রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
রমজান মাসকে সামনে রেখে দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেড়েছে ছোলা, ডাল, মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি।
রমজানকে ঘিরে প্রতিবছর ছোলা, মসুর ও খেসারির ডালের চাহিদা বেড়ে যায়। এসময় যেন পণ্যের দাম না বাড়ে সে লক্ষ্যে স্থলবন্দর দিয়ে ডাল ও মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে এসবের সরবরাহ। পাইকারি বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে দাম। এদিকে হিলি বাজারে প্রতি কেজি থাইল্যান্ডের ছোলা ৯০ টাকা ও অস্ট্রেলিয়ান ছোলা ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় ছোলার দাম একটু কমে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, বন্দরে ফেব্রুয়ারি মাসে ছোলা, খেসারি, মসুর, ডাল, রসুনসহ ২০ হাজার টন ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ছোলা ৭ হাজার ৩০০ টন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহীন বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে ছোলার ডাল, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, মসলা যে পণ্যগুলোর প্রয়োজন হয় এগুলোর এলসি আমরা খুলেছি। একইসঙ্গে রপ্তানিকারকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক হারুনুর রশিদ বলেন, যে পণ্যগুলো রোজাকেন্দ্রিক সেগুলোতে বেশি দাম বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সেরেগুল বলেন, বড় এলসিগুলো অস্ট্রেলিয়া, কানাডা কিংবা ইউক্রেন থেকে যে পণ্যগুলো এখানে আসত ডলার সংকটের কারণে বড় এলসিগুলো না দেওয়ায় আমদানিকারকরা ভারত থেকে ছোট ছোট এলসি করে এই পণ্যগুলো রমজান উপলক্ষে আমদানি করছি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আবাদ ভালো হওয়ার কারণে রপ্তানি বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। রোজাকে সামনে রেখে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোজার সংশ্লিষ্ট দ্রব্য মসুর ডাল, খেসারির ডাল, ছোলার ডাল, কিসমিস, ইসুবগুলের ভুসিসহ বিভিন্ন মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি হচ্ছে। এসব পণ্য দ্রুত যেন আমদানিকারকরা বাজারজাত করে এজন্য ব্যবস্থা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এসজি