রায়পুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-প্রধান শিক্ষক সংকট

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তিন শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬ জন প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রশাসনিক কাজে যেমন সমস্যা হচ্ছে তেমনি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরম ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে-৮৫ জন শূন্য পদে সহকারি শিক্ষকদের মধ্যে ৫৩ জন জানুয়ারী যোগদান করেন। (আজ) সোমবার (৬ মার্চ) বিকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে বরন করে নেয়া হয়েছে। '২০২০ সালের সহকারি শিক্ষক পদে' নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগন গত ২২ জানুয়ারী জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করেছিলেন।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিভাবে গ্রহন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ, ইউএনও অনজন দাশ ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা টিপু সুলতান ও সহকারি শিক্ষা কর্মক্রতা মোঃ হাবিবুর রহমান।
অপরদিকে, ১১ বিদ্যালয়ে মাঠ না থাকায় শিশুরা খেলাধুলা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। গত কয়েক বছর নিয়োগ, পদন্নোতি ও অবসর জনিত কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি বলে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা জানান।
রায়পুর শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নে ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ থেকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, গত ৪ বছর ২ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও ১০ বছর ধরে ২৬টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নাই।
প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাসহ পাঁচজন সহকারীর শিক্ষা কর্মকর্তার পদ থাকলেও কর্মরত আছেন দুইজন। তিন বছর ধরে নেই অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর। এক বছর ধরে অফিসের একজন এমএলএসএস ও বিদ্যালয়ের একজন দপ্তরী কাম প্রহরী নেই। এতে কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের প্রশাসনিক কাজ মারাত্বক ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান বলেন, তিন শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ২৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ৮৫ জন সহকারি শিক্ষক নাই। এখন ৫৩ জন সহকারি শিক্ষক যোগদান করেন এবং বাকি ৩২ জন এবং এমএলএসএসসহ ১১টি বিদ্যালয়ে মাঠ সৃষ্টির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
সরকারিভাবে নিয়োগ ও পদন্নোতি বন্ধ থাকায় শূন্য পদগুলো পূরণ করা যাচ্ছে না। সাময়িকভাবে প্রশাসনকি কাজ ও শিশুরা কষ্ট করলেও আমাদের কিছুই করার নেই বলেও জানান এ শিক্ষাকর্মকর্তা।
এএজেড
