অফ্রিকায় নিহত ফেনীর চারজনের দাফন সম্পন্ন

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছয় জনের মধ্যে চার জনের মরদেহ দেশে এসেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে। শুক্রবার সকালে ফেনীর নিজ নিজ এলাকায় আলাদাভাবে সবার জানাযা শেষে সকাল ১১টায় গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত অপর দুজনের মধ্যে শিশু নাদিমের দাফন দক্ষিণ আফ্রিকাতে হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মিলনের মৃতদেহ শুক্রবার বিকেলে দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী আনিসুল হক মিলন দেশে ফেরার সময় তাকে নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় জন নিহত হন এবং একজন আহত হন। নিহত সকলের বাড়ি ফেনীতে। ঘটনার সাতদিন পর ৪ জনের মৃতদেহ বাংলাদেশে পৌঁছালে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। শুক্রবার সকালে আলাদাভাবে নিহতদের জানাযা হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। সৃষ্টি হয় শোকাবহ পরিবেশ। রাস্ট্রীয় তেমন কোন সহায়তা না থাকায় নিজেদের খরচে এসব মৃতদেহ আনায় ক্ষোভ স্বজনদের।
যাদের মরদেহ দেশে এসেছে তারা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের শরীয়ত উল্লাহর ছেলে ইসমাইল হোসেন,দাগনভূঞার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মিলনের ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ রাজু, একই উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেওয়াজপুর তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ির সিরাজ উল্লাহর ছেলে মোস্তফা কামাল পোপেল, সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন। আবুল হোসেনের ছেলে নাদিম হোসেন জন্মগতভাবে আফ্রিকার নাগরিক হওয়ায় তার মরদেহ সেখানে দাফন করা হয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলার বিরলী গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেনের ভাই নিজাম উদ্দিন বলেন, আজ শুক্রবার ১০টায় জানাজা শেষে ভাইয়ের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মোস্তফা কামাল পোপেলের ছোট ভাই মোস্তফা জামাল নওফেল বলেন, শুক্রবার সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে ভাইয়ের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানান, রাতেই লাশগুলো পৌঁছে শুক্রবার সকালে নিজ নিজ এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে ওই চারজনের লাশ দাফন হয়েছে।
এএজেড
