তৃতীয় বউ হলো ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী

আগে দুইটি বিয়ে করলেও ডিভোর্স হয়েছে। এবার বিয়ে করলেন ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে। তবে গোপনে বিয়ে করলেও তা সুখকর হলো না। ম্যাজিষ্ট্রেট আসার খবরে তড়িঘড়ি কলেমা পড়েই বরযাত্রীসহ পালিয়ে গেলেন বর। এ ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের বিলদহর মৎস্যজীবি মুর্শিদীপাড়ায়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আশরাফুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-ইমরান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইউপি মেম্বার আশরাফুল ইসলাম জানান, ওই ছেলের নাম সিহাব বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ছেলের বাড়ি একই উপজেলার কলম ইউনিয়নের নাছিয়ারকান্দি গ্রামে। এর আগেও পর পর দুটি বিয়ে করলেও তা টিকেনি। অপরদিকে ওই মেয়ের বাবার নাম আলতাব। তার ১ ছেলে-তিন মেয়ে। তিনি ঘরমিস্ত্রী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার সবচেয়ে ছোট মেয়ে বিলদহর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছেলের অবস্থা ভালো জেনে মেয়েকে বিয়ে দিতে সম্মত হন তিনি। কিন্তু মেয়ের বয়স কম হওয়ায় প্রশাসনিক ঝামেলা এড়াতে শুক্রবার রাতে গোপনে আয়োজন করা হয় ওই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এ জন্য বিয়ের পোশাক না পড়ে স্বাভাবিক পোশাকেই আসেন বর আর বরযাত্রী। কিন্তু স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারেন।
ইউপি মেম্বার আরও জানান, ১০-১৫ জন মানুষের খাওয়া শেষে কলেমা পড়ানো হয়। অপেক্ষা করছিলেন কাজীর জন্য। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পেরে কাজী উপস্থিত হননি। বিষয়টি জানতে পেরে তিনিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর ফোনে বিষয়টি জানালে ম্যাজিষ্ট্রেট রওনা হন। পরিস্থিতি আঁচ করে কৌশলে পালিয়ে যান বর আর বরযাত্রী।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-ইমরান জানান,
আমাদের পৌঁছানোর আগেই বর ও বরযাত্রীরা পালিয়ে যান। পরে মুচলেকা নিয়ে মেয়ের বাবাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এই বলে যে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তিনি মেয়েকে পাঠালে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআইএইচ
