নরসিংদী জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ
নরসিংদীর রায়পুরায় রেলওয়ে থেকে লিজ নেওয়া নবায়ন করা জমি অবৈধভাবে দখল চেস্টার অভিযোগ উঠেছে নরসিংদী জেলা পরিষদে সংরক্ষিত আসনের সদস্য সাহিদা খানমের বিরোদ্ধে। তবে এ ঘটনার বিষয়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে মৎস্য ভূমির লাইসেন্স গ্রহণ করে দীর্ঘদিন ধরে ৪৬ শতাংশ জমি, যা পুকুর হিসেবে ভোগ দখল করে আসছেন রায়পুরা উপজেলার উত্তর মীর্জানগর গ্রামের আ. রহমানের ছেলে মো. জামিল সৈকত, সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. মফিজ উদ্দিন ও তার ছেলে রফিকুল ইসলাম। সর্বশেষ গত মাসের ১৫ তারিখে তারা উক্ত ভূমির অর্থ পরিশোধ করে নবায়নও করেন। তাদের দাবি উক্ত জমির পাশে ৩২ শতাংশ জমি তাদের পৈত্রিক সূত্রে থাকায় উক্ত লিজ নেওয়া ভূমিতে মৎস্য চাষ করে আসছেন। এরই মধ্যে নরসিংদী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য সাহিদা খানমের চোখ পরে এই পুকুরের দিকে। এরই অংশ হিসেবে প্রায় ১৫ দিন ধরে রেলওয়ে থেকে লিজ নেওয়া জমিটুকু সাহিদা খানম অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন বলে জানান জামিল সৈকত।
এ খবর জানতে পেরে জামিল সৈয়ত ঘটনাটি স্থানীয় মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমেদ রিপনকে অবগত করেন। এর প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান বশির আহমেদ রিপন ঘটনাটি মিমাংশার জন্য সময় নির্ধারণও করেন। এরই মধ্যে গত বুধবার (৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাহিদা খানমের নেতৃত্ব ১০/১২ জন উশৃঙ্খল লোক নিয়ে লিজ নেওয়া পুকুর দখল করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এ সময় তারা জামিল সৈয়তসহ ৪/৫ জনকে আহত করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলা পরিষদের সদস্য সাহিদা খানম জানায়, আমি কোনো জমি দখল করতে যাইনি। আমি খানাবাড়ি রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে রেলওয়ের একটি পুকুর দখল করে ৫ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছি। আর এই জমি লিজ নেয়ার জন্য জানুয়ারি মাসে আবেদন করেছি। সার্ভেয়ার তদন্ত করে গেছেন কিন্তু এখনো লাইসেন্সের কাগজ পাইনি। আমি নরসিংদী থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে দেখি খামারের ব্যানার তারা ছিড়ে ফেলতেছে। আমি ছবি উঠাতে গেলে তারা আমাকে বাধা দেয় এবং মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরে সাহিদা খানমের দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে জামিল সৈয়দসহ তার স্বজনদের বাড়িতে বৃহস্পতিবার ভোরে রায়পুরা থানা পুলিশ অভিযান চালায় বলে জানা গেছে ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ থেকে রায়পুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে দুটি অভিযোগই অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম তদারকি করছেন।
রায়পুরা থানার এসআই নাসিম জানান, ঘটনার বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য সাহিদা খানম একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে কোনো মামলা এখনো নথিভুক্ত হয়নি।
এসআইএইচ