কক্সবাজারে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, আটক ২

কক্সবাজারে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে তানজীম উদ্দীন তাহের বাবলা নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ সময় কনস্টেবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা প্রতারক চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড একরাম হোসেনকেও আটক করা হয়।
সোমবার কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল ও হোটেল আলহেরায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আহমেদ নাসির উদ্দীন মোহাম্মদ।
তিনি জানান, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিল। কেন্দ্র ছিল কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল। সেই কেন্দ্রে রোল ৭১১০১৩০ নম্বরের পরীক্ষার্থী ছিল হারুন অর রশিদ। হারুন কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে। কিন্তু পরীক্ষার সময় তার স্থলে কেন্দ্রে হাজির হয় কুতুবদিয়ার লেমশীখালী হাবীব নাজিরপাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে তানজীম উদ্দীন তাহের বাবলা (২০)। বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে বাবলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শহরের হোটেল আল হেরায় অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। আল হেরার ৩২৫ নম্বর কক্ষ থেকে প্রতারক চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড একরাম হোসেনকে আটক করা হয় । একরাম কুতুবদিয়ার লেমশীখালী সিদ্দিক হাজিরপাড়া এলাকার ছাবের আহমেদের ছেলে।
ওসি আরও জানান, এ সময় তার কাছ থেকে টিআরসি পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদ রোল ৭১১০১৩০ এর আরেকটি প্রবেশপত্র, নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ আটক প্রক্সী পরীক্ষার্থী তানজিম উদ্দিন তাহের বাবলার ১টি মোবাইল ও অন্য একজন প্রক্সী পরীক্ষার্থী মিরাজের ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন এবং একরামের নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ৩টি মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়। সেই সময় চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তারকৃত একরাম হোসেনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম, প্রক্সী পরীক্ষার্থী মিরাজ, পলাতক পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের দাবি, চক্রের মূলহোতা সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম তার ভাই একরাম হোসেনসহ একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় ফটোশপের মাধ্যমে ছবি ও স্বাক্ষর এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল করে আসছে। কিছু বিপদগামী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রক্সী পরীক্ষার্থী হিসেবে ব্যবহার করে আর্থিক ফায়দা লুটছে।
এসআইএইচ
