢাকার বিভিন্ন বাজারের ডিমের দাম শুনে।

ডিমের বাজারের বিষয়ে রাজশাহীর সাহেব বাজারের খুচরা ডিম বিক্রিতা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার (৪ মার্চ) তুলনায় রোববার (৫ মার্চ) প্রতি একটি ডিমের দাম বেড়েছে ১০ পয়াসা। এছাড়া বাজারে খুচরা লাল ডিম প্রতিহালি ৪২ টাকা ও সাদা ডিম ৪০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাইকারিতে প্রতি ১০০টি ডিমের দাম ৯৭০ টাকা ও সাদা ডিম ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম নির্ধারণ কারা করে ও ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছোট ব্যবসায়ী। আর আমার ব্যাবসার বয়স বেশি দিন না। তাই আমি বলতে পারছি না।

রাজশাহী প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় ২ হাজার ১২টি খামারে প্রতিমাসে পৌনে ৫ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। আর ডিমের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৫৭ কোটি। অথচ রাজশাহীতে ডিমের চাহিদা মাত্র ৩৭ কোটি। উদ্বৃত্তের রাজশাহীতেও ডিম কিনতে গিয়ে দিশেহারা ক্রেতারা।

খুচরা ক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ডিমের দাম একেক জায়গায় একেক রকম। হালি হিসেবে ডিম নিলে এক থেকে দেড় টাকা কম পাওয়া যায়। আর খুচরা নিলে বেড়ে যায় ডিমের দাম। সাহেব বাজারের খুচরা দোকানের তুলনায় এলাকার দোকানগুলো প্রতি হালিতে দুই থেকে আড়ায় টাকা বেশি।

রাজশাহী পোল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, সাধারণ ভোক্তারা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হালি দরে ডিম কেনে। একটা ডিম সাধারণ মানুষ ১১ থেকে ১৩ টাকায় কিনছে। এই যে এতো টাকা গ্যাপ হয়ে গেলো। এই গ্যাপের পেছনে কারণ হলো মধ্যসত্ত্ব ভোগি। সরাসরি বিক্রেতার কাছে যাচ্ছে। কয়েক ধাপ পেড়িয়ে ক্রেতার হাতে পরে। কোম্পানিগুলো বড় বড় সেড করছে, তারাই বিভিন্ন বাচ্চা লালন-পালন করে বাজারে দিচ্ছে। তাদের সাথে তো ছোট ছোট খামারিরা পেরে উঠবে না। কোম্পানিগুলোর কাছে ছোট ছোট খামারীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। বড় বড় কোম্পানিগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।

রাজশাহী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন বলেন, আমাদের দেশে ডিমের দাম ওইভাবে নির্ধারণ হয়। ডিমের দাম বেঁধে দেওয়া হয় না। খাদ্য খরচ বাড়লে ডিমের দাম বাড়ে। খামারিদের কথা ডিমের দাম আরও বাড়ানো হোক। ডিমের বাজারে ফরিয়া বা মিডিলম্যান (মধ্যসত্বভোগীদের) যে দৌরাত্ম্য তো আছেই। শুধু ডিমেই নয়, সবজি, মাছ সবক্ষেত্রেই এই দৌরাত্ম্য। এছাড়া করপোরেট বিভিন্ন কোম্পানির কাছেও প্রায়শই জিম্মি দশা তৈরি হয়। এখন এটা পলিসিগত বিষয়। রুট লেভেলে কাজ করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব না।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই নির্মমতার সুবিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘শহীদ পরিবারের সদস্যরা একান্ত প্রিয়জন হারানোর এতগুলো বছর পরেও স্বজন হত্যার বিচার পেতে অপেক্ষা করে আছেন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সমব্যথী হয়ে দেশ ও জনগণ শহীদ পরিবার ও সকল নিপীড়িতের পাশে দাঁড়াবে, একইসঙ্গে সেই আশাবাদ রাখছি।’

তিনি বলেন, ‘আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদের স্মরণে এখন থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই দিনে আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করি ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই জাতির সূর্য সন্তান, শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। একইসঙ্গে তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাই সমবেদনা ও সহমর্মিতা।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন থেকে এই দিনটি আমাদের চেতনা ও অনুভূতির একটি নিয়ামক হয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে পথচলা একদল সাহসী মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত নির্মম মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেবে। তাদের এই আত্মত্যাগের স্মরণে আমরা জাতি হিসেবে যেন নিজেদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে সংকল্পবদ্ধ হই। দুঃশাসন, ষড়যন্ত্র ও আত্ম-অহংকারে আর যেন কোনো প্রাণ না হারায়। মানুষ যেন আত্মসম্মান ও মানবিক অধিকার নিয়ে নিজের যোগ্যতা ও মেধায় তার প্রাপ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারে এই প্রত্যাশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত পৃথিবী গড়ার পথে বাংলাদেশই যেন হয় আদর্শিক মাপকাঠি। জাতির শহীদ সেনাদের স্মরণে এই দিনে আমরা একটি স্বনির্ভর ও সুসভ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ হই। শহীদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে আমি আবারও সকল শহীদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।’

Header Ad
Header Ad

অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

অপরাধ দমনে দেশব্যাপী শুরু হওয়া অভিযান পরিচালনায় কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যের গাফিলতি পেলে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে বনানী সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে গতরাত থেকে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান। এ অভিযান সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অভিযান পরিচালনায় আমরা কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের গাফিলতি পাই তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এ অভিযান যেভাবে সাজিয়েছি, যদি কোনো জায়গায় আমার কোনো কর্মচারী বা আমার কোনো বাহিনীর সদস্যের মধ্যে গাফিলতি থাকে, আমি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

তিনি আরও বলেন, এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, সে পুলিশ হোক, বিজিবি হোক, র‌্যাব হোক, আনসার বা কারা অধিদফতর হোক।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার নিশ্চিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করছে।’

অভিযানের সর্বশেষ আপডেট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো ভাবছিলাম, আপডেট আপনারা দেবেন। আপনারা সত্য সংবাদটা পরিবেশন করেন। দেখেন আমরা ব্যবস্থা নেই কিনা। দুই এসপির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের পর আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছি। সত্য সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

এর আগে, জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাজধানীর বনানীতে সামরিক বাহিনী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

Header Ad
Header Ad

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে হিজবুত তাওহীদের কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের সময় হিজবুত তাওহীদের অফিস সহ চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও দুই কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ সিদাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, হিজবুত তাওহীদের প্রায় ৪০ জন কর্মী সেখানে একটি গোপন বৈঠক করছিল। বৈঠকের খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাদের বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং মুহূর্তেই তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে হিজবুত তাওহীদের চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় ও আরও দুই কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহত চারজনকে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাওহীদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।

আটকদের স্বজনরা দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন বলেন, “হিজবুত তাওহীদের একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেই সমাবেশ ঘিরেই এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় ও সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন
পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক  
৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  
চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই  
যুবদল নেতার বাড়িতে বোমা হামলা-অগ্নিসংযোগ, আহত ১  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো কলকাতা-ওড়িশা, অনুভূত হলো ঢাকাতেও
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায়
নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না হলে ঈদের পরে আন্দোলন: বিএনপি নেতা হারুন
জেল থেকে পালালেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ফাইয়াজের দাবি
তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার
বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান